কুষ্টিয়ায় স্ত্রী হত্যার পর স্বামীর আত্মসমর্পণ

0
141
প্রতিকী ছবি

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ায় এক ইজিবাইক চালক নিজের স্ত্রীকে হত্যার পর থানায় গিয়ে আত্মসমপর্ণ করেছেন।

বুধবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের কোটপাড়া এলাকায় রাজু আহম্মেদ সড়কে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। রাতেই দুই সন্তানের জননী রতœা খাতুন নামের ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় পুলিশ।

নিহত রতœা জেলার মিরপুর উপজেলার চারমাইল এলাকার নাজিম উদ্দীনের মেয়ে। তাঁর স্বামী রনি হোসেন (৪২) কুষ্টিয়া শহরের বটতৈল এলাকার বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন ইজি বাইক চালক।

কুষ্টিয়া মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নিশিকান্ত সরকার বলেন, রাত সাড়ে আটটার দিকে এক ব্যক্তি থানায় প্রবেশ করেন। দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যকে (সেন্ট্রি) জানান, তিনি বাসায় স্ত্রীকে হত্যা করে এসেছেন। প্রথমে পুলিশ সদস্য বিষয়টি বিশ্বাস করেনি। ওই ব্যক্তি নিজের নাম রনি হোসেন ও বটতৈল এলাকায় বাড়ি পরিচয় দিয়ে আবারও স্ত্রীকে হত্যা করার কথা জানান।

নিশিকান্ত সরকার বলেন, লুঙ্গি পরিহিত গায়ে কোন জামা কাপড় নেই ওই ব্যক্তি এক পর্যায়ে তার কাছে এসেও স্ত্রীকে হত্যা করার কথা বলে।

নিশিকান্তু জানান, আমিও বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। এভাবে কেউ হত্যা করে নিজে থেকে থানায় ছুটে আসে নাকি? রনি এ সময় সম্পূর্ণ স্বাভাবিক অবস্থায় ছিলেন। এক পর্যায়ে টহল পুলিশের গাড়িতে করে ওই ব্যক্তিকে নিয়ে শহরের কলেজ মোড় এলাকায় রাজু আহম্মেদ সড়কের একটি তিনতলা বিশিষ্ট ভবনের তৃতীয় তলার ডান পাশের ফ্যাটে যাওয়া হয়। সেখানে বাসার শৌচাগারের ভেতরে রতœা খাতুনের লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। হাত দিয়ে গলাটিপে হত্যার পর লাশ শৌচাগারে রেখেছিলেন বলে দাবি করেন রনি।

আরো পড়ুন – ঝিনাইদহ ভেটেরিনারী শিক্ষার্থীদের বাদি যৌক্তিক – বিভাগীয় পরিচালক

তিনি আরও বলেন, হত্যার প্রাথমিক কারণ হিসেবে রনি বিশ্বাস দাবি করেছেন, পারিবারিক কলহের কারণে তিনি তার স্ত্রী রতœাকে একাই গলাটিপে হত্যা করেছেন। তারা শহরতলীর বটতৈল এলাকায় থাকেন। বুধবার সন্ধ্যায় শহরের কলেজ মোড় এলাকায় রনির মায়ের ভাড়া বাসায় নিয়ে আসেন। সেখানে কৌশলে তাঁকে গলাটিপে হত্যা করেন।