ইবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচন কমিশন গঠন

0
113
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় -ফাইল ছবি

ইবি প্রতিনিধি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (ইবিশিস) নির্বাচন কমিশন গঠনে গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করার অভিযোগ ওঠেছে।

রবিবার সকালে সমিতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কার্যনির্বাহী পরিষদের মূলতবি সভায় অধ্যাপক ড. কে এম আব্দুস সুবহানকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট এই নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে।

আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করবে এই কমিশন। একটি পক্ষের নোট অব ডিসেন্টের পরেও গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সম্প্রতি এক সভায় নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচন করার প্রস্তাব তোলা হয়। কিন্তু সদস্যরা এ প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান নিলে সভা মুলতবি করা হয়। সর্বশেষ রবিবার আবারো সভা ডেকে নির্বাচন কমিশন গঠনের আহ্বান জানান সভাপতি। এ সময় শিক্ষকদের একটি পক্ষ বন্ধ ক্যাম্পাসে কমিশন গঠন ও নির্বাচনী কার্যক্রম গঠনতন্ত্রের পরিপন্থি উল্লেখ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

ক্ষুদ্ধ শিক্ষকরা বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলার পরামর্শ দেন। এছাড়া সাধারণ সভা ডেকে বিষয়টি সমাধান করার প্রস্তাব করেন বিরোধিতা কারীরা। এক পর্যায়ে বেশ কয়েকজন শিক্ষক নোট অব ডিসেন্ট দিয়ে সভাস্থল ত্যাগ করেন। তবে নোট অব ডিসেন্টের পরেও সভায় নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়।

এ বিষয়ে জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন বলেন, নোট অব ডিসেন্টের পরেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এই প্রথম নির্বাচন কমিশন গঠন হলো। সমিতিকে ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করার কোনো সুযোগ নেই। অন্যান্য শিক্ষকদের দাবিকে অগ্রাহ্য করে সভাপতির এমন আচরণ মোটেই কামনা করিনা।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক কাজী আখতার হোসেন বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না থাকায় ডিসেম্বরে নির্বাচন হয়নি। তবে এখন বিভিন্ন বিভাগে পরীক্ষা শুরু হয়েছে, একাডেমিক কাউন্সিলসহ বিভিন্ন সভা হচ্ছে এবং ক্যাম্পাসে শিক্ষকদের উপস্থিতি বৃদ্ধি পাওয়ায় নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কমিশন আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করবে।

উল্লেখ্য, শিক্ষক সমিতির গঠনতন্ত্র অনুসারে, ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। ১০ কার্যদিবসের আগে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। এছাড়া ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে হবে। গঠনতন্ত্রের অনুচ্ছেদ ৭ এর ২ (খ) দফায় বলা হয়েছে, যদি ডিসেম্বরে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকে তবে ক্যাম্পাস খোলার ৩০ দিনের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করে পরবর্তী ১০ দিনের মধ্যে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে হবে।