খোকসা মুক্ত দিবস ৪ ডিসেম্বর

0
256

স্টাফ রিপোর্টার

৪ঠা ডিসেম্বর খোকসা মুক্ত দিবস। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে চুড়ান্ত বিজয়ের প্রায় দুই সপ্তাহ আগে স্থানীয় মুজিব বাহিনীর একটি স্কুয়ার্ড থানা (পুলিশ স্টেশন ) দখলে নেয়। খোকসা হানাদার মুক্ত হয়।

একাত্তরের নভেম্বর মাসের শুরু দিকে খোকসাকে পাকিস্তানী হানাদার মুক্ত করার পরিকল্পনা মুজিব বাহীনির স্থানীয় স্কুয়ার্ডের নেতাদের মাথায় আসে। তারা থানা (পুলিশ স্টেশন) দখলের সহযোগিতার জন্য প্রতিবেশী থানার মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে যোগাযোগ শুরু করেন। দিনক্ষন ঠিক করা হয়। সহযোগীদের আসতে বিলম্ব হয়। তবুও পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক ২ ডিসেম্বর মধ্যরাতের পর হাতে গোনা ২২ জন মুজিব বাহিনীর সদস্য থানায় আক্রমন করেন। কয়ক ঘন্টা গুলি বিনিময়ের পর শেষ রাতে প্রায় শতাধিক রাজাকার ও পুলিশ সদস্য আত্মসমর্পন করে। থানা ও পাশ্ববর্তী স্কুলের রাজাকার ক্যাম্প থেকে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে মুজিব বাহীনির সদস্যরা।

৩ ডিসেম্বর দুপুরে শোমসপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্যাম্পের প্রায় শতাধিক মিলিশিয়া সদস্য থানা ক্যাম্পাস পুণঃ দখলে নেয়। মুজিব বাহিনীর হামলার ভয়ে দিনের আলো নেভার আগেই মিলিশিয়া ও রাজাকারদের দলটি থানা ক্যাম্পাস ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। সে রাতেই শোমসপুরের মিলিশিয়া ক্যাম্প গুটিয়ে নেয় পাকিস্তানী বাহিনী। তারা জেলা সদরে চলে যায়। খোকসা থানা হানাদার মুক্ত হয়।

৪ ডিসেম্বর প্রত্যুশে থানা (পুলিশ স্টেশন) চত্বরে প্রথম বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। মুজিব বাহিনী ও মুক্তি বাহিনীর সদস্যরা থানা সদরসহ কয়েকটি স্থানে ক্যাম্প স্থাপন করেন।

মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ফজলুল হক জানান, দিবসটি উৎযাপনে তারা দিনব্যাপী কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। সকালে বঙ্গবন্ধুর মুড়ালে শ্রদ্ধা নিবেদন, আলোচনা ও প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধারে রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।