মাস্ক নেই তো সেবা নেই

0
126
DROHO-25-P-12
মাস্ক বাধ্যতাশূলক

দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক

করোনাভাইরাস ভয়াবহতা থেকে নিজেকে রক্ষায় সরকারি অফিসের পাশাপাশি বেসরকারি অফিসগুলোতেও মাস্ক ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

মাস্ক ছাড়া কেউ কোনো সেবার জন্য গেলে তাকে সেই সেবা দেওয়া হবে না বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন।

রবিবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানানোর সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নে সচিব খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, শীতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে পারে ধরে নিয়ে চারিদিকে ‘ম্যাসিভ ইন্সট্রাকশন’ দেওয়া হয়েছে।

“আমাদের যতগুলো ইন্সটিটিউশন আছে, সোশ্যাল, অর্গানাইজেশনাল বা ফরমাল প্রতিষ্ঠানে আমরা নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছি। এক নম্বর হলো- নো মাস্ক নো সার্ভিস। তারপর হল সব জায়গায়, সব প্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার, শপিংমল বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সামাজিক ও ধর্মীয় সম্মিলনে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। আমরা এটা কম্পালসরি করে দিয়েছি।”

সরকারি-বেসরকারি অফিসের বাইরে ‘মাস্ক ছাড়া কেউ প্রবেশ করতে পারবে না’ এরকম বড় একটা পোস্টার টানাতে বিভাগীয় কমিশনারদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কীভাবে মাস্ক পরা নিশ্চিত করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ইন্সপেকশন করা হবে।”

তাহলে তো মাস্ক ছাড়া কেউ সরকারি-বেসরকারি অফিসে এলে সেবা পাবেন না উল্লেখ করে এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন একজন সাংবাদিক।

জবাবে সচিব বলেন, “ঢুকতেই দেওয়া হবে না, আমরা বলে দিয়েছি। শুধু সরকারি নয়, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও। বিভিন্ন প্রডিউসার তাদের সঙ্গেও কথা বলেছি তারাও তাদের ইন্ডাস্ট্রিগুলোতে সেটা চালু করছেন ইনশাআল্লাহ।”

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে গত জুলাই মাসের শেষদিকে বাসার বাইরে সব জায়গায় সবার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে সরকার। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে প্রতিদিনই মানুষ মারা গেলেও নানা অজুহাতে এখনও অনেকে মাস্ক ব্যবহার করছেন না।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠক হয়, সেখানে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নেওয়া কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করা হয়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে প্রচার করার জন্য বলা হয়েছে যে- দিনে দুইবার নামাজের পর প্রচার করার জন্য যে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। আলেম-ওলামাদের সঙ্গেও কথা বলেছি, উনারাও এটা শুরু করেছেন।

“করোনার সময় অন্যান্য রোগীদের সেবা পেতে সমস্যা হয়েছে, আবার দ্বিতীয় ঢেউ আসছে- এখন আল্লাহর রহমতে ওই প্রবলেমটা হবে না। এখন একটা ট্রিটমেন্ট প্রোটোকল চলে আসছে। ওই প্যানিকটা চলে গেছে। ইনিশিয়ালি তো বোঝা যাচ্ছিল না জিনিটা কী। ডাক্তার-স্টাফরাও এখন আর অত ভয় পাচ্ছে না। আমি দু’একটি হাসপাতালে গিয়ে দেখেছি।”

এক প্রশ্নে আনোয়ারুল বলেন, “হাসপাতালগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া আছে কোভিড ও নন-কোভিড দুটোকে আলাদা করে চিকিৎসা করা। ঢাকা মেডিকেলেই দেখেন কোভিড আলাদা হয়ে গেছে, কোনো অসুবিধা হচ্ছে না।”

গণপরিবহনে সবাই যাতে মাস্ক পরে তা নিশ্চিত করতে সড়ক সচিব, নৌ সচিব এবং রেল সচিবের সঙ্গে দুয়েকদিনের মধ্যে বসবেন জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “বসে একটা ওয়ার্ক আউট করা যাবে।”

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মন্ত্রিসভাকে জানায় বাংলাদেশে এখন ৯৩টি কেন্দ্রে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা হচ্ছে, এরমধ্যে ৫০টি বেসরকারি।