দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক
গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয়েছিল শাহাবুদ্দিন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে না, তবে বাস্তবে হাসপাতালটি গোপনে পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছিল। র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম জানিয়েছেন এটি হাসপাতালের একটি প্রতারণা।
রবিবার বিকালে হাসপাতালটিতে অভিযান শুরু করে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানটি এখনো চলছে।
আরও দেখুন-অজানা রোগেই খেলো পান চাষীদের
অভিযান চলাকালে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম বলেন, হাসপাতালটি অনুমোদন ছাড়াই র্যাপিড কিট দিয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীদের অ্যান্টিবডি টেস্টের কাজ করছিল। এছাড়াও তারা অ্যান্টিবডি পরীক্ষার নামে রোগীদের কাছ থেকে ৩ থেকে ১০ হাজার করে টাকা নেয়ার অভিযোগও পেয়েছি।
আরও দেখুন–খোকসার ভ্যান চালক নিজের টাকায় গড়ে দিলেন সেতু
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালটির বিরুদ্ধে আমরা তিনটি অভিযোগ পেয়েছি। এর মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতর তাদের করোনা পরীক্ষার অনুমোদন দিয়েছিল। কিন্তু তাদের করোনা পরীক্ষার স্বয়ংক্রিয় মেশিন না থাকায় এই অনুমোদন বাতিলও করা হয়। এরপরও তারা গোপনে করোনা পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছিল। তারা বাইরের রোগীদেরও টেস্ট করেছে। এই টেস্টগুলো তারা ডিভাইসের মাধ্যমে করেছে। কিন্তু বাংলাদেশে সেই ডিভাইস ব্যবহারের অনুমোদন নেই।
দ্বিতীয় অভিযোগ-২ হলো- হাসপাতল কর্তৃপক্ষ কিছু পরীক্ষা বাইরের অন্যান্য হাসপাতাল থেকে করে তা নিজেদের হাসপাতালের প্যাডে লিখে রোগীদের দিয়েছে।
তৃতীয় অভিযোগ হলো- তারা কিছু প্রোডাক্ট যেমন মাস্ক, গ্লোভস, একের অধিক বার ব্যবহার করছে। এগুলো মূলত ওয়ানটাইম ইউজেবল। কিন্তু তারা এগুলো বার বার ব্যবহার করছে।
তিনি বলেন, আমরা পুরো হাসপাতালটিতে অভিযান পরিচালনা করছি। হাসপাতালের ওষুধাগারেও অভিযান চলছে।
হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর ডাঃ আবুল হাসনাত ও হাসপাতালের ইনভেন্টরি অফিসার শাহরিজ কবির সাদিকে র্যাবের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।