ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে মামলা
দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক
চন্দনাইশের দুই ভাইকে অপহরণ অতঃপর মুক্তিপণ দাবি সর্বশেষ ‘ক্রসফায়ারে’ হত্যার অভিযোগে ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৫ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।
বুধবার নিহত আমানুল হক ফারুক ও আজাদুল হক আজাদের ছোট বোন রিনাত সুলতানা শাহীন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
চট্টগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুন নাহার রুমীর আদালত মামলাটি গ্রহণ করে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের এএসপিকে তদন্ত করে আগামী ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী জিয়া আহসান হাবীব বলেন, আট লাখ টাকা না পেয়ে দুই ভাইকে ক্রসফায়ার দেওয়া হয়েছে বলে বাদী অভিযোগ এনেছেন। বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বিনা খরচে বাদীকে আইনি সহায়তা দিচ্ছেন তিনি।
অভিযোগে বলা হয় মোটা অঙ্কের অর্থ লুট করতে তাকে প্রথমে গুম করা হয় পরে টাকা না পেয়ে ক্রসফায়ারে হত্যা করা হয়। আজাদ অবিবাহিত, আর ফারুকের আট বছরের একটি মেয়ে ও আট মাস বয়সী একটি ছেলে রয়েছে। দুই ভাই হত্যার বিচার চান এ বোন।
ওসি প্রদীপ ছাড়াও এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন টেকনাফ থানার উপপরিদর্শক ইফতেখারুল ইসলাম, কনস্টেবল মাজহারুল, দ্বীন ইসলাম ও আমজাদ। এ ছাড়া স্থানীয় চন্দনাইশ থানার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও এই হত্যায় জড়িত বলে দাবি করে তাদের বিরুদ্ধেও তদন্তের আবেদন করেন বাদী।
বাদীর অভিযোগ, চট্টগাম চন্দনাইশ উপজেলার দুই সহোদরকে তুলে নিয়ে ১৬ জুলাই কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধের’ নামে হত্যা করেন টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ। চন্দনাইশ থানার ওসি কেশব চক্রবর্তীর যোগসাজশে ওই দুই ভাইকে তুলে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে আসছিলেন নিহতদের স্বজনরা।