যৌতুক লোভী বাবা খুন করলো সন্তানকে

0
115
প্রতিকী ছবি

দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক

শুধুমাত্র যৌতুকের টাকা না পেয়ে, শিশু মাহিমকে অপহরণ ও হত্যা করেছে তার বাবা। এমনি এক ভয়ংকর ঘটনার বর্ণনা দিলেন হত্যাকারী বাবা জুলহাস ফারুক ওরফে গুড্ডা। স্বেচ্ছায় নিজের সন্তান হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন গুড্ডা এবং অপহরণকারী জুয়েল ব্যাপারীও এ ঘটনার দায় স্বীকার করেন।

জানা গেছে, যৌতুকের টাকা না পেয়ে নিজের পরিকল্পনায় তিন বছর সাত মাসের সন্তান মাহিমকে জুসের সাথে অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খাইয়ে হত্যার করে। শিশু মাহিমের লাশ বালু চাপা দেন জুলহাস নিজেই। তবে ঘটনার সমাপ্তি হয়নি এখনো।

সোমবার জুলহাস নিজেই র‌্যাবের কাছে অভিযোগ করেন সন্তান অপহরণের। পরে তিনি এ মর্মে যাত্রাবাড়ি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে র‌্যাবের তদন্ত ও অনুসন্ধানে বেড়িয়ে পরে থলের বিড়াল। উক্ত ঘটনার দোষী হয়ে নিজেই ফেঁসে যান জুলহাস।

যৌতুকের টাকাসহ বিদেশে যাওয়ার কথা বলে জুলহাস শ্বশুরবাড়িতে চার লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা না পেয়ে দীর্ঘ দিন স্ত্রীকে নির্যাতন করে আসছিলেন তিনি। পারিবারিক কলহ এবং যৌতুকের টাকা না পেয়ে। নিজের সন্তানকে হত্যা করতে প্রতিবেশী জুয়েলের সঙ্গে পরিকল্পনা করেন জুলহাস।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা স্মৃতি আক্তার বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

আরও পড়ুন ঝিনাইদহে তড়িৎ আহত হয়ে ট্রাক্টর শ্রমিকের মৃত্যু

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম হাবিবুর রহমানের আদালতে তারা ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তারা স্বেচ্ছায় ঘটনার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে সম্মত হয়। এরপর বিচারক তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

উল্লেখ্য, যাত্রাবাড়ী মাতুয়াইল মৃধাবাড়ি এলাকায় ৩০ জুন সন্ধ্যায় র‌্যাব-১০ এর একটি অভিযানে জুয়েল ব্যাপারীকে আটক হয়। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে ভুক্তভোগীর বাবা জুলহাসকে মাতুয়াইল দরবার শরীফ মোড় এলাকা থেকে আটক করা হয়।