খোকসায় ব্যবসায়ীর ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিল প্রতারক চক্র

0
24
প্রতিকী ছবি

স্টাফ রিপোর্টার

পেঁয়াজের হাটের আড়ৎ থেকে অভিনব কায়দায় প্রায় ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্র। এ ঘটনায় জনতার হাতে আটক এক সন্দেহ ভাজনকে পুলিশে হেপাজতে নিয়েছে।

কুষ্টিয়ার খোকসায় মঙ্গলবার সাপ্তাহিক হাটে দিন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে খোকসা থানা থেকে ১০০ গজের মধ্যে ব্যাবসায়ীর ক্যাশ ড্রয়ারের নিচে থেকে ব্যাগ ভর্তি টাকা হাতিয়ে নিয়ে সটকে পরে প্রতারক চক্র।

জানা গেছে, উপজেলা সদরের পৌরসভার পেঁয়াজের হাটের আলিম ট্রেডাসের ক্যাশ টেবিলের নিচে থেকে ১০ লাখ টাকা ভর্তি ওই ব্যাগটি হাতিয়ে নিয়ে সটকে পরে প্রতারক চক্র। পরে খোকসা বাসস্ট্যান্ড থেকে সন্দেহ ভাজন রাজন নামের এক যুবককে ব্যবায়ীরা আটক জিঞ্জাসাবাদ শুরু করে। পরে থানা পুলিশের একজন এসআইসহ পুলিশ সদস্যরা আটক ব্যক্তিকে ব্যাবসায়ীদের কাছ থেকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ব্যবসায়ীর টাকা উদ্ধার হয়নি। ব্যবসায়ীদের হাতে আটক প্রতারক চক্রের সদস্য রাজন উপজেলার কালিশংকরপুর গ্রামে মৃত মুক্তিযোদ্ধ যগলুল মেলেটারীর ছেলে।

প্রতারক চক্র টাকা হাতিয়ে নেওয়ার সময় আড়ৎদার আব্দুল আলীমের ছেলে পারভেজ ক্যাশের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি দাবি করেন, তার ক্যাশ টেবিলে তিন ফরিয়াসহ নিজেদের ১১ থেকে ১২ লাখ টাকা ছিল। এ টাকার মধ্যে দশলাখ টাকা ভর্তি একটি ব্যাগ টেবিলের নিচে রাখা ছিল।

তিনি আরও জানান, সকালে তারা যখন কেনা বেচা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, সেই সময় পেঁয়াজ বিক্রির ধুয়ো তুলে রাজন এসে ক্যাশ টেবিলের পাশের একটি চেয়ারে বসে। কিছু সময় পর সে উঠে চলে যায়। এর পর টাকার ব্যাগটি হারিয়ে যায়। এক পর্যায়ে বাসস্ট্যান্ড থেকে রাজনকে ডেকে এনে ব্যবসায়ীরা জিজ্ঞাসা শুরু করলে। থানা পুলিশের এসআই বজলুর রশিদ ফোসসহ হাজির হয়ে রাজনকে থানায় নিয়ে যায়।

ব্যবসায়ী আব্দুল আলীম জানান, টাকা হারানোর অভিযোগ করে তিনি বিপদে রয়েছে। এখন অনকেই প্রতারককে সমর্থন দিচ্ছে। তিনি কী করে প্রমান করবেন তার ব্যবসায়ীক প্রতিষ্টান থেকে টাকা ছিনতাই হয়েছে। রাতে থানায় বসার কথা রয়েছে। সেই অপেক্ষায় আছেন।

তিনি দাবি করেন, রাজন তার আড়তে আগে কখনো আসেনি। হঠাৎ এলো ক্যাশের কাছে বসলো। সে চলে যাওয়ার সাথে সাথে তার টাকার ব্যগটি হাওয়া হয়ে গেলে। তার দাবি রাজন মাদক কারবারী। সে একাধিক বার মাদকসহ ধরা পরেছে।

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান স্বীকার করেন রাজন মাদকসহ দুইবার থানা পুলিশের কাছে ধরা পরেছে। তবে টাকা হাতিয়ে নেয়ার সাথে সে যে জড়িত তার আগে নিশ্চিত হতে হবে। পরে চালান করার হোক আর যেটা হয় সেটা করুক তাদের আপত্তি থাকবে না। তবে পুলিশ তাদের নিশ্চিত করেছে রাজন এ ঘটনার সাথে জড়িত না।

খোকসা থানা পুলিশের এসআই বজলুর রশিদ এর মুঠো ফোনে কল করা হলে তিনি প্রথমে জানান তার ফোন সেটটি ভালো না। তিনি শুনতে পারছেন না। ফোন কেটে দ্বিতীয়বার কল করা হলে তিনি সাফ জানিয়ে দেন বিষয়টি নিয়ে ওসির সাথে কথা বলতে হবে।

থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আননুর যায়েদের সরকারী ফোনে কল করা হয়। তিনি জানান, টাকা হারানোর বিষয়টি তাদের কাছে রহস্য জনক মনে হয়েছে। এ নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।