খোকসার কালীর বার্ষিক পূজা শুরু

0
170

স্টাফ রিপোর্টার

কুষ্টিয়ার খোকসার পৌনে ছয়’শ বছরের প্রাচীন কালীর বার্ষিক পূজা শুরু হলে করোনা অতিমারির কারণে এ বছর গ্রামীন মেলা হচ্ছে না। মঙ্গলবার গোধূলীতে প্রতিমা বির্জনের মধ্য দিয়ে বার্ষিক পূজার প্রথম পর্ব শেষ হবে।

সোমবার বিকালে সাড়ে সাতহাত (ক্রিরিটিসহ ১১ হাত) লম্বা দীর্ঘদেহী কালী প্রতিমা বেদিতে স্থাপনের মধ্য দিয়ে মাঘি অমাবস্যার তৃথিতে বার্ষিক পূজা শুরু হয়েছে। তবে চরম ভাবে স্বাস্থ্য বিধি প্রতি পালনের ঘোষনা দিয়েছে পূজা কমিটি।

কালীর বার্ষিক পূজা উপলক্ষে খোকসা উপজেলার সর্বত্র উৎসবের আমেজ বইতে শুরু করেছে। তবে এ বছর করোনা অতিমারি ফলে কালীবাড়ীর মাঠে গ্রামীর মেলা বসতে দেয়নি পূজা উৎযাপন কমিটি। এ বছর পূজা উপলক্ষে বাঁশ, বেত, কাঠ, লোহা আসবার পত্র, কাসার তৈযশপত্র ও ঘর গৃহস্থালীর নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের পসরা নিয়ে এসেছিল কয়েকশ ব্যবসায়ী।

এ বছর মেলায় পূজার সামগ্রী, শাখা, সিদুরের ব্যবসায়ী তুলসি চরণ অধিকারী। তার বাড়ি ঢাকা জেলায়। তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের বছর এসেছিলেন এ মেলায়। সে বছর প্রায় একমাস বিলম্বে পূজা হয়েছিল। তবে এবার মেলায় এসেছিল কিন্তু দোকান মেলতে দেয়নি কমিটি।

কথা বলা হয় কালীপূজা মন্দির কমিটির সভাপতি অধ্যাপক সুপ্রভাত মালাকার জানান, করোনা কারনে এ বছর শুধু পূজার আনুষ্ঠানিকতা হচ্ছে। তিনি জানান, গ্রামীন মেলার অনুমোদনের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু অনুমোদন মেলেনি। কালীপূজা ও মেলা এ জনপদের অসাম্প্রদায়ীক মানুষের মেল বন্ধন সৃৃষ্টি করে আসছে। তারা জেলা উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতাদের সাথে বৈঠক করেছেন। তারা সব ধরনের নিরাপত্তা দেওয়ার প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন। কালীর বার্ষিক পূজা উপলক্ষে সব আয়োজন প্রায় সম্পন্ন হয়ে গেছে।

উল্লেখ্য, কিংবদন্তির রয়েছে চতুদশ শতকের কোন এক রাজা খোকসার গড়াই নদীর তীরে দীর্ঘদেহী এই কারীর পূজার সূচনা করেন। সর্বশেষ শিলাইদাহ ও নলডাঙ্গার রাজারা পূজার তদারকি করেছেন। এর পরে চলে আসে স্থানীয়দের হাতে। রাজা জমিদারী আমলে কালীর বার্ষিক পূজা কেন্দ্র করে আয়োজিত মেলা চলত মাসব্যাপী।