টিকা বাংলাদেশ আগে পাবে – প্রধানমন্ত্রী

0
132
PM-DRO-9-9-p-6
সংসদে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য-সংগৃহিত ছবি

দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক

বিশ্বের যেখানেই করোনাভাইরাসের টিকা আবিষ্কার হোক না কেন সেটা বাংলাদেশের মানুষের জন্য আগে সংগ্রহ করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে তিনি একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভ্যাকসিন যেটা আবিষ্কার হল আমরা তো আশাবাদী হয়েছিলাম অক্সফোর্ডেরটা নিয়ে। সেটা পরীক্ষা করতে গিয়েই যখন অসুস্থ হয়ে পড়ল আমরা আবার একটু দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে গেছি।

“তারপরও আমাদের প্রচেষ্টা আছে, পৃথিবীর যেখানেই আবিষ্কার হোক বাংলাদেশ, আমার দেশের মানুষের জন্য আমরা সেটা আগে সংগ্রহ করতে পারব। সেই বিষয়টায় আমরা যথাযথ সচেতন।”

করোনাভাইরাস মহামারী থেকে বিশ্ববাসীকে মুক্তি দিতে টিকা আবিষ্কারের চেষ্টা করছে বিভিন্ন দেশে। এরমধ্যে বেশ কয়েকটি টিকার তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা চলছে, যার মধ্যে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ওষুধ কোম্পানি অস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত টিকা অন্যতম। এই টিকা চূড়ান্ত হলে তার উৎপাদনে যাবে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটও, সে লক্ষ্যে প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে।

এই টিকা এলে প্রথম দিকেই বাংলাদেশ তা পাবে বলে গত মাসেই ঢাকা সফরে এসে আশ্বাস দিয়েছিলেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা।

তবে এই টিকার চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষায় যুক্তরাজ্যে একজন অংশগ্রহণকারীর মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়ায় এর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল স্থগিত রাখা হয়েছে বলে বুধবারই খবর প্রকাশ হয়েছে।

এ নিয়ে বিচলিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভ্যাকসিনের ব্যাপারে বিভিন্ন দেশ গবেষণা করছে। অনেক দেশের কাছে আমরা শুনছি। সব দেশেই আমাদের আবেদন দিয়ে রেখেছি। তার জন্য টাকাও বরাদ্দ করে রেখেছি। যেখান থেকে আগে পাওয়া যায় আমরা সেটা নেব এবং আমাদের দেশের মানুষকে এই করোনামুক্ত করার জন্য তা ব্যবহার করব। সেই ব্যবস্থাও আমরা নিয়েছি।”

সংসদে বিরোধী দলের সরব উপস্থিতির জন্য তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “এই পার্লামেন্টে সেশনে যে বিল পাস হল এখানে কিন্তু আমাদের সরকার দলীয় কেউ কথা বলার সুযোগই পায়নি। একমাত্র বিরোধী দলেরই এই পার্লামেন্ট ছিল এবং তারাই কথা বলে গেছে।

এক্ষেত্রে সমালোচনার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় বিবেচনার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যাদের দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, মানুষ বিপদে পড়ে পুলিশকেই আগে ডাকে। এমন কিছু না করা যাতে তারা যেন আবার ভয়ে ভীত হয়ে তাদের কাজের যে উৎসাহটা সেটা যেন নষ্ট না হয়- সেদিকেও দৃষ্টি দিতে হবে।