কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলায় ৬ আসামির যাবজ্জীবন

0
91

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ায় দীর্ঘ ১২ বছর পর মাইক্রোবাস চালক হত্যা মামলায় ৬ আসামির যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রবিবার দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তাজুল ইসলামর এই রায় প্রদান করেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার এক আসামিকে আদালত বেকসুর খালাস প্রদান করেন। একই সাথে আদালত প্রত্যেক আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছর সশ্যম কারাদন্ড প্রদান করেন। রায় ঘোষণার সময় শুধুমাত্র আসামি কাওছার আলী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি ৫ আসামি এখনো পলাতক রয়েছেন।

এ মামলায় দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- পলাতক আসামী ঝিনাইদহের স্বরূপদহ গ্রামের বাসিন্দা রজব আলী জোয়াদ্দারের ছেলে মানিক জোয়াদ্দার (৩৭), মিরপুর উপজেলার ইশালমারী গ্রামের হাসান আলীর ছেলে কোরবান আলী (৪৭), সদর উপজেলার বাহির বোয়ালদহ গ্রামের আফিল উদ্দিন সর্দারের ছেলে আনোয়ার হোসেন ওরফে আনার (৫২), চরসাদিপুর গ্রামের নুজদার সেখের ছেলে সোহান (৩৭), মাগুড়া জেলার হাফিজুর মোল্লার ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন মান্না ওরফে সাগর (৩৭) এবং আদালতে উপস্থিত আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটবোয়ালিয়া গ্রামের নফর আলী শাহের ছেলে কাওছার আলী (৪০)।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ২৮ জুলাই দিবাগত রাত সাড়ে ৩ টার দিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আইলচারা গ্রামের ষ্টীল ব্রীজ নামক স্থানে মাইক্রো ছিনতাই চক্রের সদস্য আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে পরিকল্পিত ভাবে মাইক্রো চালক কাবিজুর রহমানকে (৪০) মাইক্রোসহ অপহরণ পূর্বক ঘটনাস্থলে চালককে নামিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হত্যা করে লাশ ফেলে মাইক্রোবাসটি নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মিরপুর উপজেলার পুটিমারি গ্রামের মৃত: আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে আব্দুর রউফ বাদি হয়ে পরের দিন ২৯ জুলাই অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন।

তদন্ত শেষে ২০১০ সালে ২৩ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়া মডেল থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আজিজুল হক ৭ আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।

কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি এ্যাড. অনুপ কুমার নন্দী জানান, বিজ্ঞ আদালত দীর্ঘ স্ব্যা শুনানী শেষে ৬ আসামির বিরুদ্ধে আনীত মাইক্রো চালক কাবিজুর রহমান হত্যাকান্ডে জড়িত অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়া তাদের যাবজ্জাীবন কারাদন্ডাদেশ প্রদান করেন। রায় ঘোষণার সময় দন্ড প্রাপ্ত আসামী কাওছার আলী ব্যাতীত অপর ৫জন আসামী আদালতে উপস্থিত না হয়ে পলাতক ছিলেন। এছাড়া কোরবান নামের এক আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বে-কসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।