মিরপুরে যৌতুকের আগুনে পুডলো নববধূ

0
107

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

যৌতুক লোভী শ্বশুর বাড়ির লোকদের নির্যাতনে আগুনে ঝলসে গেলো নববধূ সুমাইয়া খাতুন (১৮)। স্বামীর পরিবারের দাবি গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। নিহতের পিতার দাবী গায়ে আগুন ধরিয়ে নৃশংস ভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার কুষ্টিয়ার মিরপুরের আমলা ইউনিয়নের পারমিটন এলাকার শশুর বাড়ী থেকে আগুনে ঝলসানো ওই নববধুকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় ই নববধূও মৃত্যু হয়।

নিহত সুমাইয়া খাতুন দৌলতপুর উপজেলার খলিসাকুন্ডি ইউনিয়নের মালিপাড়া এলাকার আয়েম আলীর মেয়ে এবং মিরপুর উপজেলার আমলা ইউনিয়নের পারমিটন এলাকার সাদিকুল ইসলামের স্ত্রী।

জানা গেছে, গত ১৬ ডিসেম্বর পারিবারিক ভাবেই মিরপুর উপজেলার পারমেটন এলাকার ইসমাইল হোসেনের ছেলে সাদিকুল ইসলামের সাথে সুমাইয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কলহের সৃষ্টি হয়। মঙ্গলবার সকালে সুমাইয়াকে অগ্নি দগ্ধ অবস্থায় স্বামীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়।

সুমাইয়ার পিতা আয়েম আলী অভিযোগ করেন, বিয়ের তিন দিন পরে জামাই জানায় টাকার খুব দরকার। ব্যবসা করার জন্য টাকা লাগবে। এজন্য টাকা নিয়ে যেতে সুমাইয়াকে চাপ দেয়। কিন্তু আমি গরীব মানুষ হওয়ায় এক লাখ টাকা সম্পূর্ণ একবারে দিতে অপরাগত প্রকাশ করি। এ নিয়ে জামাতা সুমাইয়ার ওপর নির্যাতন চালায়।

তিনি আরো জানান, কয়েকদিন আগে বাবার বাড়ি টাকা নিতে পাঠিয়েছিলো সুমাইয়াকে। চারদিন থেকে বাড়ি থেকে কিছু টাকা নিয়ে স্বামীর বাড়িতে আসে। স্বামীর বাড়িতে আসার পর সম্পন্ন টাকা না দেওয়ার কারণে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন তাকে মারধর করে। যৌতুকের এক লাখ টাকা না পেয়ে পরিকল্পিত ভাবে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে সুরাইয়াকে হত্যা করেছে।

মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মস্তফা জানান, ঘটনার পরেই আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসলেই মৃত্যুর সঠিক কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে। নিহত নববধুর শশুর বাড়ীর লোকজন পলাতক রয়েছেন।