মাদ্রাসায় শিশুকে হাত-পা বেঁধে পিটুনি

0
112
সংগৃহিত ছবি

দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক

সাভারের আশুলিয়ার একটি মাদ্রাসায় হাত-পা বেঁধে মেঝেতে ফেলে শিশুকে নির্মমভাবে পেটানোর ঘটনায় গ্রেপ্তার শিক্ষক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

আশুলিয়ার জাবালে নূর মাদ্রাসার শিক্ষক ইব্রাহিম (৩৫) বুধবার ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। ঢাকার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হাসান তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন।

আদালত পুলিশের কর্মকর্তা এসআই আতিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পরে ওই মাদ্রাসা শিক্ষককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ইব্রাহিম কুমিল্লা জেলার হোমনা থানার দুর্গাপুর গ্রামের আতাউর রহমানের ছেলে। জাবালে নূর মাদ্রাসার পরিচালক আব্দুল জব্বারও কুমিল্লা জেলার বাসিন্দা। তিনি ওই ছয়তলা বাড়ির মালিক।

আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়নের মধুপুরে অবস্থিত এই মাদ্রাসায় দুই শিশুকে বেদম মারধরের একটি ভিডিও সোমবার ফেইসবুকে ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, একটি শিশুকে হাত-পা বেঁধে নির্মমভাবে পেটাচ্ছেন মাদ্রাসা শিক্ষক, মেঝেতে ফেলে মারধরের এক পর্যায়ে তাকে রশি ধরে টেনে এপাশ-ওপাশ করতে দেখা যায়। পরে আরেক শিশুকেও বেদম প্রহার করেন ওই মাদ্রাসা শিক্ষক। এই শিশুদের একজনের পা কেটে যায়। পরে ওই শিশুকে সাভারের গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার আশুলিয়া থানায় মামলা দায়েরের পর সন্ধ্যায় শ্রীপুরের নতুননগর মথনেরটেক এলাকা থেকে শিক্ষক ইব্রাহিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার এসআই টুম্পা সাহা তাকে আদালতে হাজির করে জবানবন্দি গ্রহণের আবেদন করেন।

জবানবন্দিতে শুক্রবার টাঙ্গাইলের মির্জাপুর আর ঝালকাঠির ১০ বছর বয়সী দুই হেফজ শিক্ষার্থীকে বেদম মারধরের কথা স্বীকার করেন ইব্রাহিম। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, মির্জাপুরের ওই শিক্ষার্থী মাদ্রাসা থেকে পালাতে চেয়েছিল। আর ঝালকাঠির ছেলেটি তাকে পালাতে সাহায্য করেছিল। সে কারণে মির্জাপুরের ছেলেটির হাত-পা বেঁধে মারধরের পর ঝালকাঠির ছেলেটিকেও মারধর করেন তিনি।