সম্পাদক পরিষদের দাবি, রোজিনার নিঃশর্ত মুক্তি

0
89
প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম

দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক

প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে সচিবালয়ে আটকে রেখে হেনস্তা করা ও মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় গভীর ক্ষোভ প্রকাশের পাশাপাশি তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছে সম্পদক পরিষদ। একই সঙ্গে নিঃশর্তভাবে তাকে মুক্তির পাশাপাশি হেনেস্তার ঘটনা নিরপে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেও দাবি জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার সম্পাদক পরিষদের পে সভাপতি মাহফুজ আনাম ও সাধারণ সম্পাদক নঈম নিজাম স্বারিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, সচিবালয়ে কর্তব্য পালন করতে গিয়ে প্রায় ৬ ঘণ্টা হেনস্তার পর প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে থানায় সোপর্দ, মামলা দায়ের, সারা রাত থানায় রাখা, আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ডের আবেদন, জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় সম্পাদক পরিষদ গভীর উদ্বেগ, ােভ প্রকাশ, তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সম্পাদক পরিষদ গভীর উৎকণ্ঠার সঙ্গে ল্য করছে, ১৯২৩ সালের অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের আওতায় রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই যুগে এই সময়ে একজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ আমলের করা আইনে মামলা দায়ের সংশ্লিষ্টদের সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধের নেতিবাচক মনোভাব ও অশুভ মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ। যা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্বের চেষ্টার পাশাপাশি আগামী দিনের স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মত প্রকাশের জন্য হুমকি। একটি গণতান্ত্রিক সমাজে এ ধরনের হীন চেষ্টা সংবাদপত্রের অস্তিত্বকে হুমকির দিকে ঠেলে দেয় ও পেশাকে চ্যালেঞ্জের দিকে নিয়ে যায়।

সম্পাদক পরিষদ মনে করে, এই নজিরবিহীন ঘটনা বাংলাদেশের সাংবাদিকতার ইতিহাসে কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে। রোজিনা ইসলামকে সচিবালয়ে প্রায় ৬ ঘণ্টা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি কে জিম্মি করে রাখা, তাকে বিভিন্নভাবে হেনন্তা করার ঘটনা শুধু দুঃখজনক নয়, এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। কোন আইনে একজন সাংবাদিককে এভাবে আটকে রাখা হলো নিরপে তদন্তের মাধ্যমে তা বের করতে হবে। ব্যবস্থা নিতে হবে দোষীদের বিরুদ্ধে।

বিবৃতিতে রোজিনা ইসলামের মুক্তি দাবি করা হয়। নিঃশর্তভাবে তাকে মুক্তির পাশাপাশি পুরো ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ।