ঝিনাইদাহের কৃষক রিপনকে হত্যা করে ভাই ভাবি

0
158
JHENIDA-RAPON-DROHO-18-P2
রিপন হত্যা কান্ডে জড়িত ফরিদা। ইনসেটে রিপন।

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় জমি সম্পত্তির লোভেই ঘুমন্ত কৃষক রিপনকে তার ভাই ভাবি পরিকল্পিত ভাবে গলা টিপে হত্যার পর বাড়ির পাশের ডোবায় পুতে রাখে।

পুলিশকে এমন তথ্য দিয়েছে হত্যা প্রধান আসামী নিহত কৃষকের ভাবি ফরিদা বেগম। রিপন ৯ ডিসেম্বর রাতে নিজের ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। আটক ফরিদা ও নিহতের ভাই নান্নু গলাটিপে তাকে হত্যা করে লাশ গুম করতে ও অন্যের ঘারে দোষ চাপাতে নাটক তৈরী করে।

পুলিশ বলছে, ডোবা থেকে রিপনের লাশ উদ্ধার পরে সন্দেহ জনক আচরণের কারনে ফরিদাকে আটক করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাদারে বেড়িয়ে আনে চাঞ্চল্য কর ও রোমহস্যক ঘটনা। এর পর থেকে ফরিদার স্বামী নান্নু গা ঢাকা দেয়। ইতোমধ্যে ঝিনাইদহের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ কামরুজ্জামানের আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে ফরিদা বেগম।

সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (শৈলকুপা সার্কেল) আরিফুল ইসলাম জানান, গত ৯ ডিসেম্বর শৈলকুপা উপজেলার চর রূপদাহ গ্রামের মৃত আব্দুল বারিক বিশ্বাসের ছেলে রিপন হোসেন (২৮) বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। এ ব্যাপারে তার স্ত্রী সোহাগি বেগম পরের দিন শৈলকুপা থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকেই রিপকে উদ্ধারে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। পরে গত ১৬ ডিসেম্বর বাড়ির পাশের ডোবায় পুতে রাখা লাশের হাত দেখতে পেয়ে পুলিশের খবর দেয় এলাকাবাসী। পরে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় সন্দেহজনক ভাবে ওই দিনই ভাবী ফরিদা বেগমকে আটক করা হয়। নিহতের ভাই নান্নু গা ঢাকা দেয়। ফরিদা বেগম হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবান বন্দি দিয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, কৃষক রিপন দীর্ঘদিন মালেশিয়া ছিল। বড় ভাই ময়মনসিংহ চাকুরী করেন। এই সুবাদে পরিবারের সব সম্পত্তি নান্নু ভোগ দখল করে আসছিল। ২ বছর আগে রিপন বাড়িতে এসে জমি নিয়ে চাষাবাদ শুরু করে। সম্পত্তি নিয়ে পরিবারে ঝামেলা চলে আসছিল।