বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৫
Home Blog Page 37

ঝিনাইদহের জামায়াত নেতা হত্যা মামলার আসামি নিহত

0

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে জামায়াত নেতা হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামিকে গভীর রাতে বাড়ি থেকে পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১ টার দিকে কোটচাঁদপুর উপজেলার চাঁদপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত কওসার আলী (৫৫) ওই গ্রামের লুৎফর লস্কারের ছেলে। নিহত কওসার আলী বিগত সরকারের আমলে পুলিশ ও র‌্যাবের সোর্স হিসেবে কাজ করতো। সে জামায়াত নেতা এনামুল মাস্টার হত্যা মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী।

স্থানীয়রা জানায়, ওই দিনগত রাত ১২ টার দিকে ১৫/২০ জন মুখোশধারী লোক তার বাড়িতে এসে জোরপুর্বক তুলে নিয়ে যায়। পরে বাড়ির পাশের রেলগেটে পিটিয়ে ও কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। পরিবারের সদস্যরা খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কর্তব্যওু চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষনা করে।
নিহতের মা নুরজাহান বেগম বলেন, গভীর রাতে মুখোশধারী লোক এসে পুলিশ পরিচয়ে তার বাড়ি থেকে কাওসারকে তুলে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর খবর আসে বাড়ির পাশের রেললাইনে তাকে কুপিয়ে রেখে গেছে। এ ঘটনার সাথে গ্রামের লোকজন জড়িত আছে। তিনি তার ছেলে হত্যার বিচার চান।

আরও পড়ুন – ইকোনোমিক সেক্রেটারির পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন টিউলিপ সিদ্দিক

কোটচাঁদপুর থানার ওসি কবির হোসেন মাতুব্বর জানান, ২০১৪ সালে জামায়াত নেতা এনামুল মাস্টার হত্যার শিকার হন । এ ঘটনায় গত ৫ আগস্টের পর কোটচাঁদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়। কওসার আলী সেই হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

ইকোনোমিক সেক্রেটারির পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন টিউলিপ সিদ্দিক

0

দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক

যুক্তরাজ্যের ইকোনোমিক সেক্রেটারির পদ থেকে টিউলিপ সিদ্দিক পদত্যাগ করেছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠের কাছ থেকে ফ্ল্যাট উপহার নিয়ে ব্যাপক চাপের মুখে ছিলেন তিনি।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) টিউলিপ নিজেই এক টুইটে তার পদত্যাগের বিষয়টি জানিয়েছেন।

টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অর্থনৈতিক অসঙ্গতির অভিযোগ উঠেছে। এরপর নিজের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ মিনিস্ট্রিয়াল ওয়াচডগকে তদন্তের আহ্বান জানান টিউলিপ। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেন মিনিস্ট্রিয়াল ওয়াচডগের উপদেষ্টা লরি ম্যাগনাস।

গত আগস্টে গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন শেখ হাসিনা। এরপর শেখ হাসিনা সরকার আমলে বাংলাদেশে ৯টি অবকাঠামো প্রকল্প থেকে ৮০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। তাতে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যের সঙ্গে টিউলিপ সিদ্দিকের নাম আসে। ওই অভিযোগ তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের এই তৎপরতা আলোচনায় আসার পর যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিষয়টি খবর প্রকাশ হয়। ২০১৩ সালে শেখ হাসিনার মস্কো সফরে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তার বৈঠকের সময় টিউলিপ সিদ্দিকও উপস্থিত ছিলেন। তার ওই ছবি এ সময় ফলাও করে প্রচার করে বেশ কয়েকটি ব্রিটিশ গণমাধ্যম।

লন্ডনে হাসিনা ঘনিষ্ঠের কাছ থেকে উপহার নেওয়া ছাড়াও; সাবেক এক বাংলাদেশি এমপির কাছ থেকে ২০১৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের দুটি টিকিট নিয়েছিলেন টিউলিপ। এসবের মধ্যেই দেশটির বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টি টিউলিপকে বরখাস্তের দাবি জানিয়েছিল। তারা বলছিল, টিউলিপের ওপর ব্রিটেনের দুর্নীতি প্রতিরোধের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারই নাম দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়েছে। এতে তিনি মন্ত্রিত্বের দায়িত্ব পালনের নৈতিকতা হারিয়েছেন।

রয়টার্স লিখেছে, পদত্যাগপত্রে তিনি লিখেছেন, অভিযোগ পর্যালোচনার পর ব্রিটিশ সরকারের ইনডিপেনডেন্ট এথিকস অ্যাডভাইজর (স্ট্যান্ডার্ডস ওয়াচডগ) স্যার লাউরি ম্যাগনাস নিশ্চিত করেছেন যে, তিনি মন্ত্রী হিসেবে কোনো নিয়ম লঙ্ঘন করেননি।

পরে মন্ত্রিত্ব থেকে সরে দাঁড়ানো টিউলিপ এক্স হ্যান্ডেলে তার পদত্যাগের কথা জানান। এতে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো পদত্যাগপত্রের ছবিও পোস্ট করেন।

এদিকে রয়টার্স লিখেছে, টিউলিপকে লেখা স্টারমারের একটি চিঠি প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। সেখানে তিনি লিখেছেন, “আপনার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করার পাশাপাশি আমি এটাও স্পষ্ট করে বলতে চাই, স্বাধীন উপদেষ্টা হিসেবে স্যার লরি ম্যাগনাস আমাকে আশ্বস্ত করে বলেছেন যে, তিনি মন্ত্রী হিসেবে আপনার বিরুদ্ধে নিয়ম লঙ্ঘন ও আর্থিক অনিয়মের কোনো অভিযোগের ঘটনা পাননি।”

তিনি মন্ত্রী থাকলে সরকার তার কাজে মনযোগ দিতে পারবেন না এমন কথা উল্লেখ করে টিউলিপ বলেছেন, “এ কারণে আমি আমার মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, পেনসনমন্ত্রী এমা রেনল্ডস টিউলিপের স্থলাভিষিক্ত হবেন।

উল্লেখ্য, টিউলিপ সিদ্দিক গত বছর লেবার পার্টির মনোনয়নে টানা চতুর্থবারের মতো যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর গত জুলাইয়ে তিনি ইকোনোমিক সেক্রেটারি টু দ্য ট্রেজারি অ্যান্ড সিটি মিনিস্টার পদে নিয়োগ পান।

আরও পড়ুন – কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতার দখল থেকে সরকারি জমি উদ্ধার

গত বছর ৪ জুলাই অনুষ্ঠিত যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে দক্ষিণ-পশ্চিম লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেট আসন থেকে টানা চতুর্থবারের মতো পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হন টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি ২০১৫ সালে প্রথম যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতার দখল থেকে সরকারি জমি উদ্ধার

0

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ায় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতার দখলে থাকা প্রায় ৫০ কোটি টাকার সরকারি জমি উদ্ধার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের তত্ত¡াবধানে ওই জমিতে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।

বিপুল সংখ্যাক আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিতে গুড়িয়ে দেওয়া হয় এসব অবৈধ স্থাপনা। জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সরকারি হাউজিং আবাসিক প্রকল্পের ওই জমি জবর দখল করে সুরম্য গেট ও বাউন্ডারি নির্মাণ করেন।
জানা গেছে, ২০১৮ সালে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ সংলগ্ন ১৯ দশমিক ৫ একর জমি লটারির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মধ্যে বরাদ্দ দেয় জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ। ১৭৩ জন মানুষ এই জমি বরাদ্দ পান। তাদের অনেকেই জমির নির্ধারিত মূল্য পরিশোধ করে রেজিস্ট্রি দলিল করে নেন। পরে জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ও কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাজী রবিউল ইসলাম সরকারি নিয়ম নীতি লংঘন করে দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফের সহায়তায় সাধারণ মানুষের নামে বরাদ্দকৃত ওই জমিতে বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা গড়ে তোলার উদ্যোগ নেন। মাহবুব উল আলম হানিফের দক্ষিণ হস্ত বলে পরিচিত প্রভাবশালী এই আওয়ামী লীগ নেতা বরাদ্দ পাওয়া ব্যক্তিদের জমি বুঝিয়ে না দিয়ে সরকারি অর্থ ব্যয় করে সেখানে মসজিদ অডিটোরিয়াম এবং আইটি পার্কসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করেন।

সেইসঙ্গে রবিউল ইসলাম ওই জমির মধ্য থেকে প্রায় দুই বিঘা জমি নিজের দখলে নেন। যে জমির আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫০ কোটি টাকা। ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ওই জমি এই আওয়ামী লীগ নেতা সুরম্য বাউন্ডারি ওয়াল দিয়ে ঘিরে দখল করে রেখেছিলেন।

এ ঘটনায় জমি বরাদ্দ পাওয়া ব্যক্তিরা আদালতে একাধিক মামলা দায়ের করেন। এসব মামলায় আদালত প্রকৃত জমি মালিকদের জমি বুঝিয়ে দেয়ার নির্দেশ দিলেও প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা রবিউল ইসলাম ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফের চাপের কারণে এতদিন জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ সেখানে কোন ধরনের অভিযান পরিচালনা করতে পারেনি।

সর্বশেষ ২০২৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর উচ্চ আদালত থেকে রায় পেলেও হাজী রবিউল ইসলামের রাজনৈতিক পেশি শক্তির কাছে পরাজিত হন। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতার পালা বদলের পর মঙ্গলবার সেই জমি নিজেদের দখলে নিতে সক্ষম হয়েছে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ। এদিন তারা রবিউল ইসলামের ব্যক্তিগত দখলে থাকা জমি উদ্ধারের পাশাপাশি ওই জমিতে সরকারি অর্থে চলমান আইটি পার্কের নির্মাণ কাজ বন্ধ ও অবকাঠামো ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়।

এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আর এম সেলিম শাহনেওয়াজ।

এ সময় ভুক্তভোগী ও হয়রানির শিকার প্লট মালিকরা বলেন, সরকারি কোষাগারে টাকা জমা দিয়ে এবং বারবার আইনের দ্বারস্থ হয়েও এতদিন প্লট বুঝে পাচ্ছিলেন না। তারা আওয়ামী লীগ আমলে রায় পেলেও প্রভাবশালী নেতারা জায়গা জোর করে দখল করে রেখেছিলেন উন্নয়ন করার নামে। উল্টো মামলা তুলে নিতে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছিলেন। এখন তারা ন্যায় বিচার পাবেন বলে আশা করছেন।

আরও পড়ুন – কোটচাঁদপুরে কাঠ রিফাইন কারখানার বয়লার বিস্ফোরণে নিহত দু’জন

গৃহায়ণ কতৃপক্ষের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মাহসুদুর রহমান বলেন,‘আমাদের প্রায় ২০ একর জায়গা নিয়ে সমস্যা আছে। আমরা সেগুলো আজ দখলমুক্ত করছি। নতুন করে ডিজাইন করে ১৭৩ প্লট মালিকের মধ্যে বিভাজন করা হবে। আর মসজিদ ও অডিটরিয়াম বাদে সেখানে আর কোন স্থাপনা রাখা হবে না।

কোটচাঁদপুরে কাঠ রিফাইন কারখানার বয়লার বিস্ফোরণে নিহত দু’জন

0

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে কাঠ রিফাইন কারখানার বয়লার বিস্ফোরণে দুই শ্রমিক নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।

মঙ্গলবার সন্ধার দিকে উপজেলার বলুহর বাসস্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, উপজেলার সিঙ্গিয়া গ্রামের ওমর আলীর ছেলে মিল্টন (২৬) ও একই গ্রামের ক্ষিতিশের ছেলে রাম কুমার (৫৫)।

স্থানীয়রা জানান, ওই এলাকার মিজানুর রহমানের কাঠ ডিজাইন কারখানার ব্রয়লারে কাঠ দিয়ে তাপ দেয়া হচ্ছিলো। হঠাৎ করেই এতে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে ওই কারখানার মিস্ত্রি মিল্টন ও রাম ঘটনাস্থলেই মারা যায়। আহত হয় আরও দুইজন। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে যশোরে পাঠানো হয়।

আরও পড়ুন – খোকসায় উদ্ধার করা মৃতদেহের পরিচয় মিলেছে

কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কবির হোসেন মাতুব্বর বলেন, ঘটনার সংবাদ শুনে ঘটনাস্থলে এসেছি। দুইজন মারা গেছে আর দুইজন আহত হয়েছেন।

খোকসায় উদ্ধার করা মৃতদেহের পরিচয় মিলেছে

0

স্টাফ রিপোর্টার

কুষ্টিয়ার খোকসার গ্রামের একটি পুকুর থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তির অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত মানসিক ভারসাম্যহীন ওই ব্যক্তিকে কয়েক দিন এলাকায় ঘুড়তে দেখা গেছে বলে গ্রামবাসীরা জানান। মৃতদেহ উদ্ধারের চার ঘন্টা পর জানা গেলো তার আসল পরিচয়।

মঙ্গলবার সকালে জয়ন্তী হাজরা ইউনিয়নের মামুদানিপুর গ্রামের মেম্বর মজিবর রহমান মালের বাড়ি সংলগ্ন পুকুরে মৃতদেহটি দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে থানা পুলিশ ওই পুকুর থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে। প্রথম অবস্থায় নিহত ব্যক্তির নাম পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তার বয়স ৫৫ বছরের একটু কমবেশি হতে পারে। তার পরনে একটি পঞ্জাবী ও জিনসের জ্যাকেট রয়েছে। মৃতদেহের শরীরের চামড়ায় পচন ধরেছে। তা থেকে প্রচন্ড দুরগন্ধ ছড়াচ্ছে।

মৃতদেহ উদ্ধারের প্রায় ৪ ঘন্টা পর বেলা পৌনে ১টার দিকে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওই নিহত ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, উদ্ধার করা নিহত ব্যক্তির নাম আব্দুল মজিদ ওরফে সেন্টু। তিনি পাংশা উপজেলা মথুরাপুর গ্রামের মৃত এলাহী বস্কের ছেলে। নিহত ব্যক্তি মাছপাড়া ডিগ্রী কলেজের অফিস সহায়ক পদে চাকুরিরত ছিলেন। ১২/১৩ বছর আগে হৃদরোগের অপারেশনের পর তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পরেন।

জয়ন্তী হাজরা ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর ও পুকুরের মালিক মজিব রহমান মাল জানান, তিনি সকালে বাড়ির বাইরে ছিলেন। শিশুরা ছাগল রাখার সময় তার পুকুরে মরা মানুষ ভাসতে দেখে। এই খবর পেয়ে তিনি (মজিবর রহমান) বাড়ি ফিরে আসেন। পুলিশ এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করেছে। নিহত ব্যক্তিকে তিনিও চেন না। তবে শুনেছেন শুক্রবার দিনগত রাতে নিহত ব্যক্তি ফুলবাড়ি গ্রামের হামিদ মোল্লার পুকুরে পরে গিয়েছিল। সেখান থেকে গ্রামবাসী তাকে উদ্ধার করে। প্রাথমিক ভাবে সুস্থ করার পর তাকে শুকনো পোষাক পড়িয়ে দেয়। শেষ রাতে নিজের ভেজা কাপড় ফেলে রেখে সেখান থেকে বেড়িয়ে পরেন।

ফুলবাড়িয়া গ্রামের শরিফুর ইসলাম পাঠান জানান, শুরবার দিনগত রাত ২টার দিকে নিজের ঘরের পাশে পুকুর থেকে মানুষের গুংড়ানোর শব্দ শুনতে পান। তিনি প্রতিবেশী রাসু ও মাজেদকে নিয়ে পুকুর থেকে তাকে উদ্ধার করে আগুন জ্বেলে সুস্থ করার চেষ্টা করা করেন। এক পর্যায়ে নিজেদের পুরাতন কাপড় তাকে পরিয়ে দেওয়া হয়। শেষ রাতে স্থানীয় বাজারের নিয়ে গিয়ে ছেড়ে দিয়ে আসেন। তিনি আরও নিশ্চিত করেন এই ব্যক্তিকেই (নিহত) তিনি ও তার প্রতিবেশীরা সুস্থ করার চেষ্টা করেছিলেন। পরে সে নিজের ইচ্ছায় তার বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে তারা তাকে বাজার পর্যন্ত এগিয়ে দেয়।

নিহতের ছেলে ইয়ামিন জানান, তার বাবা প্রায়ই বাড়ি থেকে চলে যেতেন। আবার একাই ফিরেও আসতেন। এবারও ৫/৬ দিন দিন আগে বাড়ি ছাড়েন আর ফিরেনি। তারা বাবা মানসিক ভারসাম্যহীন বলেও নিশ্চিত করেন।

আরও পড়ুন – কুষ্টিয়া বিএডিসি অফিসে দুদকের হানা

থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মঈনুল ইসলাম জানান, তিনি গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করেন। প্রাথমিক পর্যায়ে নিহতের পরিচয় জানা যায়নি। প্রায় চার ঘন্টা পর নিহতের নাবালক ছেলে ইয়ামিন তার বাবার পরিচয় নিশ্চিত করেন। মৃত ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল বলেও তার পরিবার নিশ্চিত করেছে।

কুষ্টিয়া বিএডিসি অফিসে দুদকের হানা

0

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

ফ্যাসিবাদ আওয়ামী সরকারের শাসনামলের শেষ চার বছরে ২৪৮ কোটি টাকার সরকারি প্রকল্পে নয়-ছয়ের অভিযোগসহ সিন্ডিকেট করে শত শত কোটি টাকার টেন্ডার বাণিজ্য ছাড়াও নানা অভিযোগের তদন্তে দুদক এ অভিযান চালায়।

কুষ্টিয়া বিএডিসি অফিসে ২৪৮ কোটি টাকা প্রকল্পে নয়-ছয়ের অভিযোগ দুদক অভিযান চালায়। তবে অভিযানের খবর আগেই ফাঁস হয়ে যাওয়ায় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাসহ কয়েকজন কৌশলে সটকে পড়েন বলে অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার সকালে দুদকের সমন্বিত কুষ্টিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নীল কমল পালের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের টিম বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন বিএডিসি সেচ প্রকল্পের কার্যালয়ে অভিযানে যান। তবে অভিযানের খবর আগেই ফাঁস হয়ে যাওয়ায় এ সময় প্রকল্প পরিচালকসহ ও সংশ্লিষ্ট কয়েকজন কৌশলে সটকে পড়েন।

পরে দুদক টিম প্রাপ্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন এবং সরেজমিন বাস্তবায়িত প্রকল্পের অস্তিত্ব খুঁজে বের করার জন্য প্রকল্প এলাকায় যান।

দুদকের সহকারী পরিচালক নীল কমল পাল সাংবাদিকদের বলেন, (কুষ্টিয়া মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা এই তিন জেলার) ২৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে মুজিব নগর সমন্বিত সেচ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বিপুল পরিমাণ সরকারি টাকা আত্মসাত বা তসরূপসহ সিন্ডিকেট করে টেন্ডার বাণিজ্যের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা ভাগ বাটোয়ারা ছাড়াও নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তে এসেছিলাম। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত না থাকায় তাদের কাছে তদন্ত প্রাসঙ্গিক প্রয়োজনীয় নথিপত্র দাখিলের অনুরোধ করেছি। সেই সঙ্গে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার অধীনে বাস্তবায়িত কয়েকটি প্রকল্প এলাকায় সরেজমিন তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অভিযোগ বিষয়ে তদন্তে সত্যতা পেলে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রকল্প পরিচালকের যোগসাজশে নিজেদের পছন্দমতো ঠিকাদার দিয়ে কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার পলাতক কয়েকজন আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্যের কারসাজিতে রাষ্ট্রের এই টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে অতি উর্বর মাটির জেলা কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর অঞ্চলকে বিশেষ বিবেচনায় নেওয়া হয়। এই অঞ্চলের প্রায় সাড়ে ২১ হাজার হেক্টর কৃষি জমিতে নিষ্কাশন সুবিধাসহ সেচ ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করে বিএডিসি।
এতে সুবিধা সৃষ্ট জমিতে প্রতি বছর ৫১ হাজার মেট্রিক টন ধান, গম ও ভুট্টাসহ খাদ্যশস্য উৎপাদনের লক্ষ্যে গৃহীত হয় প্রকল্পটি। ২৪৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকার প্রাক্কলন ব্যয় ও ৫ বছর বাস্তবায়নকাল ধরে অনুমোদন লাভ করে ‘মুজিবনগর সেচ উন্নয়ন প্রকল্প’।

প্রকল্প বাস্তবায়নের খাতগুলির মধ্যে রয়েছে- ১৩০টি সৌরচালিত ডাগওয়েল নির্মাণ যার প্রতিটি নির্মাণ ব্যয় ১২ লাখ টাকা, ১৮০ কিলোমিটার খাল পুনঃখনন যার প্রতি কিলোমিটার খাল খনন ব্যয়- ৯ লাখ টাকা, ২৫৫টি পাম্প হাউজ নির্মাণ যার প্রতিটির নির্মাণ ব্যয় ১৫ লাখ টাকা, ৯৫টি ২ কিউসেক ফোর্সমোড পাম্পসেট স্থাপন যার প্রতিটির ব্যয় ১৫ লাখ টাকা, ৫ কিউসেক সোলার পাম্প ২৫টি যার প্রতিটির নির্মাণ ব্যয় ১৫ লাখ টাকা, ১৫টি বড় আকারের সেচ অবকাঠামো যার প্রতিটি নির্মাণ ব্যয় ৪০ লাখ টাকা, ১২০টি মাঝারি আকারের সেচ অবকাঠামো যার প্রতিটি নির্মাণ ব্যয় ২৫ লাখ টাকা, ৩০০টি ছোট আকারের সেচ অবকাঠামো যার প্রতিটি নির্মাণ ব্যয় সাড়ে সাত লাখ টাকা এবং ২১৫টি বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণ যার প্রতিটি নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ লাখ টাকা। এভাবে মোট ১১টি খাতের উন্নয়ন প্রকল্পাংশ বাস্তবায়নে সরকারি ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।

কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এই উন্নয়ন প্রকল্পটি মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নে টেন্ডার সিন্ডিকেটসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বরাদ্দকৃত টাকা কাগজে বিল ভাউচারের মাধ্যমে আত্মসাৎ ও হরিলুটের অভিযোগ উঠেছে।

একই সঙ্গে ২০২৪-২৫ চলতি অর্থ বছরে প্রকল্পের বাকি অংশের বাস্তবায়নে ৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ের স্বচ্ছতার ভিত্তিতে সম্পন্ন করার দাবিতে প্রকল্প কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারগণ।

একইভাবে দুদকে প্রেরিত একাধিক লিখিত দরখাস্তে এই প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ ও হরিলুটের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে- প্রকল্প পরিচালকের যোগসাজশে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান একই কাজ দুইবার বা তিনবার দেখিয়ে ভুয়া বিল ভাউচার করে কাগজে কলমে প্রকল্প বাস্তবায়ন দেখিয়ে ওই খাতের টাকা তুলে নিয়েছেন। প্রকল্প পরিচালকের মনোনীত ঠিকাদারের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ভুয়া কোটেশনে কাজ দেখিয়ে তার বিল ভাউচার করে টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর অঞ্চলে স্থাপনকৃত ২ শতাধিক সেচ প্লান্টের জন্য চাষিদের কাছ থেকে প্রতিটি প্লান্ট বাবদ ৫ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণেরও অভিযোগ উঠেছে। প্রকল্প পরিচালক প্রতিটি কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য মনোনীত ঠিকাদারের কাছ থেকে মোট প্রকল্প ব্যয়ের ৫ ভাগ কমিশন গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে। কাজ না করে ভুয়া বিল ভাউচারের টাকা উত্তোলনে প্রকল্প পরিচালক নেন ৪০ ভাগ এবং ঠিকাদার নেন ৬০ ভাগ। প্রকল্পের ডিপিপির ড্রয়িং ডিজাইন অনুযায়ী নির্ধারিত মাপের ছোট, মাঝারি ও বড় সাইজের সেচ অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়নি বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, মুজিবনগর সেচ উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দ টাকার সিংহভাগই অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে লুটপাট করা হয়েছে অভিযোগ উঠেছে। অনিয়মকে নিয়ম বানিয়ে সরকারি বরাদ্দের এসব টাকা তছরুপ করা হয়েছে। চার বছরে প্রকল্পটির খাতা-কলমে অগ্রগতি ৭৫ ভাগ হলেও মাঠ পর্যায়ে তার অস্তিত্ব নেই। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ২৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়ে ইতোমধ্যে ১৯২ কোটি টাকা খরচ হয়ে গেছে। প্রকল্পটির বিরুদ্ধে সরকারি টাকা নয়-ছয় এবং মাঠ পর্যায়ে কাজের অস্তিত্ব না থাকায় দুর্নীতি দমন কমিশনে অনুসন্ধানের জন্য একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়াও কাজ শেষে ঠিকাদার বিল নেওয়ার পূর্বে প্রকল্প পরিচালক (২ শতাংশ), সহকারী প্রকৌশলী (১ শতাংশ), সাইট অফিসার (২ শতাংশ) ও হিসাব সহকারী (১ শতাংশ) হারে কমিশন প্রদান বাধ্যতামূলক।

জানা গেছে, মুজিব নগর সেচ উন্নয়ন প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী ও বর্তমান প্রকল্প পরিচালক আলী আশরাফ ছাড়াও এই প্রকল্পের প্রথম পরিচালক নুরুল ইসলাম ও দ্বিতীয় পরিচালক মাহাবুব আলমসহ সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে এসব আবেদন পত্র।

আরও পড়ুন – সেই চেয়ারম্যানকে পরিষদের ফিরিয়ে আনলো জনতা

এ বিষয়ে বিএডিসির প্রকল্প পরিচালক ও নির্বাহী প্রকৌশলী আলি আশরাফ বলেন, আজকে উনারা আসবেন সেটা জানা ছিলো না। বাস্তবায়নাধী প্রকল্প এলাকায় তদারকিতে গিয়েছিলাম। তবে সেল ফোনে দুদক কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাদের চাহিদা অনুযায়ী নথিপত্র দুই একদিনের মধ্যেই তাদের সরবরাহ করা হয়। অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়টিও তিনি অস্বীকার করেন।

সেই চেয়ারম্যানকে পরিষদের ফিরিয়ে আনলো জনতা

0

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার ৮ নম্বর যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের তালা প্রায় ৯ দিন পরে ভেঙে দিয়েছেন স্থানীয় নারী পুরুষ।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে হাতুড়ি দিয়ে তারা তালা ভাঙেন। পরে তারা একটি মিছিল নিয়ে চেয়ারম্যানের বাড়িতে যান এবং চেয়ারম্যানকে ধরে পরিষদে নিয়ে এসে সেবা নেন।

দুপুরে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, পরিষদ চত্বরে ও ভিতরে নানা বয়সি কয়েক’শ নারী পুরুষ। চেয়ারম্যান কক্ষে পরিস্কার পরিছন্নের কাজ করছেন গ্রাম পুলিশ। আর পরিষদের বারান্দায় বসে জন্মনিবন্ধনের সনদে স্বাক্ষর করছেন চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান। তাকে ঘিরে দাঁড়িয়ে সমেবেত জনতা।

এসময় আছিয়া নামের এব মধ্যবয়সি নারীরা বলেন, মিথ্যা দোষ চাপিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে তালা লাগিয়েছিল। সেজন্য চেয়ারম্যান পথে ঘাটে, বনে বাগানে বসে সই সাক্ষর করছিল। অনেকে পরিষদে এসে ফিরে যাচ্ছিলেন। এতে চরম জনদুর্ভোগ হচ্ছিল। সেজন্য হাতুড়ি দিয়ে কার্যালয়ের তালা ভেঙে তারা চেয়ারম্যানকে বাড়ি থেকে পরিষদে ডেকে এনেছেন।

যদুবয়রা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক ও পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, ষড়যন্ত্র করে কে বা কারা ছুটির রাতে পরিষদ চত্বরে ছাত্রলীগের কেক কেটেছিল। সেজন্য বিএনপির লোকজন কার্যালয়ে তালা লাগিয়েছিলেন। এতে জনগণের ভোগান্তি হচ্ছিল। তাই সোমবার শত শত সেবা প্রত্যাশী নারীরা পরিষদের তালা ভেঙে তাকে পরিষদে নিয়ে এসেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ৪ জানুয়ারি রাতে যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ছাত্রলীগের ৭৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে কেক কেটে বিভিন্ন শ্লোগান দেওয়া হয়। ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানার নেতৃত্বে এই কেক কাটা হয়। পরে কেক কাটার ভিডিও সোস্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। এর প্রতিবাদে ওই দিন রাতেই ইউনিয়ন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা চেয়ারম্যান কার্যালয়ে তালা দেন। তারপর ৫ জানুয়ারি দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল করে পরিষদ থেকে সচিব, গ্রাম পুলিশ ও সেবা প্রত্যাশীদের বের করে দিয়ে পরিষদ ভবনের প্রধান ফটকের গেটে তালা লাগিয়ে দেন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। পরে খবর পেয়ে ৬ জানুয়ারি দুপুরে পরিষদ চত্বরে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন থানার ওসি মো. সোলায়মান শেখ। বৈঠক শেষে তালা খুলে দেন নেতাকর্মীরা। আর ঘটনার ৯ দিন পর সোমবার স্থানীয় নারীরা চেয়ারম্যান কার্যালয়ে তালা ভেঙে ফেলেন।

যদুবয়রা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম আসাদ বলেন, পরিষদের বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া আছে। সরকারের কাছে সুষ্ঠু বিচার চাই।

কুমারখালী থানার ওসি সোলায়মান শেখ বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। আইন – শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।

আরও পড়ুন – মিরপুরে বিএনপির সাথে সংঘর্ষে আহত জামায়াত কর্মী মারা গেছেন

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম বলেন, পরিষদের ঘটনায় দুইটি লিখিত অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়েছে। নির্দেশনা পেলে তা বাস্তবায়ন করা হবে।

মিরপুরে বিএনপির সাথে সংঘর্ষে আহত জামায়াত কর্মী মারা গেছেন

0
ফাইল ছবি

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার মিরপুরে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হওয়া নিয়ে দ্ব›েদ্বর জের ধরে বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এক জামায়াত কর্মীর মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (১৩ জানুয়ারী) সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল থেকে ঢাকার ইবনে সিনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

নিহত ওই জামায়াত কর্মীর নাম খোকন মোল্লা (৩৫)। তিনি মিরপুর উপজেলার বুরাপাড়া গ্রামের নওশের মোল্লার ছেলে।

কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক মাওলানা আবুল হাশেম ও সেক্রেটারি অধ্যাপক সুজাউদ্দিন জোয়াদ্দার তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মিরপুর উপজেলা জামায়াতের নেতৃবৃন্দ এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি অবিলম্বে হামলাকারী সন্ত্রাসীদেরকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, জেলার মিরপুরে বুরাপাড়া-মিটন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি হওয়াকে কেন্দ্র করে রবিবার বিকাল সাড়ে চারটার দিকে বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৮ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে ৬ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং ১২ জনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মিরপুর উপজেলার আমলা ইউনিয়নের বুড়াপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি হওয়াকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন ধরেই ইউনিয়ন জামায়াতের আমির নাসিম রেজা মুকুল ও স্থানীয় বিএনপি কর্মী রাশেদ মাহমুদ নাসিরের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। তারা দুইজনেই কমিটির সভাপতি প্রার্থী ছিলেন।

আরও পড়ুন – স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ

মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোমিনুল ইসলাম জানান, বুরাপাড়া-মিটন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটি গঠন নিয়ে স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীদের মধ্যে গত কয়েকদিন ধরেই উত্তেজনা বিরাজ করছিল। রবিবার বিকালে স্কুলের মাঠে আমার উপস্থিতিতে একটা মিটিং হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমি যাওয়ার আগেই তারা দ্ব›েদ্ব জড়িয়ে পড়েন।

স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ

0

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার মিরপুরে বুরাপাড়া-মিটন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটি গঠন নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৮ জন আহত হয়েছেন। রবিবার বিকাল সাড়ে চারটার দিকে স্কুল মাঠে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে ৬ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং ১২ জনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে এক বৃদ্ধসহ তিনজনের অবস্থা আশঙ্কা জনক বলে জানা গেছে।

স্থানীয়রা জানান, মিরপুর উপজেলার আমলা ইউনিয়নের বুড়াপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটি গঠন নিয়ে কয়েকদিন ধরেই ইউনিয়ন জামায়াতের আমির নাসিম রেজা মুকুল ও স্থানীয় বিএনপি কর্মী রাশেদ মাহমুদ নাসিরের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। তারা দুইজনেই কমিটির সভাপতি প্রার্থী ছিলেন।

মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোমিনুল ইসলাম সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বুরাপাড়া-মিটন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটি গঠন নিয়ে স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীদের মধ্যে গত কয়েকদিন ধরেই উত্তেজনা বিরাজ করছিল। বিকালে স্কুলের মাঠে আমার উপস্থিতিতে একটা মিটিং হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমি যাওয়ার আগেই তারা দ্ব›েদ্ব জড়িয়ে পড়েন।

সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কয়েকশ নেতাকর্মী ছিলেন জানিয়ে ওসি বলেন, অনেকের হাতেই দেশীয় ধারালো অস্ত্র-সস্ত্র ছিল। স্থানীয়দের সহযোগিতায় সংঘর্ষে আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্নভাবে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে আহত কর্মীদের দেখতে আসা জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি সুজা উদ্দিন জোয়ার্দ্দার সাংবাদিকদের বলেন, বুরাপাড়া স্কুলের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি হিসেবে আমাদের স্থানীয় জামায়াতের এক নেতার নাম জমা দেওয়া হয়েছে। পরে বিএনপি নেতা নাসির আমাদের প্রার্থীকে আবেদন তুলে নিতে হুমকি দেন। হুমকিতে কাজ না হওয়ায় শনিবার রাতে তার বাড়িতে হামলা করা হয়। সেজন্য আজ আমরা একটা শালিসি মিটিংয়ের আয়োজন করেছিলাম। বিএনপি নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু এর মধ্যেই নাসিরের নেতৃত্বে অতর্কিতে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে আমাদের অন্তত ৩০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।

মিরপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব রহমত আলী রব্বান বলেন, নাসির এক সময় ছাত্রদল নেতা ছিলেন। এখন তিনি বিএনপির কর্মী। তবে ঘটনাটি যেহেতু স্থানীয় দুই পক্ষের তাই এটা নিয়ে কিছু বলতে চাই না।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডাঃ হাসান ইমাম বলেন, হাসপাতালে যারা চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এদের মধ্যে একজন বৃদ্ধের অবস্থা গুরুত্বর। প্রত্যেকেই মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত।

আরও পড়ুন – কুমারখালীতে টিসিবির তেল চেয়ে ৫৭০ জনের লিখিত আবেদন

মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম আরও জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কুমারখালীতে টিসিবির তেল চেয়ে ৫৭০ জনের লিখিত আবেদন

0

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

‘ টানা পাঁচ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়ায় থাকে সিরিয়াল পালাম। তাও ডিলার আসল জিনিস তেল দিলো না । ২৭০ টাহা নিয়ে খালি ৫ কেজি চাল আর ২ কেজি ডাল দিল। এ নেওয়ার চেয়ে দোহানে চা বেঁচলেই লাভ হতো। ‘ কুমারখালী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড এলংগীপাড়া এলাকার চা বিক্রেতা মিজানুর রহমান টোনে।

রবিবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে ওই চায়ের দোকানি আক্ষেপ করে কথা গুলো বলছিলেন। তিনি জানান, তিন মাস আগে টিসিবির ডিলার ৪৭০ টাকা নিয়ে ৫ কেজি চাল, ২ কেজি মসুরের ডাল ও ২ লিটার সয়াবিন তেল দিতেন। কিন্তু বাজারে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ডিলাররা গত দুইমাস সয়াবিন তেল দিচ্ছেনা।

গরীব মানুষ সাধারণত তেল আর ডালের জন্যই টিসিবির পণ্য নিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকে বলে জানান একই এলাকার বয়োজ্যেষ্ঠ নারী হাজিরা খাতুন। তিনি বলেন, অন্যের বাড়ি কাম কাজ করে খায়। বাজারে দুই লিটার তেলের দাম ৩৫০ টাকা। তবে ডিলার আগে ২০০ টাকায় দুই লিটার তেল দিত। মানুষ কোনোমতে খায়ে বাঁচত। এখন খুব কষ্ট হচ্ছে।

শুধু মিজানুর আর হাজিরা খাতুন নয়, টিসিবির পণ্যে তেল না থাকায় চরম অখুশি এ উপজেলার প্রায় ১৩ হাজার ৬৩২ জন গ্রাহক। তাঁদের মধ্যে অন্তত ৫৭০ জন টিসিবির পণ্যে চাল, ডাল, আটা, তেল, চিনি, আলু পেঁয়াজ প্রদানের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে গণস্বাক্ষর করে লিখিত অভিযোগ দেন।

জানা গেছে, গত শনিবার কুমারখালী পৌরসভার নবগ্রহ মন্দির এলাকায় ১, ২, ৩ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রাহকদের মাঝে টিসিবির পণ্য বিতরণ করেন ডিলার মো. রুবেল হোসেন ও উজ্জল হোসেন। টিসিবিতে তেল না থাকায় সেদিন ডিলার ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে ব্যাপক বাগবিতন্ডা হয়। পরে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
লিখিত অভিযোগ কারীদের মধ্যে পৌরসভার এলংগী এলাকার বাসিন্দা আব্দুস সামাদ খান বলেন, অতি প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য চাল, ডাল, তেল, চিনি, আটা, আলু, পেঁয়াজের দাম নিম্নবিত্ত মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। আবার ডিলার টিসিবিতে তেল বাদ দিয়ে নিম্নমানের চাল ও ডাল দিচ্ছে। আমরা টিসিবিতে সকল নিত্যপণ্য চেয়ে লিখিত আবেদন করেছি।

গ্রাহকদের অভিযোগ অস্বীকার করে ডিলার রুবেল হোসেন বলেন, আগে ৪৭০ টাকার বিনিময়ে চাল, ডাল ও তেল দেওয়া হতো। তেলের বরাদ্দ না থাকায় গেল দুইবার ২৭০ টাকায় চাল ও ডাল দেওয়া হয়েছে। তবে তেল ছাড়া গ্রাহকরা পণ্য নিতে চাইনা। হাতে পায়ে ধরে অনুরোধ করে পণ্য বেঁচা লাগছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন ডিলাররা।

আরও পড়ুন – চুরি করা গরু দিয়ে বিএনপি নেতার ভুরিভোজ আয়োজন

মোট ১৩ হাজার ৬৩২ জন টিসিবির গ্রাহক রয়েছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম। তিনি বলেন, সরকারি ভাবে বরাদ্দ না থাকায় তেল দেওয়া বন্ধ আছে। আজ গ্রাহকরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে তেলসহ অন্যান্য পণ্য দেওয়া হবে।

সর্বশেষ সংবাদ

পদ্মা নদীতে টর্নেডোর ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীর পানি উপচে উপরে আকাশ পানে ওঠার বেশ কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে (ভাইরাল) ছড়িয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল)...

মাঠ থেকে এক কৃষকের লাশ উদ্ধার

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের গাড়ামারা গ্রামের মাঠ থেকে মোহাম্মদ আলী (৪৫) নামের এক কৃষকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার রাত ১০ টার দিকে...

মাদ্রাসা ছাত্রকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে হুজুর গ্রেপ্তার

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে এক মাদ্রাসা ছাত্রকে (১২) যৌন নিপীড়নের অভিযোগে মাদ্রাসার হুজুর শেখ সাদী (২২) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার ( ২৯ এপ্রিল) দুপুরে তাকে...

খোকসায় দুই ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত

স্টাফ রিপোর্টার কুষ্টিয়ার খোকসা বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে দুই ব্যবসায়ীকে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে খোকসা পৌর এলাকার প্রধান বাজারে পাটজাত...

মামলা হলেই গ্রেফতার নয় – আইন উপদেষ্টা

দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক মামলা হলেই গ্রেফতার নয়। অভিনেতা ইরেশ যাকেরের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বস্তুনিষ্ঠতা আছে কি না- তা জানতে প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে...