সব বন্ধ করে বসে থাকার হুশিয়ারী দিলেন প্রধানমন্ত্রী

0
118
ছবি সংগৃহীত

দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক

বেশি কথা বললে, সব বন্ধ করে বসে থাকবো বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার বিকালে গণভবনে যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদান ও যুক্তরাজ্য সফরের নানান দিক তুলে ধরতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেশি কথা বললে, সব বন্ধ করে বসে থাকবো। ভোটে আসলে আবার করবো। দেখি কে দায়িত্ব নিতে রাজি হয়! সব রেডি করে দিয়েছি, এখন বসে বসে বড় বড় কথা বলবেন।

রিজার্ভ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেসব আঁতেল, জ্ঞানীগুণি কথা বলেন। তারা কী জানেন, আমরা যখন মতায় এসেছি, তখন রিজার্ভ কত ছিল? বাংলাদেশ কোথায় ছিল, কোথায় এনে দাঁড় করিয়েছি? যতটুকু রিজার্ভ প্রয়োজন, আমাদের আছে। আমাদের ভালো থাকা জরুরি, নাকি রিজার্ভটা দরকার বেশি? যদি বলে, তাহলে রিজার্ভ আগের জায়গায় এনে দেই? বিদ্যুতকেন্দ্র-টেন্দ্র বন্ধ করে দেই।

সাংবাদিক ফারজানা রুপা জানতে চান, মার্কিন প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে তত্ত¡াবধায়ক নিয়ে কোনো কথা বলেছেন কিনা। এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সফরে তত্ত¡াবধায়ক সরকার নিয়ে কারও সঙ্গে কথা হয়নি। আমার মনে পড়ে না, এ ধরনের কোনো কথা হয়েছে। কেউ জিজ্ঞেসও করেনি। ২০০৭ এ তত্ত¡াবধায়ক সরকার নিয়ে যে অভিজ্ঞতা, এরপর এটা কেউ চায়?

বিএনপির আন্দোলন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা তো বারবার তারিখ দিয়েই যাচ্ছে। এই তারিখে ফেলে দেবে, ওই তারিখে ফেলে দেবে। তারা আন্দোলন করুক। জনগণের জানমালের কোনো তি যদি করা হয়, সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।

তিনি বলেন, আমরা তাদের আন্দোলনে বাধা দিচ্ছি না। তারা আন্দোলন লোকসমাগম করছে। খুব ভালো কথা। এতকাল চুরি করে যা টাকা বানিয়ে ছিল আর যে টাকা মানি লন্ডারিং করে ছিল, সেগুলো ব্যবহার হচ্ছে। অন্তত মানুষের প্যাকেটে কিছু টাকা তো যাচ্ছে।

তিনি বলেন, আমি বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে বলেছি, প্রতিদিন একটু করে লোডশেডিং দিতে। যাতে বিদ্যুৎ থাকার গুরুত্বটা বোঝে। আর বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে সবাই। সুবিধাটা নিচ্ছে অর্থশালীরা। এজন্য নির্দেশনা দিয়েছি, যারা বেশি ব্যবহার করবে, তারা বেশি টাকা দেবে। সেভাবে মূল্য নির্ধারণ করতে।

সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, সংসদ সদস্য ও সরকারের পদস্থ কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন।