টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন বুধবার

0
101
প্রতিকী ছবি

দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক

বুধবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে করোনা টিকা দেয়া শুরু হচ্ছে। ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে প্রথম একজন নার্সের শরীরে প্রয়োগের মধ্য দিয়ে দেশে টিকা কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে।

ভার্চুয়ালি যুক্ত থেকে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে টিকাদান কার্যক্রম শুরুর প্রস্তুতি পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেলা সাড়ে ৩টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন। তিনি ভিডিও কনফারেন্সেই প্রথম ৫ জনের ওপর টিকার প্রয়োগ সরাসরি প্রত্যক্ষ করবেন।

কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিল আহমদ হাসপাতালের প্রস্তুতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, বিকাল ৩টায় প্রাথমিক ড্রাই রান করা হবে। এছাড়াও হাসপাতালের চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ১০০ জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

এ কর্মসূচি আরও গতি পাবে এদিনই এই হাসপাতালে সম্মুখ সারিতে থাকা বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধিত্বকারী ২৪ জনের একটি দলকে টিকা দেয়ার মাধ্যমে। সেই তালিকায় চিকিৎসক, নার্স, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, পুলিশ, সেনাবাহিনী, সাংবাদিকসহ অন্য পেশার মানুষ যুক্ত থাকবে।

আর পরদিন ২৮ জানুয়ারি এই হাসপাতালের সঙ্গে আরও চারটি হাসপাতালে করোনার টিকা প্রয়োগ শুরু হবে। এগুলো হচ্ছে- ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, কুয়েত মৈত্রী জেনারেল হাসপাতাল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়।

এসব হাসপাতালের ৪০০ থেকে ৫০০ জন স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা দিয়েই এ কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সচিব আব্দুল মান্নান। তিনি বলেছেন, এরপর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল অনুযায়ী তাদের পর্যবেক্ষণ করা হবে, তাদের মধ্যে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় কিনা সেটা দেখা হবে।
গত ২০ জানুয়ারি ভারত সরকারের উপহার দেওয়া অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি কোভিশিল্ড টিকা দেশে এসে পৌঁছায়। সোমবার দেশে এসে পৌঁছেছে সরকারের কেনা তিন কোটি টিকার প্রথম চালান ৫০ লাখ ডোজ।

এই ৭০ লাখ টিকার ভেতরে ৬০ লাখ টিকা দেয়া হবে প্রথম মাসে, দ্বিতীয় মাসে দেয়া হবে ৫০ লাখ, তৃতীয় মাসে দেয়া হবে আবার ৬০ লাখ। প্রথম মাসে টিকা পাওয়াদের দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হবে তৃতীয় মাসে। আর এ হিসাবে টিকা বিতরণ পরিকল্পনা ইতোমধ্যে করা হয়েছে। কেনা টিকা দেশে আসার পর ঢাকা থেকে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস চুক্তি অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন জেলাতে টিকা পৌঁছে দেবে।