কুমারখালীর একটি গ্রাম পুরুষ শূন্য

0
109

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ সমর্থিত দুইপরে সংঘর্ষের ঘটনায় একটি গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক পরিবার পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে।

শনিবার দুপুরে সরেজমিন ওই গ্রামে গেলে পুরুষ শূন্য পরিবারের গৃহকত্রিরা জানান, প্রায় তিন বছর আগে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাবেক মেম্বার আতর আলী বিশ্বাস ও বর্তমান মেম্বার ওয়াদুদ শেখ একই গ্রুপে ছিলেন। কিন্তু কয়েক বছর আগে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই মেম্বার আলাদা হয়ে যান। এরপর থেকেই যেকোন তুচ্ছ ঘটনায় শেখ ও বিশ্বাস গ্রুপের সমর্থকরা ঢাল, সরকি, লাঠি, দা, রাম দা, ইট-পাটকেলসহ দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে একে অপরের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন।
এর জের ধরে গত ১৭ মে শেখ গ্রুপের হাসান খন্দকার (৭০) কে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে বিশ্বাস গ্রুপের আলামিন, আনোয়ারসহ ৫ জন। এ ঘটনায় থানায় শেখ গ্রুপের পে একটি মামলা হয়।

এ ঘটনার পর থেকে গ্রেফতারের ভয়ে দুই পক্ষের লোকেরা গ্রাম ছাড়া। বর্তমানে পুরো গ্রাম পুরুষ শুন্য।

শেখ সমর্থিত খন্দকার আশরাফের স্ত্রী বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরে দুইপরে উত্তেজনা চলে আসছিল। এরই জের ধরে শুক্রবার রাতে বিশ্বাস গ্রুপের লোকেরা তাদেও বাড়িতে হামলা করে।

বিশ্বাস সমর্থিত আলামিনের স্ত্রী বলেন, যেকোন ঘটনা ঘটলেই বিশ্বাস গ্রুপের আতর মেম্বােরের দোষ হয়। প্রতিপরা এসে বাড়িতে ভাংচুর চালায়। পথে ঘাটে আমাদের লোকজন পেলে ওরা মারধর করে। তিনি আরো বলেন, বাড়িতে এলাকায় কোন পুরুষ মানুষ নাই, বাজার নাই। খাওয়া দাওয়ার খুব কষ্ট হচ্ছে। রাত নেই, দিন নেই, সব সময় পুলিশ আসে। বাড়ির পুরুষ মানুষকে খোঁজে।

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মজিবুর রহমান বলেন, কি নিয়ে দুইপ মারামারি করে, তা তারা নিজেই জানে না। তুচ্ছ কারণে বিশ্বাস ও শেখ গ্রুপ লাঠি, ঢাল, সরকি নিয়ে মাঠে নামে। আগের ঘটনায় শেখ গ্রুপ একটি মামলা করেছে। এরপর শুক্রবার রাতে দুই গ্রুপ মুখোমুখি হলে পুলিশ খবর পেয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তবে পুলিশ কাউকে অহেতুক হয়রানি করছে না বলে তিনি দাবি করেন ।