শনিবার, ২৪ মে, ২০২৫
Home Blog Page 685

মিরপুরের পুলিশ সদস্য করোনায় আক্রান্ত, ফাঁড়ি লকডাউন

0
Corona-Dro-28-p-5-compressed
প্রতিকী ছবি।

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার মিরপুরে এক পুলিশ সদস্য করোনা আক্রান্ত হওয়ায় পুরো পুলিশ ফাঁড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। একই সাথে ওই পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত সব পুলিশ সদস্যকে ক্লোজ করে পুলিশ লাইনে এনে রাখা হয়েছে।

শুক্রবার রাত ৮ টায় কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কাকিলাদহ পুলিশ ফাঁড়ির এক পুলিশ সদস্যের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসায় গোটা পুলিশ ফাঁড়িটি লকডাউন করা হয়।

কাকিলাদহ পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই আতিকুর রহমান বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, করোনা আক্রান্ত ওই পুলিশ সদস্যের বাড়ী ঝিনাইদহ জেলায়। তিনি আক্রান্ত হওয়ার আগে পর্যন্ত ওই পুলিশ ফাঁড়িতেই কর্মরত ছিলেন। পুলিশ সদস্য স্থানীয় ভাবে সংক্রামিত হয়ে থাকতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ রাশেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান জানান, গত ২৬ তারিখে ঠান্ডা-জ্বরসহ করোনা উপসর্গ নিয়ে ওই পুলিশ সদস্য মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। তার নমুনা সংগ্রহ করে ২৭ মে কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে পাঠায়। শুক্রবার সন্ধ্যায় তার শরীরে করোনা পজিটিভ বলে রিপোর্ট আসে। তিনি বর্তমানে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম জানান, যেহেতু ওই পুলিশ সদস্য স্থানীয় ভাবেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। তাই পুরো পুলিশ ফাঁড়িটি শুক্রবার রাত ৮টায় লকডাউন করা হয়েছে।

বিয়ের পর জানা গেল জামাই করোনা আক্রান্ত

0
BHARAMRA-DRO-2-P-9-compressed
প্রতিকী ছবি।

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার ষোলদাগ গ্রামে রাসেল নামের এক যুবক চাকরীর সুবাদে ঢাকাতে বসবাস করেন। শরীরে করোনা উপসর্গ দেখা দেয়ায় গত ২৩ মে তিনি ঢাকাতে নমুনা দিয়েই গ্রামের বাড়ী চলে আসেন।

ওই যুবক ২৪ মে লুকিয়ে বিয়ে করেন পাবনার ঈশ্বরদীতে। বিয়ের রীতিনীতি মেনে বৃহস্পতিবার বউ নিয়ে শশুর বাড়ীতে যান রাসেল। এদিকে শুক্রবার ঢাকা থেকে জানানো হয় তার করোনা পজিটিভ। এ খবর জানার পরেই ঈশ্বরদী থেকে নতুন বউ নিয়ে আবারও ভেড়ামারার গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসেন রাসেল।

করোনা আক্রান্ত ছেলের সাথে গোপনে মেয়ের বিয়ে দিয়ে বিপাকে পড়ে গেছেন শ^শুর বাড়ির লোকজন। বিষয়টি জানাজানি হলে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ সন্ধ্যায় রাসেলের শ^শুর বাড়িটি লকডাউন করে দেয়।

প্রতিবেশী ইমরান হোসেন জানান, ওই যুবক বিয়ের পর নতুন বউকে নিয়ে ৪ দিন ভেড়ামারায় অবস্থান করেন। এ সময় ঈশ্বরদী থেকে ভেড়ামারায় জামাই বাড়িতেও বেড়াতে আসেন মেয়ের পরিবারের লোকজন।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাহাউদ্দীন ফারুকী জানান, বর্তমানে নব-দম্পতিরা ভেড়ামারায় অবস্থান করছেন। বরের করোনা পজেটিভ হওয়ায় আমরা তার শ^শুর বাড়ী লকডাউন করেছি। সেই সাথে পুনরায় যাতে করোনা পজেটিভ বর শ^শুর বাড়ীতে না আসে এজন্য কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

করোনা পজেটিভ রাসেলের কোন তথ্য অফিসিয়ালভাবে ভেড়ামারা উপজেলা প্রশাসনের কাছে আসেনি বলে জানায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল মারুফ। তিনি জানান, রাসেল করোনা পজিটিভ এমন কোন তথ্য অফিসিয়ালি আমাদের কাছে আসেনি। বিষয়টি খোজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।
কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডাঃ এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, শুক্রবার নতুন করে ১০ জনসহ কুষ্টিয়া জেলায় অদ্যাবধি ৫৭ জন কোভিড রোগী সনাক্ত হয়েছে। বহিরাগত বাদে জেলার দৌলতপুরে ১৯, ভেড়ামারায় ৬, মিরপুরে ১০, কুষ্টিয়া সদরে ৭, কুমারখালীতে ১১, খোকসায় ৪ জন (সবাই ঢাকা ফেরত)। এর মধ্যে পুরুষ ৪৩ জন এবং নারী ১৪ জন। বর্তমানে হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন ৩৩ জন রোগী।

গড়াই নদীতে নিখোঁজ ব্যাংক কর্মকর্তার মরদেহ উদ্ধার

0
DE-DRO-29-P9
ব্যাংক কর্মকর্তা রাফসান হক খান।

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

গড়াই নদীতে বন্ধুদের সাথে গোসলে নেমে নিখোঁজ হওয়ার ১৩ ঘন্টা পর ব্যাংক কর্মকর্তা রাফসান হক খানের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ৫ বন্ধু গড়াই নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ হন রাফসান। এরপর শুক্রবার সকাল সাতটার দিকে তার মরদেহ খুঁজে পাওয়া যায়।

কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আলী সাজ্জাদ জানান, টানা ১৩ ঘন্টার বেশি সময় ধরে চেষ্টা চালিয়ে শহরের ঘোড়াঘাট এলাকায় রাফসানের মরদেহ পাওয়া যায়। মরদেহ উদ্ধারের পর সকাল ৮টার দিকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

রাফসানের বাসা শহরের থানাপাড়া এলাকায়। তিনি মিউচুয়্যাল ট্রাস্ট ব্যাংকের ঈশ্বরদী শাখায় ক্যাশিয়ার পদে কর্মরত ছিলেন। চলতি মাসের ২ তারিখে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ঈদের ছুটিতে বাড়ি এসেছিলেন রাফসান।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি গোলাম মোস্তফা বলেন, রাফসানের পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় ময়নাদতন্ত ছাড়াই মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

খোকসায় তিন পোশাক শ্রমিকের শরীরে করোনা পজেটিভ

0
Corona-Dro-29-p-3-compressed
প্রতিদকী ছ্বি।

স্টাফ রিপোর্টার

কুষ্টিয়ার খোকসায় ঢাকা ফেরত তিন পোশাক শ্রমিকের শরীরে করোনা পজেটিভ ধরা পড়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ কামরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ২৭ মে এ সব রোগীদের সোয়াব (নমুনা) সংগ্রহ করা হয়েছিল।

তিনি বলেন, শুক্রবার বিকালে কুষ্টিয়ার পিসিআর ল্যাব থেকে প্রেরিত খুদে বার্তা ও ইমেলের মাধ্যমে বিষয়টি তাদের নিশ্চিত করা হয়। তাতে বলা হয়, উপজেলার বেতবাড়িয়া গ্রামের পোশাক শ্রমিক আরিফুল, জাগলবা গ্রামের মফিজ উদ্দিন ও শোমসপুর গ্রামের শুকুর আলীর শরীরে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের অস্থিত্ব পজেটিভ পাওয়া গেছে।

তিনি জানান, ঈদ উপলক্ষে ঢাকা, সভার ও নারায়গঞ্জ থেকে কয়েকশ শ্রমিক উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ফিরে আসেন। তাদের মধ্যে এই তিন শ্রমিকের শরীরে করোনার লক্ষন দেখা দেয়। সন্দেহ ভাজন আক্রান্তদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এসব ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। শুক্রবার বিকালে রিপোর্ট আসার পর রোগীদের বাড়ি ও মহল্লা লকডাউন করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

খোকসায় অন্যকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজে শ্রীঘরে

0
arm-dro-29-p5-compressed
প্রতিকী ছবি।

স্টাফ রিপোর্টার

কুষ্টিয়ার খোকসায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই অস্ত্র সহ ধরা পরলেন অস্ত্র মামলার সাজা খাটা এক ব্যক্তি।

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ওসমানপুর ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামে। আটক ব্যক্তি ব্যক্তির নাম উজ্জল। সে এই গ্রামের আব্দুস ছাত্তারের ছেলে।

থানা পুলিশের একটি সূত্র গেছে, শুক্রবার সকালে মাদকের চালান ধরিয়ে দেওয়ার জন্য পুলিশকে খবর দেয় উজ্জল। পুলিশের এএসআই তরিকূল ও গ্রাম পুলিশ আব্দুর রাজজ্জাক অভিযান চালায়। কিন্তু তারা মাদকের চালান ধরতে ব্যর্থ হয়। এ সময় উজ্জল পুলিশকে জানায় প্রতিপক্ষ শুধু মাদক বিক্রি করে না সে অস্ত্র কেনা বেচার সাথে জড়িত। একই সাথে পুলিশকে অস্ত্রের সন্ধানদেয়।

তার দেওয়া তর্থের ভিত্তিতে রায়পুর গ্রামের একটি বাড়ির পাশে মাটি খুড়ে ৪ রাউন্ড গুলি ও একটি দেশীয় তৈরী আগ্নেয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। একই সাথে অস্ত্র মামলার সাজাখাটা আসামী উজ্জলকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

পুলিশের সূত্রটি জানায়, আগেও উজ্জলের নামে অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছিল। ওই মামলায় সে প্রায় ৮/৯ বছর সাজা ভোগ করে মুক্তি পেয়েছে।

অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া পুলিশের এএসআই তরিকূল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। আটক উজ্জলের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা পক্রিয়াধীন রয়েছে বলে তিনি জানান। পরবর্তীতে ঘটনার বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান তিনি।

খোকসায় আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা

0
khoksa -hamla-29-p1-compressed
রতনপুরে হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ একটি বাড়ির বেড়া। ছবি-দ্রোহ।

স্টাফ রিপোর্টার

খোকসার রতনপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে কমপক্ষে ৫ টি বাড়ি ভাংচুর ও লুটের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের নেতার বিরুদ্ধে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দুই জনকে আটকও করা হয়েছে।

গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার খোকসা ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামে বিশ্বাসদের গোষ্ঠি বিরোধ র্দীঘ দিনের। আদের অধিকাংশই আওয়ামী ঘরানার রাজনীতির সাথে জড়িত। সম্প্রতি এলাকায় আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে গ্রামটিতে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের কর্মীসমর্থকদের মধ্যে বিবাদ মাথাচারা দিয়ে ওঠে।

khoksa -hamla-29-p3-compressed
রতনপুরে পুলিশ টহল। ছবি- দ্রোহ।

শুক্রবার সকালে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি সদস্য জিল্লুর রহমানের উপর হামলার গুজর ছড়িয়ে পরে। এ সময় মেম্বরের সমর্থকরা প্রতিপক্ষ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা জুয়েল, খালিদ ও নূর ইসলামের বাড়িসহ ৫টি বাড়ি ভাংচুর করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

হামলার খবর পেয়ে খোকসা থানা পুলিশ রতনপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে সাচ্চু ও সাদ্দামকে আট করে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গ্রামটিতে পুলিশ মোতায়েন ছিল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খালিদে বিশ্বাসের স্ত্রী জানান, বেলা ১১টার দিকে কয়েকশ নারী পুরুষ একযোগে এসব বাড়িতে হামলা চালায়। হামলা কারীরা তার বাড়ি থেকে এক লাখ নগদ টাকা ও সোনার গহনা লুট করে নিয়ে গেছে। একই অভিযোগ করেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা জুয়েল। তিনি জানান, জিল্লু মেম্বর সম্প্রতি উপজেলা আওয়ামী লীগের দ্বিধাবিভক্ত একটি অংশের সাথে যোগ দিয়েছেন। এখন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে পরিকল্পিত ভাবে গ্রামের সব শ্রেণির মানুষের উপর হামলা করছে।

khoksa -hamla-29-p2-compressed
হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ্য ছাত্রলীগ নেতা জুয়েলের বাড়ি। ছবি- দ্রোহ।

আওয়ামী লীগের একাংশের নেতা স্থানীয় ইউপি সদস্য জিল্লুর রহমান বলেন, প্রতিপক্ষরা গ্রামের সাধারন মানুষের উপর নির্যাতন করে আসছে। এর প্রতিবাদ করায় আজ শুক্রবার সকালে পতিপক্ষ তার উপর হামলার ঘোষনা দেয়। এ ছাড়া ছাত্রলীগ নেতা জুয়েল ও বিএনপি নেতা খালিদ নিজেদের বাড়ির বেড়া ও কিছু চেয়ার ভেঙ্গে তার লোকদের উপর দোষ দিচ্ছে।

থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহুরুল আলম বলেন, অভিযোগ হয়েছে, মামলা হয়নি। এলাকায় কী ঘটেছিল সে বিষয়ে জানার জন্য দু’জনকে থানা আনা হয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।

খোকসায় গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু

0
khoksa-fro-29-p1-compressed
ঘাতক জামাই জাহিদ (গোল বৃত্তে) কে ঘিরে নিহতের মায়ের আহাজারি। ছবি - দ্রোহ।

স্টাফ রিপোর্টার

কুষ্টিয়ার খোকসায় শ্বাশুরীর সাথে কথা কাটাকাটির জের ধরে স্বামীর বাড়িতে রহস্য জনকভাবে মারা যাওয়া গৃহবধূর লাশ ফেলে পালিয়ে গেলো পরিবারের সবাই। স্বামী বলছে, চোখের সামনে মুহুর্তের মধ্যে গৃহবধূ আত্মহত্যা করলো। ভাই বলছে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করেছে স্বামী শ্বাশুরী।

বৃহস্পতিবার বিকালে এক সন্তানের জননী সাথি খাতুনের রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয়। সে পূর্ব বেতবাড়িয়া গ্রামের কাদের আলীর ছেলে জাহিদ এর দ্বিতীয় স্ত্রী। ঘরের বারান্দায় গৃহবধূর মৃতদেহ ও উঠানে তার দুই বছরের কন্যাকে ফেলে শ্বাশুরী ও অন্যরা পালিয়ে যায়। নিহতের বাবার বাড়ি উপজেলার ওসমানপুর ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামে। শ্বাশুরীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গৃহবধূ আত্মহত্যা করতে পারে। আবার পিটিয়ে হত্যার পর আত্মহত্যার নাটক সাজানো হতে পারে বলে সন্দেহ করছে নিহতের বাবার পরিবার।

স্থানীয়রা জানায়, প্রতিদিনের মত বৃহস্পতিবার সকালে শ্বাশুরী ও পুত্র বধূর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বিকালে নিজেদের একটি ঘরের টিনের বেড়া কেটে মৃত গৃহবধূকে উদ্ধার করা হয়। এর পর থেকে গৃহবধূর স্বামীর পরিবারের লোকেরা গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায়।

নিহত গৃহবধূর ভাই স্বপন জানান, বিয়ের পর পান থেকে চুন খসলেই সাথির উপর শ্বাশুরী ও স্বামী শারীরিক নির্যাতন চালাতো। অনেকবার বসাবসি হয়েছে। যৌতুকও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সাথির উপর নির্যাতন কমেনি। বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে মোবাইল ফোনে তাকে জানানো হয় সাথি গলায় ফাঁস নিয়েছে। তারা এসে আর বাড়িতে কাউকে পায়নি। দুই বছরের ভাগ্নিকে পেয়েছে উঠানে। আর বোনের মৃতদেহ পেয়েছে ঘরের বারান্দায়। তার বোনের সমস্ত শরীরে আঘাতের অসংখ্য চিহ্ন রয়েছে বলেও সে দাবি করে।

নিহতের স্বামী জাহিদ জানায়, স্ত্রী সাথি খাতুনের সাথে তার মা (শ্বশুরী) সুখজানের কথা কাঠাকাটি হয়। এক পর্যায়ে দুজনের মধ্যে বিরোধ চরমে পৌঁছে। স্বামী শ্বাশুরী ও অন্যদের উপস্থিতিতে গৃহবধূ নিজের ঘরে দরজা দেয়। বিকাল ৪ টার দিকে ঘরের আড়া থেকে সাথির ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

খোকসা থানার ওসি (তদন্ত) ইদ্রিস আলী জানান, নিহত গৃহবধূর পরিবার ইতোমধ্যে আত্মহতার প্ররোচনার অভিযোগ দিয়েছে। মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী জাহিদকে থানায় আনা হয়েছে। শুক্রবার সকালে মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।

কৃষকের চোখের সামনেই মারা গেল দুটি গাভী

0
Jhenaidah-map-dro-28-p-9-compressed (1)
ঝিনাইদহ জেলার ম্যাপ।

দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক

নিজের চোখের সামনে বিদ্যুৎস্পৃস্ট হয়ে নিজের গাভী দুটির মারা যেতে দেখে নির্বাক হয়ে গেলেন কৃষক হারুন-অর রশীদ। এই গাভীর দুধ বিক্রি করে তার সংসার চলতো।

বুধবার বিকালে মাঠ থেকে গাভী দুটি নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় কৃষক হারুনের চোখের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের এই কৃষকের গাভী দুটি মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা দাবি করেন, ঝড়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে ত্রুটির কারনে এ ঘটনা ঘটেছে।

কৃষক হারুন-অর রশীদ জানান, গাভী দুটি বর্তমানে দুধ দিচ্ছিল। সেই দুধ বিক্রি করে তার সংসার চলতো।

তিনি আরও বলেন, বুধবার গরু গুলো নিয়ে মাঠে গিয়েছিলেন। বিকাল ৫ টা নাগাদ মাঠ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় দুধ দেওয়া গাভী দুটি মাঠের একটি বিদ্যুতের খুঁটির কাছ দিয়ে যাওয়ার সময় তড়িতাহত হয়। ঘটনা স্থলেই গাভী দুটির মৃত্যু হয়। মারা যাওয়া গাভী দুটির বাজার মূল্য প্রায় ২ লাখ টাকা হবে বলে কৃষক দাবি করেন।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ইলিয়াস রহমান জানান, ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক হারুন অর রশিদ অত্যন্ত দরিদ্র শ্রেণির মানুষ। কৃষককে সরকারি সহযোগিতা এনে দেওয়ার আশ^াস দেন তিনি।

ঢাকায় করোনায় মারা যাওয়াদের দাফন হলো দৌলতপুরে

0
daultpur-dro-28-p8-compressed
করোনায় মারা যাওয়াদের জানাযা পড়া হচ্ছে। ছবি- দ্রোহ।

দৌলতপুর প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ঢাকায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া দু’জনের পৃথক পৃথক ভাবে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

দৌলতপুরের গ্রামে আব্দুল কুদ্দুস (৬৭) ও শুভতারা বেগম (৭৮) এর দাফন অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে করোনা সুরক্ষা বিধি মেনে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের স্থানীয় ইমাম তাদের জানাযার নামাজ পড়ান।

দৌলতপুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজগর আলী ও থানার ওসি এস এম আরিফুর রহমান ও স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীরা মৃতদের দাফন সম্পন্ন করেন।

জানা গেছে, অবসরপ্রাপ্ত কাষ্টম কর্মকর্তা আব্দুল কুদ্দুস করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধিন ছিলেন। মঙ্গলবার দুপুরে তিনি ঢাকায় মারা যান। তার গ্রামের বাড়ি দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর মন্ডলপাড়ায়। তিনি চাকরি থেকে অবসরের পর ঢাকার বাড়িতে থাকতেন। বুধবার নিজ গ্রামের কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

একই রাতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া শুভতারা বেগম (৭৮) নামে আরো এক নারীকে উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের মুসলিমনগর গ্রামে দাফন করা হয়। তিনি এই গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের স্ত্রী।

শুভতারা বেগম ছেলে সন্তানদের নিয়ে ঢাকার সাভারে নিজ বাড়িতে বসবাস করতেন। বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। বুধবার সকালে ঢাকার একটি হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান। রাতেই তার মরদেহ মুসলিমনগর গ্রামের বাড়িতে আনা হয়। প্রশাসনের তত্ববধানে স্বামী রহমানের কবরের পাশে শুভতারা বেগমের দাফন সম্পন্ন করা হয়।

কুষ্টিয়ায় নদীতে গোসলে নেমে ব্যাংক কর্মকর্তা নিখোঁজ

0
KUSHTIA-DRO-28-P-6-compressed
নববধূসহ রাফসান।

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ায় বন্ধুদের সাথে গড়াই নদীতে গোসল করতে নেমে রাফসান (৩০) নামে এক ব্যাংকার নিখোঁজ হয়েছেন। আফসান শহরের থানাপাড়া এলাকার মৃত রেজাউল হকের ছেলে। তিনি মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ঈশ্বরদী শাখায় ক্যাশিয়ার ছিলেন।

বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় শহরের ঘোড়ার ঘাট সংলগ্ন গড়াই নদীতে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যেক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানায়, ঈদের ছুটিতে রাফসান তার কুষ্টিয়ার পাঁচবন্ধু রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক হাসিবুর রশিদ তামিম, ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ, কুষ্টিয়া স্যামসাং শো-রুমের ম্যানেজার ফয়সাল ও আব্দুর রশিদকে নিয়ে গোসলের উদ্দেশ্যে দুপুরে ঘোড়ার ঘাট এলাকায় গড়াই নদীতে নামে।

এদের মধ্যে তামিম ও রাফসান একটু গভীরে গেলে হঠাৎ করেই তারা দু’জনেই নদীতে তলিয়ে যায়। এ সময় অন্যান্য বন্ধুদের চিৎকারে স্থানীয় মাঝিরা তামিমকে টেনে তুললেও রাফসানকে খুঁজে পাইনি।

হাসিবুর রশিদ তামিম জানান, রাফসান আর আমি একসাথেই ছিলাম। বাকিরা একটু কম পানিতে ছিল। হঠাৎ করে আমাদের পায়ের তলের মাটি সরে যায়। সাঁতার না জানায় আমি ও রাফসান তলিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করতে পারলেও রাফসানকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, ঈদের ছুটিতে রাফসান তার কর্মস্থল ঈশ্বরদী থেকে কুষ্টিয়া এসেছিলেন। চলতি মাসের ২ তারিখে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছিল।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, নিখোঁজ ব্যক্তিকে উদ্ধারে স্থানীয় ডুবুরি ও ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে। সেই সাথে খুলনার ডুবুরি দলকে জানানো হয়েছে। তারা কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।

সর্বশেষ সংবাদ

সংস্কার কমিশন বাতিল দাবিতে হেফাজতের বিক্ষোভ

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে হেফাজতে ইসলাম। কুষ্টিয়া জেলা হেফাজতে ইসলামের উদ্যোগে শুক্রবার (২৩ মে) বিকালে বড় বাজার থেকে বিক্ষোভ...

ব্যবসায়ীর কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে এক কাঠ ব্যবসায়ীর কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চাঁদার টাকা না দিলে তাকে গুলি করে...

খোকসায় কোটি টাকার স্বর্ণসহ সিন্দুক নিয়ে গেছে দুর্বৃত্বরা

স্টাফ রিপোর্টার মাত্র ১২ মিনিট অপারেশেন চালিয়ে দুর্বৃত্তরা একটি সোনার দোকানের শোরুম থেকে কোটি টাকার সোনা ও রুপাসহ লোহার সিন্দুক তুলে নিয়ে গেছে। বাজারের দুই...

অভ্যুত্থানে নিহত হাফেজের লাশ উত্তোলনে পরিবারের বাধা

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি জুলাই ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানে নিহত হাফেজ মোহাম্মদ জুবায়ের আহমদের (১৭) লাশ কবর থেকে উত্তোলন করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েছেন ম্যাজিস্ট্রেটসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী...

দৌলতপুরে হামলায় দুই এসএসসি শিক্ষার্থী আহত

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে এসএসসি ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশ নিতে এসে বহিরাগতদের হামলার শিকার হয়েছেন দুই পরীক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার (২২ মে) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার হোসেনাবাদ টেকনিক্যাল স্কুল...