
কবি গুরুকে নিয়ে গবেষণার জন্য সুযোগ তৈরি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ- স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, কবি গুরুকে নিয়ে গবেষণার জন্য সুযোগ তৈরি করা খুবই জরুরী। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা ভাষা ও সাহিত্যিকে এত সমৃদ্ধ করেছেন যার কোনো তুলনা নেই।
তিনি বলেন, কুষ্টিয়ার শিলাইদহের কুঠিবাড়ীতে কবি গুরু দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করেন। তিনি অসংখ্য সাহিত্য রচনা করেছেন এই কুঠিবাড়ীতে। কাজেই এর ঐতিহ্য ও গৌরব অনেক। আমরা কবি গুরুকে নিয়ে গর্ব অনুভব করি, আর কবির সেই স্মৃতি বিজড়িত কুঠিবাড়ী বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলায় অবস্থিত।
রবিবার শিলাইদহ কুঠিবাড়ীতে কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম জন্মজয়ন্তী উপলে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ও কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় রবিবার দুপুর সাড়ে ৩টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপির সভাপতিত্বে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কর্ম-জীবন ও বিশ্বকবির প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে আলোচনা করেন রবীন্দ্র গবেষক সনৎ কুমার সাহা। এ সময় কুষ্টিয়া-৪ (খোকসা-কুমারখালী) আসনের সাংসদ ও বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ এমপি, কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মো: খায়রুল আলম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর। পরে জেলা শিশু একাডেমী ও ভারত থেকে আসা রবীন্দ্র সংগীত শিল্পীরা অনুষ্ঠানে সূচনা সংগীত পরিবেশন করেন।
আরো পড়ুন – আজ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম জয়ন্তী
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা শিল্পীরা রবীন্দ্র সুরের মূর্ছনায় মাতিয়ে তোলেন কুঠিবাড়ী চত্বর। এর আগে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি অতিথিদের সাথে নিয়ে কুঠিবাড়ী প্রাঙ্গনে একটি বকুল ফুলের চারা রোপন করেন।
করোনা অতিমারী কাটিয়ে তিন দিনের এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে শিলাইদহ ভক্ত অনুসারীদের পদভারে মুখরিত ছিল। কুঠিবাড়ীর আঙ্গিনায় বসেছে গ্রামীণ মেলা। সেখানে দূর-দূরান্ত থেকে এসে মেলায় বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা।