জাতির পিতাকে নিয়ে নির্মিত হলো তিন কাহিনীচিত্র

0
103
রক্তস্নাত ছবির পোষ্টার

দ্রোহ বিনোদন ডেস্ক

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সহিদ রাহমানের গল্পে নির্মিত হয়েছে তিনটি কাহিনীচিত্র ‘পঁচাত্তরের লালু’, ‘প্রতিরোধ যুদ্ধে দুই বীর’ ও ‘রক্ত¯œাত আগস্ট’। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা সহিদ রাহমানের ‘মহামানবের দেশে’ গ্রন্থ থেকে গল্প তিনটি নেওয়া হয়েছে। এর আগে এই গ্রন্থের গল্প থেকে নির্মিত বেশকিছু কাহিনীচিত্র প্রশংসিত হয়েছে।

নতুন কাহিনীচিত্র তিনটি নির্মিত হয়েছে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিরোধমূলক তিন ঘটনা নিয়ে। এতে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় তারকারা। ১৪ আগস্ট রাত ৯টা ৩০ মিনিটে একুশে টিভিতে প্রচার হবে ‘পঁচাত্তরের লালু’। সাইয়েদ আহমাদের চিত্রনাট্যে কাহিনীচিত্রটি পরিচালনা করেছেন সাজ্জাদ সুমন। অভিনয় করেছেন আহমেদ রুবেল, জিয়াউল হাসান কিসলু, মোমেনা চৌধুরী ও শিশুশিল্পী যায়ান।

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করায় ইছাপুর গ্রামের কিশোর লালু, সুরুজ কমান্ডার ও হারিছ মাস্টারের করুণ পরিণতি দেখা যাবে এতে। ১৫ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে চ্যানেল আইয়ে প্রচার হবে ‘প্রতিরোধ যুদ্ধে দুই বীর’। পান্থ শাহরিয়ারের চিত্রনাট্য ও আবু হায়াত মাহমুদের পরিচালনায় এ কাহিনীচিত্রে অভিনয় করেছেন আনিসুর রহমান মিলন, আরমান পারভেজ মুরাদ, শতাব্দী ওয়াদুদ, জিয়াউল হাসান কিসলু প্রমুখ।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোরে একটি বেতার বার্তায় বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার কথা শুনে থমকে যায় সারা দেশ। বিভিন্ন এলাকায় খুনিদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু হয়। চুপ থাকতে পারেন না চট্টগ্রামের মৌলভী সৈয়দ আর বগুড়ার আব্দুল খালেক খসরুসহ আরও কিছু তরুণ। তারা বন্দি হন, অত্যাচার শুরু হয়। ঘাতকদল জানতে চায়, কে এই বীরদের মদতদাতা। মৃত্যু অবধারিত জেনেও মুখ বন্ধ রাখেন সাবই। কারণ তারা চেয়েছিলেন জাতির জনকের হত্যার বিচারের দাবিতে শত শত মৌলভী সৈয়দ, খসরু এদেশের কোনায় কোনায় জেগে উঠুক।

আরও দেখুন-খোকসায় নতুন তান্ত্রিকের তেলেসমাতি !!

আরও দেখুন-খোকসা বাস স্টান্ড এখন মরণ ফাঁদ

১৫ আগস্ট রাত ৯টায় এটিএন বাংলায় প্রচার হবে ‘রক্ত¯œাত আগস্ট’। শ্রাবণী ফেরদৌসের পরিচালনায় এতে অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান, রুনা খান, অপর্ণা ঘোষ, মাসুম বাশার প্রমুখ। সাংবাদিক আবিদ আজাদ ও তার বন্ধু সরকারি চাকরিজীবী রায়হান মুক্তিযোদ্ধা। বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যা মেনে নিতে পারেন না তারা। প্রতিবাদ করতে চাইলে ঘাতকরা তাদের কণ্ঠ রোধ করে। অমানসিক অত্যাচার করে পঙ্গু করে দেয়। কিন্তু আটকাতে পারে না তাদের চিন্তাকে। তারা স্বপ্ন দেখে একদিন বিচার হবে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের।