খোকসায় মৃত শিশুকে জীবিত করতে মধ্যযুগীয় চিকিৎসা

0
118
মৃত শিশুকে ঘিরে উৎসুক জনতার একাংশ

স্টাফ রিপোর্টার

কুষ্টিয়ার খোকসায় পানিতে পরে মারা যাওয়া শিশুকে জীবিত করে তুলতে মধ্যযুগীয় চিকিৎসা।

বুধবার সকালে উপজেলা সদরের রাজিনাথপুর গ্রামের দেড়বছর বয়সী রাইফ নামের একটি শিশু বাড়ির সাথে ডোবার পানিতে পরে ভেসে ওঠে। সকাল পৌনে নয়টার দিকে পরিবারের লোকেরা শিশুটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃতবলে ঘোষনা করেন। মৃত রাইফের বাবার নাম ইদ্রিস আলী। সে স্থানীয় বাসিন্দার।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ৫০ গজ দূরের মৃত শিশুটিকে নিজ বাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। এবার মৃত শিশুটিকে জীবিত করে তুলতে শুরু করা মধ্যযুগীয় চিকিৎসা। প্রথমে মৃত শিশুটিকে লবন দিয়ে ঢেকে দিয়ে কয়েক মিনিট রাখা হয়। তার পর প্রায় ঘন্টা খানে মাথায় তুলে নাচানো হয়। এক পর্যায়ে মৃত শিশুটির চোখের পাতা নড়ছে বলে দাবি করে ওঠেন শিশুটির মা। মৃত শিশুটিকে নিয়ে পরিবারের লোকেরা দ্বিতীয় দফায় আবার ছোটেন স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে। শিশুটি পরীক্ষা করে দ্বিতীয় বারও শিশুটিকে মৃতবলে ঘোষনা করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কামরু জ্জামান। এ সময় ঘটনা স্থলে পুলিশ উপস্থিত ছিল।

মৃত শিশুকে বাঁচিয়ে তোলার চেষ্টা

মৃতের চাচা ইউনুস আলী জানান, শিশুটি পানিতে পড়ার পর পরই তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। প্রথম বার হাসপাতালে নেওয়ার পরেও সে জীবিত ছিল।

ঘটনা স্থলে উপস্থিত থানা পুলিশের এসআই আলতাফ জানান, তারা হাসপাতালের খবরের ভিত্তি এসেছেন। মৃত শিশুকে জীবিত করতে মধ্যযুগীয় চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রথম থেকে শিশুটিকে দ্বিতীয় বার হাসপাতালে পাঠানোর চেষ্টা করেছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ কামরুজ্জামান জানান, প্রথম বার হাসপাতালে আনার আগেই শিশুটি মারা গেছে। পানিতে ডুবে মারা যাওয়া মানুষের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কয়েক ঘন্টা পর্যন্ত নড়তে পারে। এটা খুব স্বাভাকি ঘটনা, ডাক্তারী পরিভাষায় এটাকে “রাইগর মোটিভ” বলা হয়। ।