সাতক্ষীরার নিখোজ শিশুর লাশ উদ্ধার, বাবা-মা আটক

0
129
Shatkhira-DROHO-27-P2
নিখোজ শিশুর লাশ উদ্ধার

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার হাওয়ালখালি গ্রামের সোহাগ হোসেন ও ফাতেমা খাতুন দম্পতির ঘরে থেকে হারিয়ে যাওয়ার ৪০ ঘন্টা পর সেপটি ট্যাঙ্ক থেকে শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার।

শুক্রবার রাত ১টার দিকে শিশুটির লাশ নিজের বাড়ির সামনের সেপটি ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধা করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে শিশুটির বাবা ও মা কে। এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরের মায়ের পাশ থেকে ঘুমন্ত শিশুটি হারিয়ে যায়।

পুলিশ জানায়, সম্প্রতি ওই দম্পতির ঘরে জন্ম নেয়া নবজাতক শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিল। শিশুটি জন্ডিস, নিউমোনিয়া, হার্টের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ছিল। এক পর্যায়ে ওই দম্পতি শিশুটিকে হত্যার পর লাশ সেপটিক ট্যাঙ্কে গুম করে ফেলে। এরপর নিখোঁজের নাটক সাজান তারা।

পুলিশ জানায়, কলারোয়া উপজেলার সাহাপুর গ্রামের সোহাগ হোসেনের সাথে ফাতেমার বিয়ে হয়। শ্বশুরবাড়িতে পারিবারিক কলহের কারণে সদর উপরজেলার হাওয়ালখালী গ্রামের নানির বাড়িতে স্বামীসহ আশ্রয় নেয় এ দম্পতি। ১১ নভেম্বর সাতক্ষীরা শহরের একটি ক্লিনিকে ফাতেমা পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়। শিশুটির নাম রাখা হয় সোহান হোসেন।
এরপর শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নিয়ে যেতে হয় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। গত ২৫ নভেম্বর তারা সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন। পরদিন দুপুরে বাড়ির বারান্দায় ঘুমন্ত মায়ের পাশ থেকে শিশুটি হারিয়ে যায় তারা জানান। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা সোহাগ হোসেন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মীর্জা সালাহ উদ্দীন জানান, পুলিশ এ ঘটনায় সন্দেভাজন হিসেবে শিশুটির মা ও বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা জানায়, যে শিশুটি খুবই অসুস্থ ছিল। সে জন্ডিস, নিউমোনিয়া, হার্টের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিল। এ কারণে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে স্বামী-স্ত্রী মিলে শিশুটিকে হত্যা করে এবং লাশ গুমের ঘটনাটি ঘটিয়েছে। পুলিশ শুক্রবার রাতে লাশটি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ওই দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।