ঝিনাইদহে ক্লিনিকে সন্তান প্রসবের পর প্রসূতির সিজারের অভিযোগ

0
100
JHEANDIA-DROHO-17-P1

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে স্বাভাবিক ভাবে সন্তান প্রসবের পর প্রসূতির ইচ্ছার বিরেুদ্ধে তার সিজার অপারেশ করা হয়েছে বলে ক্লিনিকের চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে কালীগঞ্জ শহরের দারুস শেফা প্রাইভেট হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে। প্রতারণার শিকার ওই রোগীনির নাম রাণী বেগম। তিনি সদর উপজেলার কয়ারগাছি গ্রামের আল আমিনের স্ত্রী।

স্বাভাবিক ভাবে সন্তান প্রসবের পর ক্লিনিকের চিকিৎসক জোর পূর্বক ওই প্রসূতির সিজার অপারেশেন করে বলে বুধবার প্রসূরি স্বামী কালীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৫ ডিসেম্বর রাতে রাণী বেগমের প্রসব বেদনা শুরু হয়। তাকে শহরের দারুস শেফা প্রাইভেট হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে ভর্তি করা হয়। উপস্থিত ডাক্তার রোকসানা পারভিন ইলোরা প্রসূতির দ্রুত অপারেশন করানোর সিদ্ধান্ত দেন।

অপারেশনের জন্য ১২ হাজার টাকা চুক্তি হয়। কিছুক্ষণ পরেই রোগীকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয় কিন্তু সিজারের আগেই স্বাভাবিক ভাবে পুত্র সন্তান প্রসব করেন। তারপরও জোরপূর্বক ওই নারী ডাক্তার ও ম্যানেজার মাসুদ হোসেন সিজার করতে চান। এসময় প্রসূতি অপারেশনে বাধা দিলে ম্যনেজার রোগীকে মারধর শুরু করে। তিনি বাধা দিলে ম্যানেজার প্রসূতিকে চিরতরে ঘুম পাড়িয়ে দেওয়ার হুমকী দেয়।

প্রসূতির স্বামী আল আমিন বলেন, অপ্রয়োজনে প্রসূতিকে মারধর ও অপারেশন করা হয়েছে। অসুস্থ্য স্ত্রীর উপর অমানবিকভাবে মারধর ও হত্যার হুমকির বিচার দাবি করেন।

হাসপাতালের মালিক ফিরোজ হোসেন জানান, বাচ্চা স্বাভাবিক ভাবে ডেলিভারি হয়েছে। তবে রোগীর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। ফলে রক্ত বন্ধ করতেই সিজার করা হয়েছিল।

কালীগঞ্জ থানার ওসি মাহফুজুর রহমান জানান, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে দেখছি। তদন্তে দোষী প্রমানিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।