ইউএনওর ওপর হামলার হোতাসহ আটক ২

0
120
ইউ এন ও ওয়াহিদা ও ঘাতক আসাদুল

দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক

ঘোড়াঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও তাঁর বাবার ওপর হামলার ঘটনায় দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার ভোর পাঁচটার দিকে র‌্যাব-পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেছে।

ঘোড়াঘাট উপজেলার রানিগঞ্জের আসাদুল ইসলাম (৩৫) ও ওসমানপুর সাগরপাড়া এলাকার জাহাঙ্গীর হোসেন (৪২) কে আটকে তথ্য নিশ্চিত করেছেন হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ।

আটক আসাদুল ইসলামের বাবার নাম আমজাদ হোসেন ও জাহাঙ্গীর হোসেনের বাবার নাম আবুল কালাম। আটক আসাদুল ইসলাম ২০১৭ সাল থেকে ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছেন।

আরও পড়ুন-ইউএনও ওয়াহিদার অবস্থা আশঙ্কাজনকঃ চিকিৎসক

পুলিশ জানায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বিরামপুর, হাকিমপুর ও ঘোড়াঘাট থানা-পুলিশের একটি দল শুক্রবার ভোর পৌনে পাঁচটার দিকে আসাদুল ইসলামে কে হাকিমপুর উপজেলার কালিগঞ্জ এলাকায় বোনের বাসা থেকে আটক করা হয়। আটক করার পর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় পুলিশের রংপুর রেঞ্জের কার্যালয়ে। অন্যদিকে দিনাজপুর র‌্যাবের সদস্যরা জাহাঙ্গীরকে আটক করে তাঁকে তাঁর নিজ বাসা থেকে।

আরও পড়ুন-ঘোড়াঘাটের ইউএনওর ওপর দুর্বত্তের হামলা

হাকিমপুর থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, আটক করা দুজনই মাদক সেবনকারী ও ব্যবসায়ী। তাঁদের বিরুদ্ধে থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে কয়েকটি মামলা রয়েছে। আটক করা দুজনই ঘটনার অন্যতম হোতা। তবে কী কারণে তাঁরা হামলা করেছেন, এ ব্যাপারে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।

হামলার ঘটনায় ইউএনওর ভাই শেখ ফরিদ উদ্দিন বাদী হয়ে ঘোড়াঘাট থানায় বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে অজ্ঞাতনামা ৪ থেকে ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এজাজারে উল্লেখ করা হয়, দুর্বৃত্তরা ঘরে ঢুকে ওয়াহিদার কাছে আলমারির চাবি চায়। ওয়াহিদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাঁকে হাতুড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করা হয়।

বুধবার গভীর রাতে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা ইউএনওর সরকারি বাসায় ঢুকে ইউএনও ওয়াহিদা ও তাঁর বাবাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।

আহত বাবা-মেয়েকে বৃহস্পতিবার সকালে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ওয়াহিদাকে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে ঢাকায় নিয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালে ভর্তি করা হয়। গতরাতে ওয়াহিদার একটি অস্ত্রোপচার হয়েছে। এখন তিনি পর্যবেক্ষণে আছেন।