দৌলতদিয়া পতিতাপল্লীতে থেকে ১৪ কিশোরী উদ্ধার

0
120
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার এম.এম শাকিলুজ্জামান

রাজবাড়ী প্রতিনিধি

রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া পতিতাপল্লী থেকে পাচারের শিকার ১৪ জন কিশোরকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার দিনগত রাতে পতিতালয়ে যাওয়া একজন খরিদ্দার ফোন থেকে ৯৯৯ এর ঘটনাটি জানানো হয়। পরে গোয়ালন্দের পুলিশ পতিতা পল্লীতে অভিযান চালিয়ে নাজমা বেগমের বাড়ি থেকে লয়ে প্রথমে ৩ জনকে উদ্ধার হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্য মতে তালাবন্ধ গোডাউন থেকে আরো ১১ জন কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়।

বুধবার দুপুরে পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার এম.এম শাকিলুজ্জামান ঘটনাটি নিশ্চিত করেন।

এসময় পুলিশ সুপার এম.এম শাকিলুজ্জামান বলেন, দৌলতদিয়া পতিতাপল্লীতে পাচারের শিকার ১৪ জন কিশোরকে উদ্ধার করেছি। এইসব কিশোরীদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে এখানে নিয়ে এসে জোর করে তাদের দিয়ে দেহব্যবসা করতে বাধ্য করা হতো। কিশোরীদের উপর নানা ভাবে নির্যাতনও করা হতো। আমরা সেখান থেকে তাদেরকে উদ্ধার করেছি। উদ্ধার হওয়া কিশোরীদের আদালতের মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। আর যাদের পরিবার পাওয়া যাবে না তাদের সেফ কাস্টরীতে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে তারা নিরাপদে থাকবে।
যারা এই মানবতা বিরোধী কাজ করে তাদের কেউ পার পাবে না। তাদের সকলের আইনের আওতায় আনা হবে। অনেক মা বোনেরা প্রতারণার শিকার হয়ে এখানে আসে তাদের সচেতন হতে হবে। যদি এদের মত প্রতারিত হয়ে এখানে যেন আর কেউ না আসে।

প্রতারণার শিকার কিশোরীরা জানান, তাদের চাকরির কথা বলে নিয়ে এসে পতিতাপল্লীতে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিলো। তাদের উপর সরদারনীসহ অন্যরা নানা ধরণের নির্যাতন করতো। তাদের হাত পা বেধেঁ নির্যাতন করা হতো। গোডাউনে আটকে রাখা হত। তারা সরদারনীর বিচারের দাবি জানান।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাউদ্দিন, রাজবাড়ী সদর থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার, গোয়ালন্দ থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল তায়েবীর, ডিআইও-১ সাইদুর রহমানসহ জেলা পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা।