২৮ অক্টোবর সরকার পতনের চূড়ান্ত আন্দোলন শুরু করবে বিএনপির

0
75

দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক

সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনের চলমান কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকায় জনসমাবেশ করবে বিএনপি। পদত্যাগ করে নিরপে নির্দলীয় তত্ত¡াবধায়ক সরকারের কাছে মতা হস্তান্তরের আহ্বান জানানো হবে এ জনসমাবেশ থেকে।

আজ বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনের এই জনসমাবেশ থেকে আগামী ২৪ অক্টোবরের মধ্যে দাবি মেনে নিতে আহ্বান জানাবে দলটি। দাবি মেনে না নিলে ২৮ অক্টোবর থেকে মহাসমাবেশের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করবে বিএনপি। বিএনপি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দুপুর ২টায় জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দণি বিএনপি আয়োজিত এ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ব্যাপক প্রস্তুুতি নিয়েছে দলটি।

দণি বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম জানান, এমনিতেই তাদের ধারাবাহিক কর্মসূচি চলছে। সেখানে নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ প্রতিনিয়ত বাড়ছে।

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, আসতে পারে দুর্গাপূজা শেষে মহাসমাবেশসহ আরও অনেক কর্মসূচি। তপশিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত এ ধরনের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কর্মসূচি নিয়েই এগিয়ে যেতে চায় দলটি। এতেও সরকার কর্ণপাত না করলে তপশিলের পর লাগাতার ঘেরাও, অবস্থান, অবরোধেরে মতো কর্মসূচিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে।

সূত্র জানায়, আগামী ২০ থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত দুর্গাপূজার মধ্যে কোনো কর্মসূচি পালন করবে না বিএনপি। আজ বুধবার থেকে এক সপ্তাহ সময় দিয়ে সরকারকে আলটিমেটাম দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেছেন দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামের স্থায়ী কমিটির নেতারা। আন্দোলনের এই ধাপে মাসের শেষে ঢাকায় মহাসমাবেশের মধ্য দিয়ে ধারাবাহিক আন্দোলনে প্রবেশ করতে চায় দলটি। তপশিলের আগ পর্যন্ত সেই আন্দোলন টেনে নেওয়া হবে। এর পর চূড়ান্ত পর্যায়ের আন্দোলনে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে দলের শীর্ষ নেতাদের।

নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার পর ‘ডু অর ডাই’ আন্দোলনে যেতে চান বিএনপিসহ অন্যান্য দলের নেতা। এবারের কর্মসূচিতে বিভিন্ন জেলা থেকে নেতাকর্মীকে ঢাকায় আসার কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন নেতারা। তপশিল পর্যন্ত লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে, যা পূজার পর ২৭ অথবা ২৮ অক্টোবর থেকে শুরু হতে পারে। চূড়ান্ত পর্যায়ে বেশির ভাগ কর্মসূচি হবে ঢাকাকেন্দ্রিক। শুরুতে মহাসমাবেশের মতো কর্মসূচি দিয়ে এ কর্মসূচি আরম্ভ করা হবে। তবে শেষ ধাপে তা ঘেরাও আন্দোলনে রূপান্তর ঘটবে। এর মধ্যে ঢাকা ঘেরাও, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সচিবালয়, নির্বাচন কমিশনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ঘেরাওয়ের প্রস্তাব রয়েছে।