আমি নির্দোষ : আত্মপক্ষ সমর্থনে সাহেদ

0
90
Sahed-Dro-17-p-2-12
সাহেদের ফাইল

দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক

অস্ত্র আইনের মামলায় নিজেকে ‘সম্পূর্ণ নির্দোষ’ দাবি করে ন্যায়বিচারের প্রত্যাশার কথা বলেছেন জালিয়াতি ও প্রতারণায় আলোচিত রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম।

বুধবার ঢাকার মহানগর ১ নম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশের সামনে আত্মপক্ষ সমর্থনে সাহেদ এ দাবি করেন।

বিচারক জিজ্ঞাসা করেছিলেন, সাহেদ সাফাই সাক্ষ্য দেবেন কি-না। উত্তরে তিনি বলেন, “আমি সাফাই সাক্ষ্য দেব না।” এর আগে রাষ্ট্রপক্ষের দেওয়া ১১ জনের সাক্ষ্য পড়ে শোনানো হয় সাহেদকে। আত্মপক্ষ সমর্থন করে তিনি বলেন, “আমি নির্দোষ। যে অস্ত্রের কথা এ মামলায় বলা হচ্ছে, সেটা আমার কাছ থেকে উদ্ধার হয়নি, অন্য কোথাও থেকে আনা হয়েছে।”

তার বক্তব্য শোনার পর আদালত রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের জন্য বৃহস্পতি ও রবিবার দিন ধার্য করেন।
২৭ আগস্ট অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর পর এ মামলার কাজ এগিয়ে চলছে দ্রুত গতিতে। এখন প্রতি কার্যদিবসেই শুনানি হচ্ছে। এ মাসেই মামলার রায় দেওয়া যাবে বলে দুই পক্ষের আইনজীবীদের জানিয়েছেন বিচারক।

ঢাকার মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক সাইরুল ইসলামের সাক্ষ্য শোনার মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্য উপস্থাপন শেষ হয়।

মামলার ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে চার কার্যদিবসে মোট ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক সেদিন আসামির আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানির জন্য বুধবার দিন রাখেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মনিরুজ্জামান বলেছেন, তার মক্কেল সাফাই সাক্ষীর কোনো তালিকা আদালতে দেননি।

রিজেন্ট হাসপাতালে পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণা ও জালিয়াতির ঘটনায় দেশজুড়ে আলোচনার মধ্যে ১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সাহেদকে।

ওই মামলায় গোয়েন্দা পুলিশের রিমান্ডে থাকার সময় ১৮ জুলাই রাতে সাহেদকে নিয়ে উত্তরায় অভিযান চালিয়ে তার একটি গাড়ি থেকে গুলিসহ একটি পিস্তল এবং কিছু মাদক জব্দ করা হয়। ওই ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানায় অস্ত্র আইনে এই মামলা করে পুলিশ।