দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক
সরকারিভাবে কেনা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রথম চালান ৫০ লাখ ডোজ দেশে পৌঁছেছে।
সোমবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের টিকার চালান এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিশেষ ফ্লাইট ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
এই টিকা আনা হচ্ছে বাংলাদেশে সেরাম ইনস্টিটিউটের এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটর বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মাধ্যমে।
টিকার বাক্স টঙ্গীতে বেক্সিমকোর ওয়্যারহাউজে নিয়ে যাওয়ার জন্য আগেই নয়টি ফ্রিজার ভ্যান বিমানবন্দরে প্রস্তুত ছিল।
এ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের বলেন, সেরাম ইনস্টিটিউট ২১ থেকে ২৫ তারিখের মধ্যে ৫০ লাখ ডোজ টিকা দওয়া প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পাঠানো ৫০ লাখ ডোজ টিকা আমরা গ্রহণ করলাম। এটাকে আমরা এখন নিয়ে যাব টঙ্গীতে আমাদের নতুন ওয়্যারহাউজে। কোল্ড চেইন মেনটেইন করে সেখানে টিকা রাখা হবে।
নাজমুল হাসান জানান, ওয়্যারহাউজ থেকে প্রতিটি ব্যাচের টিকার নমুনা পাঠানো হবে সরকারের ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে। পরীক্ষার পর সবকিছু ঠিক থাকলে ছাড়পত্র দেয়া হবে। ছাড়পত্র পাওয়ার পর টিকাগুলো ৬৪টি জেলায় পৌঁছে দেবে বেক্সিমকো।
তিনি বলেন, আমরা অ্যাপ্রুভাল পাওয়ার পর সরকার যেখানে পাঠাতে বলবে, সেখানে পাঠিয়ে দিব।
বেক্সিমকোর কর্মকর্তাদের পাশাপাশি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাও টিকা গ্রহণ করতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।
করোনাভাইরাস মহামারীর এক বছর পেরিয়ে যাওয়ার পর আশা হয়ে এসেছে টিকা। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড সেরাম ইনস্টিটিউটেও তৈরি হচ্ছে।
এই টিকার তিন কোটি ডোজ কিনতে গত ৫ নভেম্বর সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশ সরকার। চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি মাসে টিকার ৫০ লাখ ডোজ পাঠানোর কথা সেরাম ইনস্টিটিউট।
এর আগে ভারত সরকারের কাছ থেকে উপহার হিসেবে একই টিকা ২০ লাখ ডোজ পাওয়ার পর সরকার ২৭ জানুয়ারি থেকে টিকা প্রয়োগ শুরুর সিদ্ধান্তও নিয়েছে।