খোকসা সরকারী ডিগ্রী কলেজের প্রভাষকের কান্ড

0
232

অবশেষে অতিরিক্ত ফি’র ২শ টাকা ফেরত দিলেন

স্টাফ রিপোর্টার

কলেজের হিসাব রক্ষকের চাপে মুখে বিএ (সন্মান) শ্রেণিতে ভর্তি হতে আসা শিক্ষার্থীর কাছ থেকে আদায় করা অতিরিক্ত অর্থের আংশিক ফেরত দিলেন প্রভাষক।

সোমবার দুপুর পৌনে তিনটার দিকে খোকসা সরকারী ডিগ্রী কলেজের প্রধান ফটকের সামনে প্রকাশ্য রাস্তায় ঘটনাটি ঘটে।

জানা গেছে, কলেজের অর্থনীতি বিভাগে বিএ (সন্মান) শ্রেণিতে জুয়েল নামের এক ছাত্র ভর্তি হতে আসেন। এ সুযোগে অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক আবু কাউছার ওই ছাত্রের কাছ থেকে বিভাগ উন্নয়ন ও সেমিনার কার্ডের কথা বলে অতিরিক্ত ৫শ টাকা আদায় করে নেন। শিক্ষার্থী বাড়ি ফেরার টাকা নাই জানিয়ে শিক্ষকের কাছে একশ টাকা ফেরত চান। কিন্তু শিক্ষক টাকা দিতে অস্বিকীর করেন। এক পর্যায়ে ঘটনাটির প্রতিবাদ করেন কলেজের হিসাব রক্ষক নাজমূল হুদা রাসেল। প্রথমে প্রভাষক আবু কাউছার ও হিসাব রক্ষকের মধ্যে বচসা শুরু হয়। এক পর্যায়ে দু’জনে মারমুখি হয়ে ওঠেন। অবশেষে ওই ছাত্রকে সেমিনার কার্ডের ২শ টাকা ফেরত দেন প্রভাষক। এ ঘটনাটিও ঘটে প্রকাশ্য রাস্তায়।

টাকা ফেরত পাওয়া ছাত্র জুয়েল কুমারখালী উপজেলার বড়ইটুপি গ্রামের লাল্টু শেখের ছেলে।

কলেজে নতুন ভর্তি শিক্ষার্থী জুয়েল দাবি করেন, ভর্তির নিয়ম মেনে অনলাইনে মাধ্যমে ৪০৫০ টাকা জমা দিয়েছিলেন। ভর্তির সময় অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক তার কাছ থেকে আবার ৫শ টাকা নগদ আদায় করে নেন। তার কাছে বাড়ি ফেরার টাকাও ছিল না। বাড়ি ফেরার জন্য শিক্ষকের কাছে ১শ টাকা ফেরত চান। অনেক অনুনয় বিনয় করেছেন। কিন্তু লাভ হয়নি। পরে হিসাব রক্ষককে বিষয়টি জানানো পর তাকে ২শ টাকা ফেরত দেওয়া হয়।

বিভাগ উন্নয়ন ও সেমিনার কার্ড দেওয়ার জন্য প্রত্যেক ছাত্রের কাছ থেকে ৫শ টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেন প্রভাষক আবু কাউছার। তিনি ২ শ টাকা ফেরত দেওয়ার কথাও স্বীকার করেন। তবে রেজুলেশনের ভিত্তিতে এসব ফিস আদায় করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।

অর্থনীতি বিভাগের প্রধান প্রভাষক আনিসুর রহমান জানান, কিছু ফিস আদায়ের অনুমতি আছে। এ ছাড়া প্রতিনিটি সেমিনার কার্ডের পেছনে ব্যয় হয় ২৫০ টাকা।

হিসাব রক্ষক নাজমুল হুদা জানান, বর্তমানে অধিকাংশ ফিস অনলাইনে আদায় হয়। বিভাগ উন্নয়নের ফিস আদায়ের অনুমতি থাকতে পারে। কিন্তু সেমিনার কার্ডের জন্য ২শ টাকা নেওয়ার অনুমতি নাই।

কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) বেলাল উদ্দিনের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হয়। তিনি খোকসার বাইরে থাকায় তাকে পাওয়া যায়নি। তার মুঠো ফোনটিও বন্ধ ছিল।

আরো পড়ুন – খোকসা কালীবাড়িতে ১০৩ খন্ড প্রতিমা তৈরী করে দূর্গা পূজা

কলেজের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন কুমার বিশ্বাস বলেন, সরকারী কলেজের সমস্ত ফিস অনলাইনের মাধ্যমে জমা নেয়া হয়। হাতে টাকা নেওয়ার বিধান নেই। ঘটনাটি তিনি শুনবেন।