দৌলতপুরে মাদকবিরোধী অভিযানের নেতৃত্ব দিলেন চেয়ারম্যান

0
87
DOULOTPUR-DROHO-14-P6
ছবি সংগ্রহ

দৌলতপুর প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে আশরাফুল ইসলাম মুকুল (৫৫) নামে একজন ইউপি চেয়ারম্যান পুলিশের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। তিনি নিজেই মাদকবিরোধী অভিযানে নেতৃত্ব দিয়ে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার করেছেন।

স্থানীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশ হয়েছে। এর আগেও ওই চেয়ারম্যান একাধিকবার এ ধরনের মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছেন।

জানা গেছে, দৌলতপুর উপজেলার ভারতীয় সীমান্তবর্তী প্রাগপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম মুকুল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ৩৯৮ বোতল ফেনসিডিলসহ মিঠুন আলী ওরফে রুনু (২৬) নামে ফেনসিডিলবহনকারী এক ভ্যান চালককে আটক করেন।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রাগপুর হাইস্কুলের সামনে থেকে চেয়ারম্যান তাকে আটক করে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যান বলে গণমাধ্যমের প্রকাশিত খবরে উল্লেখ করা হয়।

এ ঘটনার খবর পেয়ে দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জহুরুল আলম এবং ওসি (তদন্ত) শাহাদাৎ হোসেন ইউনিয়ন পরিষদে যান। এখানকার পুলিশের চিরাচরিত প্রথা ভেঙে সেখানেই ফটোসেশন করা হয়। এরপর ফেনসিডিলসহ ভ্যানচালক মিঠুন আলী ওরফে রুনুকে নিয়ে থানায় আসে পুলিশ। এ ব্যাপারে দৌলতপুর থানায় মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে তাকে কুষ্টিয়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

মিঠুন আলীকে ফেনসিডিলসহ আটকের পর ইউনিয়ন পরিষদে এনে চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম মুকুল পুলিশের মতো নিজেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদকালে মিঠুন চেয়ারম্যানকে জানান, এসব ফেনসিডিলের মালিক পার্শ্ববর্তী বিলগাতুয়া সীমান্তের তুয়াজ ম-লের ছেলে আকিদুল হোসেন (৩৫) ও মৃত নাসির ম-লের ছেলে ফকির ম-ল (৫৫)।

এলাকাবাসী বলছেন, প্রাগপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম মুকুল পুলিশের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে এর আগেও একাধিকবার এ ধরনের মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে আলোচিত-সমালোচিত হয়েছেন। তিনি বিভিন্ন সভা-সমাবেশে মাদকবিরোধী বক্তব্য দিয়ে মাদকের বিরুদ্ধে নিজের শক্ত অবস্থানের কথা জানান দিয়ে আসছেন।

চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম মুকুল গণমাধ্যমকে জানান, তার পরিবার কিংবা স্বজনদের মধ্যে কেউ মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত নেই। মাদক কারবারীদের আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়। সুতরাং এখানে অন্য কোনো কারণ খোঁজার সুযোগ নেই।

একজন জনপ্রতিনিধি পুলিশের মতো অভিযান চালাতে পারেন কিনা- এমন দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জহুরুল আলম জানান, অপরাধীদের সম্পর্কে যে কোনো নাগরিক পুলিশকে ইনফর্ম করতে পারেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাইরে কারোরই কোনো অভিযান চালানোর সুযোগ নেই। কিন্তু যে কেউ পুলিশকে সহযোগিতা করতে পারেন।

ওসি জহুরুল আলম বলেন, আমরা বলছি না যে চেয়ারম্যান এই অভিযান চালিয়েছেন। এটি আসলে যার যার দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপার। তবে চেয়ারম্যানের লোকজনের যদি মাদকের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ মেলে নিশ্চয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।