পাশবিকতা রুখতেই শাস্তি বৃদ্ধি – প্রধানমন্ত্রী

0
123
DROHP-13-10-2020P8
প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা

দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ধর্ষকের পাশবিকতা রুখতেই তার সরকার আইন সংশোধন করে শাস্তির মাত্রা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

যৌন নিপীড়নের ঘটনায় দেশজুড়ে প্রতিবাদ আর বিক্ষোভের মধ্যে ‘জরুরি’ বিবেচনায় আইনটি সংশোধনের পর মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি মনুষসৃষ্ট দুর্যোগও সরকারকে মোকাবেলা করতে হয় মন্তব্য করে বিএনপি-জামায়াত জোটের আন্দোলনে ‘অগ্নি সন্ত্রাসের’ ঘটনাগুলো তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “জীবন্ত মানুষকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছিল। সেটাও কিন্তু আমরা মোকাবেলা করেছি। পাশাপাশি এসিড নিক্ষেপ, সেটাকেও আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। সেখানে আমরা আইন সংশোধন করেছিলাম।”

একই কারণে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধন করার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ধর্ষণ একটা মানে আমি বলব, একটা মানুষ পশু হয়ে যায়। সেই জন্যই তাদের মধ্যে এই পাশবিকতা। তার ফলে আজকে আমাদের মেয়েরা ক্ষতিগ্রস্ত। সেই জন্য আমরা এই আইনটি সংশোধন করি।

“ধর্ষণ করলে সেখানে যাবজ্জীবনের সাথে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে ইতোমধ্যে আমরা ক্যাবিনেটে সেই আইন পাস করে দিয়েছি। যেহেতু পার্লামেন্ট সেশনে নাই, আমরা এটা অধ্যাদেশ জারি করে দিচ্ছি।”

২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি এতদিন ছিল যাবজ্জীবন কারাদ-। আর ধর্ষণের শিকার নারী বা শিশুর মৃত্যু হলে বা দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।

নোয়াখালীতে বিবস্ত্র করে নির্যাতন, সিলেটের এমসি কলেজে তুলে নিয়ে ধর্ষণসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া যৌন নিপীড়নের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভে আইন সংশোধন করে ওই শাস্তি বাড়ানোর দাবি জানানো হচ্ছিল বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে।

এই প্রেক্ষাপটে সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে আইন সংশোধন করে অধ্যাদেশ আকারে জারির জন্য এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি তাতে সই করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যে কোনো একটা সমস্যা দেখা দিলে সেটা মোকাবেলা করা এবং সেটাকে দূর করা- এটাই আমাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।”