খোকসায় প্রতিপক্ষে হামলায় দম্পতি আহত

0
91

স্টাফ রিপোর্টার

কুষ্টিয়ার খোকসায় মসজিদ থেকে ফেরার সময় এক মুসল্লির উপর হামলার চেষ্টায় বাধা দেওয়ার অপরাধে দম্পতিকে বেধরক পিটেছে প্রতিপক্ষ। আহত দম্পতিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্ষে ভর্তি করা হয়েছে।

সোমবার প্রত্যুশে উপজেলা আমবাড়িয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর গোসাইডাঙ্গী গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় কৃষকদম্পতি জাকির হোসেন ও রোজিনা আহত হন। আহত কৃষক জাকির এ গ্রামের তাজু সরদারের ছেলে।

প্রত্যক্ষ দর্শী ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, সকালে স্থানীয় মসজিদ থেকে ফজরের নামাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন স্থানীয় বাবুল সরদার। জমি নিয়ে বিরোধের সূত্রধরে প্রতিপক্ষ তার উপর হামলার চেষ্টা করে। এসময় বাবুলের ভাতিজা (ভাইয়ের ছেলে) জাকির হোসেন হামলা কারীদের বাধাদেয়। এর কিছু সময় প্রতিপক্ষের লোকেরা জাকিরের বাড়িত হামলা করে। কৃষক দম্পতিকে বেধরক মারপিট করে হামলাকারীরা চলে য়ায়। পরে স্থানীয়রা আহত দম্পতিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জাকির হোসেন জানান, বাড়ির পাশের মসজিদ থেকে ফজরের নামজ আদায় করে সে ও তার চাচা বাবুল সরদার বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় প্রতিপক্ষ আকবর সরদারের ছেলে রবিউল তার চাচার ওপর চড়াও হয়। তিনি দুই পক্ষকে শান্ত করে বাড়ি পাঠায়। এ পরেই প্রতিপক্ষ তার বাড়িতে হানা দিয়ে তাদের স্বামী স্ত্রীকে বেধরক পিটিয়ে জখম করে চলে যায়। পরে প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তার চাচার সাথে বিরোধ নিয়ে প্রতিপক্ষ তাদের ওপর হামলা করে। তিনি এঘটনায় মামলা করবেন।

হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত রবিউলের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হয়। তিনি হামলার ঘটনার পর গ্রাম ছেড়ে আত্মগোপন করে রয়েছেন। রবিউলের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে একজন জানান, তাদের পক্ষের তিনজন আহত হয়েছে। তাদের কুমারখালীতে চিকিৎসা দিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

আমবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আকমল হোসেন জানান, দুই পক্ষ তার সাথে ফোনে যোগাযোগ করেছে। তিনি দুই পক্ষকেই শান্ত থাকার জন্য বলেছেন। ওড়া চাইলে সমাধান করে দেওয়া যাবে।

থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তফা হাবিবুল্লাহ বলেন, ঘটনার পর একজনকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। দুই পক্ষের নারী-পুরুষ দিয়ে ৪/৫জন আহত হয়েছেন। কোন পক্ষই মামলা বা অভিযোগ নিয়ে আসেনি।