সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে অগ্নিকান্ডে নিহত ৪০

0
227

দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক

সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী অভিযান-১০ লঞ্চে আগুনের ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা বেড়ে ৪০ জনে দাঁড়িয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে ঝালকাঠি সদরের দিয়াকুল গ্রামের কাছে সুগন্ধা নদীতে লঞ্চটির ইঞ্জিন রুমে আগুন লাগে। প্রায় আট শ’ যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে বরগুনা যাওয়ার পথে ঝালকাঠিতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

কুয়াশার জন্য উদ্ধারকাজ কিছুটা ব্যাহত হয়। নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধানে ফায়ার সার্ভিস কাজ করে যাচ্ছে। লঞ্চে আগুনে এখন পর্যন্ত ৪০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

বরিশাল ফায়ার নার্ভিসের উপ-পরিচালক কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, উদ্ধার কাজ চলছে। মোট পাঁচটি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ করেছে। উদ্ধার কাজ শেষ হলে বিস্তারিত জানানো হবে।

লঞ্চের যাত্রী পাথরঘাটা পল্লী বিদ্যুতের লাইনম্যান মতিউর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার রাত তিনটার দিকে লঞ্চের নিচতলার ইঞ্জিন রুম থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। প্রচন্ড ধোঁয়ায় যাত্রীদের মধ্যে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। অনেকেই সঙ্গে সঙ্গে নদীতে ঝাঁপ দেন।

ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা জানান, সুগন্ধা নদী থেকে তারা নয় জন হতভাগ্য যাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন। বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে লঞ্চটিতে আগুন লাগে বলে যাত্রীরা জানিয়েছেন। ঝালকাঠি সদর উপজেলার গাবখান ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের গাবখান চ্যানেলে এলে লঞ্চ থেকে কিছু যাত্রী নামতে পেরেছেন।

ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক জোহর আলী জানান, এখন পর্যন্ত ৭৫ জন আহত যাত্রীকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হতাহতদের পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি। ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল কর্তৃপ জানিয়েছে, আহত ১৫ জন এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

লঞ্চটির কয়েকজন যাত্রী বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে হঠাৎ যাত্রীরা আগুন দেখে চিৎকার শুরু করে। কিন্তু কিছু বুঝে উঠার আগেই লঞ্চটিতে আগুন ধরে যায়। এসময় কিছু যাত্রীরা লাফিয়ে নদীতে পড়েন। এছাড়া স্থানীয় ট্রলার চালকরা এগিয়ে গিয়ে লঞ্চ ও নদী থেকে বেশ কিছু যাত্রীদের উদ্ধার করে।

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আব্দুল কাইয়ুম বলেন, তিনি দোতলায় ঘুমিয়ে ছিলাম। আগুনের তাপে ঘুম ভেঙ্গে দেখেন পুরা লঞ্চটিতে আগুন ধরে গেছে। তখন লাফ দিয়ে নদীতে ঝাঁপ দেন।