স্টাফ রিপোর্টার
কুষ্টিয়ার খোকসায় হাট-বাজার থেকে জমাট বাঁধা ডিএপি সার কিনে দশ জনেরও বেশী কৃষকের ক্ষেতের রুপা আমন ধান পুরে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসূমে উপজেলায় প্রায় ৬হাজার ৮৫৭ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান আবাদ হয়েছে। যা কৃষি বিভাগের লক্ষ মাত্রার থেকে প্রায় আড়াইশ হেক্টর বেশী জমিতে ধান আবাদ হচ্ছে। ১০ জন বিসিআইসি ডিলারসহ বেশ কিছু ক্ষুদ্র ডিলারদের মাধ্যমে কৃষকদের হাতে সার পৌচ্ছে দেওয়া কথা। কিন্তু ডিলার ও বিক্রেতারা বেশি দামের আশায় এসব সার বিক্রি না করে গোডাউনে আটকে রাখেন। সার ব্যবসায়ীর গুদামে আটকে রাখা সার জমাট বেঁধে পাথরের মত হয়ে গেছে। আবার কোন কোন ব্যবসায়ীর ঘরে আটকে রাখা সারের গায়ে পানি জমে গেছে। কৃষি জমিতে ব্যবহার অনুপযোগী এইসব সার রোদে দিয়ে শুকিয়ে তা আবার কৃষকের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন একাধিক কৃষক।
মালিগ্রামের কৃষক রুস্তম আলী অভিযোগ করেন, তিনি সাড়ে তিন বিঘা জমিতে রুপা আমন ধানের চাষ করেছেন। বিলজানি বাজারের একজন সার ডিলালের কাছ থেকে ১৬ টাকার ডিএপি সার ২২ টাকা কেজি দরে কিনেছিলেন। কিন্তু জমিতে সার কোন কাজ করেনি। ফলে এ মৌসূমে তিনি ক্ষতির মুখে পরেছে। তার মত এ মাঠের আরো ১০ জনের বেশী কৃষক ভেজা ও জমাট বাঁধা সার জমিতে ব্যবহার করায় তাদের ধান পুড়ে বসে গেছে।
জমাট বাঁধা ও ভেজা সার বিক্রির অভিযোগের সত্যতা খুজতে শুক্রবার সকালে খোকসা বাজারের প্রধান সড়কে সরেজমিন গিয়ে অভিযোগের সত্যতা মিলেযায়। পলাশ বীজ ভান্ডরের সামনে রোদে শুকাতে দেওয়া পিএপি সারের স্তুপ চোখে পরে। ক্যামেরা বাড় করতেই সারে গাদার উপর থেকে সরে গেলো শ্রমিকরা।
বিসিআইসির ডিলার ও পলাশ বীজ ভান্ডারের মালিক গনেষ সাহার দেখা পাওয়া গেলো না। তবে ছেলে পিয়াস সাহা জানান, সার জমাট বাঁধলে বা ভিজে গেলে সারের গুনগত মান ঠিক থাকে। তারা এ সার কৃষকের কাছে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করছেন।
আরো পড়ুন – খোকসা থেকে আওয়ামীগ লীগ নেতাসহ ৬ জন লড়ছে একপদে
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সবুজ সাহা জানন, ভেজা বা জমাট বাঁধা সার কৃষকের কাছে বিক্রি করা হয় না। এ সার মাছ চাষিদের কাছে বিক্রি করা হয়ে থাকে। ভিজলে বা জমাট বাঁধলে সারের গুনগত মানের হেরফের হয় না। কারণ সারে কোন মেয়াদ উত্তেনের তারিখ থাকে না।