প্রেমের টানে বাংলাদেশে আসা ভারতীয় তরুণী কারাগারে

0
143

দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক

প্রেমের টানে ভারতের এক তরুণী সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে আসেন। তার প্রেমিকের বাড়ি উপজেলার কলাউরা গ্রামে। তবে তার প্রেমিক আব্দুস সাত্তার (২৭) বাহরানে থাকেন। তারা দুজনে মোবাইল ফোনেই বিয়ে করেন।

তবে এ ঘটনা বিজিবি জানার পরই ঘটে চরম বিপত্তি। বুধবার রাতে অনুপ্রবেশের অপরাধে বিজিবি ওই তরুণীকে আটক করে দোয়ারাবাজার থানায় সোপর্দ করে। বৃহস্পতিবার পুলিশ তাকে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

অনুপ্রবেশকারী তরুণীর নাম মঞ্জুরা বেগম (২০)। তিনি ভারতের আসাম প্রদেশের কামরুপ জেলার চাংসারি থানার টাপার পাথার গ্রামের মুগুর আলির মেয়ে।

মঙ্গলবার তিনি দোয়ারাবাজার সীমান্তের বাংলাবাজার এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, কলাউড়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আব্দুস সাত্তার পাঁচ বছর আগে একটি মামলায় আসামি হলে পালিয়ে যান ভারতের আসামে। সেখানেই তার পরিচয় হয় মঞ্জুরা বেগমের সঙ্গে। তাদের মধ্যে গড়ে উঠে ভালোবাসার সম্পর্ক। বছরখানেক পরে সাত্তার চলে আসেন বাংলাদেশে। এরপর তিনি বাহরাইন চলে যান। দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে মোবাইলের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক চলতে থাকে।

মঙ্গলবার বাহরাইন থেকে ওই তরুণীকে ঠিকানা দিয়ে বাংলাদেশ চলে আসার জন্য বলেন আব্দুস সাত্তার। ওইদিন সকাল ৯টার দিকে বাংলাদেশে চলে আসেন ওই ভারতীয় তরুণী। সাত্তারের ছোট ভাই ইমরান দোয়ারাবাজার সীমান্ত থেকে তরুণীকে বাড়ি নিয়ে আসেন। পরে মঞ্জুরা বেগমের সম্মতিক্রমে মোবাইলের মাধ্যমে বাহরাইনে অবস্থানরত সাত্তারের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।

পুলিশ জানায়, বুধবার বিকেলে বিজিবি খবর পেয়ে অনুপ্রবেশের অপরাধে আটক করে মঞ্জুরা বেগমকে। বিজিবি অনুমতি ছাড়া দেশে প্রবেশ করার কারণে মঞ্জুরা বেগমের বিরুদ্ধে দোয়ারাবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করে এবং রাতেই তাকে থানায় সোপর্দ করে।