ধর্ষিতাকে বিয়ে করল যুবক

0
131

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

প্রথমে প্রেমের সম্পর্ক। এক পর্যায়ে সন্তান সম্ভবা হয়ে পরে কিশোরী প্রেমিকা। বিষটি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। অবশেষে তিন মাসের সন্তানের মা ওই কিশোরীকে বিয়ে করে মামলা থেকে অব্যহতি পান আসামী মিকাইল হোসেন নামের ওই যুবক।

সোমবার দুপুরে বাদী পরে আইনজীবী এ্যাডঃ সরদার মনিরুল ইসলাম মিল্টনের চেম্বারে এই বিষেয় অনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। এ সময় আসামী পরে আইনজীবী এ্যাডঃ মঞ্জুরুল ইসলামসহ উভয় পরিবারের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। এই বিয়ের মাধ্য দিয়ে ধর্ষন সংক্রান্ত মামলাটি নিস্পত্তি হয়ে যায়।

বাদী পরে আইনজীবী এ্যাডঃ সরদার মনিরুল ইসলাম মিল্টন খবরের সত্যতা নিশ্চত করে জানান, ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার এলাঙ্গী গ্রামের ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরীর সাথে একই গ্রামের মিজানুর রহমান মিজুর ছেলে মিকাইল হোসেনের (২২) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে তাদের সর্ম্পক গভীরে পৌচ্ছায়। ওই কিশোরী গর্ভবতি হয়ে পড়লে মিকাইলকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে। কিন্তু তিনি বিয়ে করতে অস্বীকার করলে ২০২৩ সালের ১৫ জুন ওই কিশোরীর মা আদালতে মামলা করেন। এরমধ্যে কিশোরী কন্যা সন্তানের মা হয়।

সোমবার ঝিনাইদহ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আসামী পরে আইনজীবী এ্যাডঃ মঞ্জুরুল ইসলাম জামিন আবেদন করেন। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক নাজিমুদৌলা শুনানী শেষে কিরোরীকে হয় বিয়ে না হয় কঠোর শাস্তি ভোগের শর্ত জুড়ে দেন। বিজ্ঞ আদালতের এই কঠোর অবস্থানের কারণে আসামী পরে আইনজীবী বাদী পরে সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং উভয় পরে পরিবার আদালতের বিয়ের শর্ত মেনে নেন।

আদালতের শর্ত মত সোমবার দুপুরে বাদী পরে আইনজীবী এ্যাডঃ সরদার মনিরুল ইসলাম মিল্টনের চেম্বারে কাজী ডেকে ৫ লাখ টাকার দেন মহরে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করা হয়। বিয়ে পড়ান কাজী আরিফ বিল্লাহ। মামলার বাদী কিশোরীর মা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে জানান, তিনি আদালতের কাছে ন্যায় বিচার পেয়েছেন।