দেশের প্রথম নারী ক্রিকেট কোচের মৃত্যু

0
144
দেশের প্রথম নারী ক্রিকেট কোচ সুরাইয়া জান্নাতি তিন্নি

দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক

যশোরে দেশের প্রথম নারী ক্রিকেট কোচের মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ উঠেছে চিকিৎসকের অবহেলায় কোচ সুরাইয়া জান্নাতি তিন্নি (৩০) চলে গেলেন না ফেরার দেশে। জেলা শহরের চুড়িপট্টি এলাকার মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন এ্যানির স্ত্রী ছিলেন সুরাইয়া জান্নাতি তিন্নি ।

জানা গেছে, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তবে এর আগে তিনি শহরের ল্যাবজোন হসপিটালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানে হয় তার সিজারিয়ান অপারশেন।

তিন্নির চাচাতো ভাই যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা আফিকুর রহমান অয়ন বলেন, ২৯ জুলাই ল্যাবজোন হসপিটালে ডাঃ নিলুফার ইসলাম এমিলি সিজারিয়ান অপারেশ করে তিন্নির সন্তান প্রসব করান। এরপর সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। পরিবারের লোকজন রোগীর অবস্থা সম্পর্কে চিকিৎসককে অবহিত করেন। তিনি বিষয়টি গুরুত্ব দেননি। উল্টো রোগীর স্বজনদের উপর বিরক্ত হন।

৩১ জুলাই সকালে ডাঃ এমিলি হসপিটালে আসেন। তিনি দূর থেকে রোগী দেখেছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও রোগীর অবস্থার অবনিত ও তাদের সীমাবদ্ধতার কথা স্বজনদের জানাননি।

আরও পড়ুনখোকসায় ঈদের দিনে হামলায় প্রধান শিক্ষকসহ আহত ৪

সন্ধ্যার দিকে রোগীর অবস্থার অবনতি দেখলে তড়িঘড়ি করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে স্থানন্তর করেন। শ্বাসকষ্ট নিয়ে জেনারেল হাসপাতালে গেলে চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন। কিন্তু তারা বাঁচাতে পারেননি। চিকিৎসকরা ওই সময় জানান আগেই আইসিইউতে নিতে পারলে রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হতো।

আরও দেখুন-খোকসার কিশোরী তান্ত্রিকের তেলেসমাতি

অপরদিকে ডাঃ নিলুফার ইসলাম এমিলি বলেন, রোগীকে বাঁচানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়েছে। আমার আন্তরিকতার কোনো অভাব ছিল না। আইসিইউতে নেওয়ার জন্য রোগীকে খুলনায় স্থানন্তর করেছিলাম। তবে তার স্বজনরা তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে কেন নিলেন? স্বজনদের বিরুদ্ধেও নানা অভিযোগ তিনি তুলে ধরেন। সর্বোপরি রোগীর স্বজনরা ডাক্তারের নির্দেশনা মানেননি বলেও তিনি জানান।

আরও পুড়ন-ঝিনাইদহে প্রতারক দুই নারী সহ আটক ৩

ডাঃ এমিলি আরও বলেন, ২৯ জুলাই রোগীর সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়। ওইদিন রোগীর রক্তচাপ বেশি ছিল। কিছু ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে শরীরে রক্তচাপ কমিয়ে একই দিন দুপুর আড়াইটার দিকে সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়। তবে রোগীর প্রি-অ্যাকলেমশিয়া ছিল। অপারেশন ছাড়া উপায় ছিল না। সিজারের পর প্রসূতি ও বাচ্চা দু’জনই ভালো ছিল। সব সময় নিজে রোগীর খোঁজ-খবর নিয়েছি।

শুক্রবার সন্ধ্যায় হাসপাতাল ফোনের মাধ্যমে জানানো হয় রোগীর শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। মেডিকেল অফিসারকে খুলনায় আইসিইউতে স্থানন্তর করার পরামর্শ দেওয়া হয়, সেকথা স্বজনদের জানিয়েও দেওয়া হয়। তারা যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়েছেন। সেখানেই তার মৃত্যু হয়েছে।