কুমারখালীতে মহিলা মাদ্রাসার দুই ছাত্রী যৌণপীড়নের শিকার

0
99

কুমারখারী প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে এক বাড়ি মালিকের বিরুদ্ধে চতুর্থ (১১) ও হেফজী (১২) শ্রেণির দুই মাদরাসা ছাত্রীকে যৌণ হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। ছাত্রীদের হত্যার হুমকি দিয়ে তাঁদের নিয়মিত যৌণপীড়নও করা হয়।

ঘটনা জানাজানি হয়ে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার সকালে অভিযুক্ত বাড়ির মালিক পালিয়েছে।

ওই বাড়ি মালিকের নাম শহিদুল ইসলাম। তিনি পৌরসভার দুর্গাপুর এলাকার মৃৃত নুরুল হক বিশ্বাসের ছেলে। তিনি সাব রেজিষ্টারের কার্যালের ট্যাক্স কালেক্টর ছিলেন ও দুই সন্তানের জনক।

মাদ্রাসার পরিচালনা পরিষদ সুত্রে জানা গেছে, মাসিক ১০ হাজার টাকা ভাড়ার চুক্তিতে প্রায় সাত মাস আগে মহিলা মাদ্রাসাটি দুর্গাপুর এলাকার এই শহিদুল ইসলামের বাড়িতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে বর্তমানে বিভিন্ন শ্রেণির ৩৩ জন ছাত্রী ও ৩ জন শিকিা রয়েছেন। মাদ্রাসার একটি কে বাড়ি মালিক ও তাঁর স্ত্রী থাকেন। মোবাইল চার্জ দিতে শিার্থীরা বাড়িওয়ালা কে যাওয়া আসা করে। সেই সুযোগে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে প্রায় মাসখানেক আগে প্রথমে যৌণপীড়ন করেন বাড়ির মালিক শহিদুল ইসলাম। গত বুধবার হেফজী পড়ুয়া আরেক ছাত্রী মোবাইল চার্জ দিতে গিয়ে শহিদুলের অপকর্ম দেখে ফেলে। সে সময় শহিদুল ওই ছাত্রীকেও টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। ছাত্রী টাকা নিতে অসম্মতি জানালে দুই জনকেই হত্যার হুমকি প্রদান করেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিন গেলে মাদরাসার চতুর্থ শ্রেণির ওই ছাত্রী বলেন, হত্যার হুমকি দিয়ে বাড়িওয়ালা অনেকদিন ধরে তার (ছাত্রীর) সাথে খারাপ কাজ করে আসছে। সর্বশেষ গত বুধবার আমার সাথে খুব খারাপ কাজ করেছেন। আমার বুকে, গলায় হাতের আঙ্গুলের আচঁর লেগে আছে।

ঘটনার শিকার আরেক ছাত্রী বলেন, মাঝে মাঝেই দাদু (বাড়িওয়ালা) ওকে (ছাত্রী) ডেকে আনতে বলত। না ডাকলে হত্যার ভয় দেখাত। গত বুধবার আমি খারাপ অবস্থায় দেখে ফেললে টাকা দিতে চান। আমি টাকা না নিলে আমার সাথেও খারাপ কাজ করে। পরে অনেক খাবার খাইয়ে কাউকে না বলার জন্য হুমকি দিয়েছিল।

ঘটনা শিকার করে এক ছাত্রীর বাবা বলেন, মাদ্রাসা কর্তৃপরে অবহেলায় তার মেয়ে এমন ঘটনার শিকার হয়েছে। তিনি কর্তৃপসহ থানায় মামলা করবেন।

কুমারখালী ফয়জুল উলুম ক্বওমী মহিলা মাদ্রাসা পরিচালনা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আকামউদ্দিন আকাই বলেন, কয়েকদিন আগে জানতে পেরেছি ছাত্রীদের হত্যার হুমকি দিয়ে যৌণপীড়ন করেছেন বাড়ির মালিক। খুব খারাপ কাজ করেছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে বাড়ির মালিকের সাথে বসাবসি করেছি। আইনী পদপে নেওয়া হবে।

আরো পড়ুন – কুষ্টিয়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী জাসদ

অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, তিনি ২০১৯ সালে হজ্ব কে ছেন। তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

কুমারখালী থানার ওসি কামরজ্জামান তালুকদার বলেন, এখনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।