বিএনপির ৩৬৫ নেতাকর্মী গ্রেফতার, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নিহত

0
67
সংগৃহীত ছবি

দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক

বিএনপির একদফা দাবি আদায়ে চতুর্থ দফার অবরোধের আগে দিন থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে দলটি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ৩৬৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ছ্ড়াা পুলিশের ধাওয়া খেয়ে পালাতে গিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

রবিবার সন্ধ্যায় এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।

রিজভী বলেন, এসময়ের মধ্যে ১৩টি মামলা হয়েছে, তাতে ১ হাজার ৪৮৫ জন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় আইনশৃঙ্খলা রাকারী বাহিনী এবং মতাসীন দলের নেতাকর্মীদের হামলায় ৪০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন এবং একজনের মৃত্যু হয়েছে।

তিনি বলেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের ৪/৫ দিন আগে থেকে রবিবার পর্যন্ত ১০ হাজার ৭৭০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলা হয়েছে ২৩৩টি, আহত হয়েছেন ৩ হাজার ৯৪৬ জন এবং ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে (সাংবাদিক একজন)।

গত ২৮ ও ২৯ জুলাই থেকে এ পর্যন্তু বিএনপির কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সারাদেশের প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, ১৩ হাজার ৭৫১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময়ে মামলা হয়েছে ৬২৬টি। এসব মামলায় ৪৯ হাজার ৯২৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। এসময়ে আহত হয়েছেন ৬ হাজার ৩৭ জন। এসময়ে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, এর মধ্যে একজন সাংবাদিকও রয়েছেন।

রিজভী অভিযোগ করেন, সরকার মতায় টিকে থাকতে নতুন করে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের নির্বিচারে গ্রেফতার ও গুম শুরু করেছে। চতুর্থ দফায় অবরোধ চলাকালে নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের সমালোচনাও করেন তিনি।

সরকারকে জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের দায়িত্ব না নিয়ে নির্বাচনকালীন নিরপে সরকারের অধীনে মতা হস্তন্তরের আহ্বান জানান রিজভী।

তিনি বলেন, সরকার মতায় টিকে থাকতে দেশজুড়ে পুলিশি রাজ্য তৈরি করেছে। শ্রমিকরা নায্য দাবিতে আন্দোলন করছেন। পোশাক শ্রমিকদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবহার করে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতে চায় সরকার।

প্রধানমন্ত্রী জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের দায়িত্ব নিয়েছেন- এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, সরকার গত ১৫ বছর ধরে দেশে কর্তত্ববাদী শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। জনগণের ভাগ্য উন্নয়ন করতে হলে নিরপে সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।