একটি রাজনৈতিক দলের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রায় ১ যুগ পর মাঠে গড়াবে ক্রিকেট বল। তার জন্য স্থানীয় ক্রিকেটাররা পিচ তৈরীতে ব্যস্ত। এ টুর্নামেন্ট ৮টি জেলা ক্রিকেট দল অংশ নেবে। খোকসা জানিপুর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে পিচ তৈরীর ছবি গুলো মঙ্গলবার বিকালে তোলা।
আন্ত:জেলা চোর চক্রের ৩ সদস্য আটক, ইজিবাইক উদ্ধার
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার কুমারখালী থেকে আন্ত:জেলা ইজিবাইক চোর চক্রের তিন সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের ছেঁউরিয়া কারিগর পাড়া এলাকা থেকে তাদেও আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছে থেকে একটি ইজিবাইক উদ্ধার করা হয়। যার বাজার মূল্য প্রায় দেড় লাখ টাকা।
মঙ্গলবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন থানার ওসি মো. সোলায়মান শেখ।
আটকরা হলেন – কুমারখালী চাপড়া ইউনিয়নের ছেঁউরিয়া কারিগর পাড়ার মৃত আসলাম উদ্দিনের ছেলে শাহ আলম শাহীন (৫০), কুষ্টিয়া সদর উপজেলার মিলপাড়া এলাকার লোকমান মোল্লার ছেলে শরিফুল মোল্লা (৩৫) ও মৃত শহিদুল হকের ছেলে মুরাদ হোসেন (৫০)।
পুলিশ জানায়, কুমারখালীর চাপড়া ইউনিয়নের ছেঁউরিয়া মন্ডলপাড়ায় মৃত মতিয়ার রহমানের ছেলে মো. আব্দুল্লাহ’র ইজিবাইকের গ্যারেস আছে। অভিযুক্ত শাহ আল শাহীন তার কাছ থেকে অটোগাড়ি ভাড়া নিয়ে চালাচ্ছিলেন কয়েক মাস ধরে। ২০২৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর শাহীন অটোগাড়িটি বিক্রি করে আত্মগোপনে চলে যান। ১৫ ডিসেম্বর শাহীনের স্ত্রী রেখা খাতুন কুমারখালী থানায় তার স্বামী নিখোঁজ হয়েছে, এই মর্মে সাধারণ ডায়েরী করেন। পুলিশ সাধারণ ডায়েরীর সূত্র ধরে অভিযান শুরু করে।
এরপর গত সোমবার রাতে নিখোঁজ শাহীনকে নিজ বাড়ি থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধার পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাহীন চুরির ঘটনা স্বীকার করেন এবং অটোগাড়ির মালিক আব্দুল্লাহ ওইদিন রাতেই থানায় ৪ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলায় শাহীনসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে একটি ইজিবাইক উদ্ধার করা হয়। এ মামলায় এখনও পলাতক রয়েছেন শাহীনের স্ত্রী রেখা খাতুন।
মামলার বাদী মো. আব্দুল্লাহ বলেন, শাহীন আমার কাছ থেকে ইজিবাইক ভাড়া নিয়ে চালাতেন। ভাড়া দেওয়া নেওয়ার প্রায় দুইমাসের মাথায় ইজিবাইকসহ শাহীন আত্মগোপনে চলে যায়। পরে গত সোমবার রাতে পুলিশের মাধ্যমে জানতে পারলাম শাহীন ইজিবাইকটি চুরি করে বিক্রি করেছে। আমি বিচারের আশায় থানায় মামলা করেছি।
আরও পড়ুন – ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণ বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন
কুমারখালী থানার ওসি মো. সোলায়মান কেষ জানান, চুরির মামলায় আন্ত:জেলা চোর চক্রের তিনজনকে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান। তিনি আরও বলেন, স্বামী ইজিবাইক চুরি করে বিক্রি করে আত্মগোপনে ছিলেন। আর স্ত্রী নিখোঁজের নাটক সাজিয়ে থানায় জিডি করেন। মূলত জিডির সূত্র ধরেই পুলিশ প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করেছে। এ ঘটনায় পলাতক আসামী রেখা খাতুনকে আটকে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণ বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার কুমারখালী পৌরসভায় ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণ বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন কয়েক’শ গ্রামবাসী।
মঙ্গলবার দুপরে উপজেলা পরিষদ চত্বর এ ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করেন হাঁসদিয়া গ্রামের কয়েকশ কৃষক। কর্মসূচি শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত স্মারকলিপি দেন বিক্ষোভকারীরা।
শতবর্ষী কুমারখালী পৌরসভা। নিজস্ব কোন ডাম্পিং স্টেশন না থাকায় কুষ্টিয়াি রাজবাড়ি আঞ্চলিক মহাসড়কের দুইধারে ফসলি জমিতে ময়লা-আবর্জনা ফেলছে। পৌর এখার বর্জে হাঁসদিয়া গ্রামের কৃষি জমিতে চাষ আবাদ ব্যহত হচ্ছে। অন্যদিকে পরিবেশ দুষন হচ্ছে। সম্প্রতি উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড হাঁসদিয়া এলাকায় পৌরসভা ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণের জন্য স্থান নির্ধারণ করেছে। হাঁসদিয়া এলাকায় ডাম্পিং স্টেশন নির্মান বন্ধের দাবিতে ফুসে উঠেছে কৃষক ছাত্র জনতা।
এ দিন সকাল থেকে কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষার্থীসহ কয়েক’শ নানা বয়সি নারী-পুরুষ মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ করেছেন। তাদেও হাতের ব্যানারে লেখা রয়েছে, পৌরসভার ময়লা গ্রামে যাবেনা।
হাঁসদিয়া গ্রামের মৃত সাবান মন্ডলের ষাটোর্ধ স্ত্রী জহুরা খাতুন বলেন, আমরা গরিব মানুষ। খাই আর না খাই, তবুও আমরা গন্ধে মরবোনা। পৌরসভার ময়লা গ্রামে ফেলতে দেবোনা। পৌরসভার ময়লা গ্রামে যাবেনা, যাবেনা।
কলেজ ছাত্রী আফরিন আক্তার স্মৃতি বলেন, ময়লা আবর্জনা ফেলার কারণে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। মানুষ রোগ বালাইয়ে আক্রান্ত হচ্ছে। চাষবাদ ব্যাহত হচ্ছে। সেজন্য পৌরসভার ময়লা না ফেলার দাবি জানায়।
হাঁসদিয়া মাঠে প্রায় আট বিঘা জমিতে শিম, পটল, শশা, মূলা, বেগুনসহ হরেকরকম সবজির চাষাবাদ করেন বরকত আলী মোল্লার ছেলে রমজান আলী মোল্লা। তিনি বলেন, ময়লার ভাগার হলে মাঠের পানি দুষিত হবে। র্দুগন্ধ ছড়াবে। শিয়াল, কুকুর, কাকসহ বিভিন্ন প্রাণী ফসলের তসরুপ করবে। মানুষ স্বাভাবিকভাবে বসবাস করতে পারবেনা। সেজন্য ভাগার বন্ধ করতে কামকাজ ফেলে মানববন্ধনে এসেছি।
হাঁসদিয়া গ্রামে অন্তত ১৭৫ টি পরিবারের বসবাস বলে জানান ব্যবসায়ী সামছুল আলম। তিনি বলেন, হাঁসদিয়ার ফসলী জমি ও জনবসতি এলাকায় ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণ বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করে ইউএনওর কাছে লিখিত স্মারকলিপি প্রদান করেছি। তাঁর ভাষ্য, বসতি এলাকা থেকে দূরে এবং সরকারি জমিতে ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণ করা হোক।
আরও পড়ুন – অবৈধ যানবাহন নিষিদ্ধের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
১৮৬৯ সালে গঠিত প্রথম শ্রেণীর পৌররসভায় ডাম্পিং স্টেশন না থাকায় মহাসড়কের ধারে ফসলি জমিতে ময়লা আবর্জনা ফেলা হয়। এতে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম। তিনি বলেন, ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণের জন্য বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্তু স্থান নির্ধারণ করা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, হাঁসদিয়া এলাকায় বেশকিছু সরকারি খাস জমি রয়েছে। সেগুলো উদ্ধারে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
অবৈধ যানবাহন নিষিদ্ধের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ায় অবৈধ স্যালো ইঞ্জিনচালিত যান ট্রলির ধাক্কায় দুইদিনে দুই স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যুর প্রতিবাদে ও এসব যানবাহন বন্ধের দাবিতে কুষ্টিয়া- খুলনা মহাসড়কে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে শহরের চৌড়হাস মোড়ে অবস্থিত মুকুল সংঘ বিদ্যালয়ের প্রায় ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী ছাড়াও মানববন্ধনে অংশ নেন অভিভাবক ও সচেতন মহল।
নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) ও বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতি কুষ্টিয়া শাখা আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, অবিলম্বে অবৈধ এসব যানবাহন বন্ধের বিষয়ে ব্যবস্থা না নিলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
অবৈধ যানবাহন চলাচলে হাইকোর্টের নির্দেশনা মানা হচ্ছে না অভিযোগ করে নিসচার কুষ্টিয়া শাখার সভাপতি কে এম জাহিদ বলেন, অবৈধ যানবাহনের ফলে সড়কে প্রতিনিয়ত মৃত্যুর মিছিল চলছে। অবৈধ অস্ত্র যেমন নিষিদ্ধ, আমি মনে করি অবৈধ প্রাণঘাতী এসব যানবাহনও নিষিদ্ধ করা জরুরি।
অবৈধ যানবাহন নিয়ন্ত্রণে পুলিশের অবস্থান প্রশ্নবিদ্ধ দাবি করে জাহিদ বলেন, কুষ্টিয়া শহরে রাত-দিন অবাধে চলছে বালুভর্তি ডাম্প ট্রাক ও শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ট্রলি। এতে স্কুলগামী শিশুরা জীবন সংকটে পড়ছে। অন্তত দিনের বেলা ব্যস্ত সময়ে এসব বালুবাহী যানবাহন বন্ধ হওয়া উচিত।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া মুকুল সংঘের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী উর্মিলা মুক্তি বলে, সড়কে চলাচল করতে খুবই ভয় হয়। ট্রলি ও বালুর গাড়ি বেপরোয়া চলে। রাস্তা পার হতে প্রায়ই বড়দের সাহায্য নিতে হয়। এতে অনেক সময় স্কুলেও দেরি হয়।
নিসচার সাধারণ সম্পাদক নুরুন্নবী বাবু বলেন, হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা সত্তে¡ও শ্যালো ইঞ্জিনচালিত নসিমন, করিমন ও ট্রলি অবাধে চলাচল করছে। শহরজুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অবৈধ বালির ট্রাক। এভাবে একটি শহর চলতে পারে না।
এর আগে গত রবিবার স্কুল গেটে ট্রলির ধাক্কায় নিহত হয় শহরের ্রপতীতি বিদ্যালয়ের প্লে- শ্রেণির শিক্ষার্থী ইব্রাহিম। পরদিন সোমবার দৌলতপুরে বাবার খাবার নিয়ে মাঠে যাওয়ার পথে ট্রলির চাপায় আশিক নামে এক পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মারা যায়।
আরও পড়ুন – স্বর্ণের ভরি দেড় লাখ ছাড়ালো
অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে এই মানববন্ধনের বিষয়ে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পার্থ প্রতিম শীল বলেন, এসব অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই কঠোর অভিযান শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে দুইজন ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান পরিচালনা করে ৩টি ড্রাম ট্রাক ও ৬টি নসিমন করিমন জব্দ করেছে। এ ছাড়া কিছু জেলজরিমানাও করা হয়েছে। অভিযান আরও জোরদার করা হবে।
স্বর্ণের ভরি দেড় লাখ ছাড়ালো
দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক
আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সংগতি রেখে দেশের বাজারে স্বর্ণের ভরি দেড় লাখ টাকা ছাড়িয়ে নতুন রেকর্ড করেছে। নতুন করে প্রতি ভরিতে ভালো মানের স্বর্ণের (২২ ক্যারেট) দাম ১ হাজার ৪৭০ টাকা বেড়ে এক লাখ ৫১ হাজার ২৮২ টাকায় উঠেছে।
সোমবার (১৭ ফেব্রæয়ারি) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোনার এ মূল্যবৃদ্ধির তথ্য জানায়। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রæয়ারি) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৫১ হাজার ২৮২ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৪৪ হাজার ৪০০ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ২৩ হাজার ৭৬৭ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১ হাজার ৯৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
এর আগে, সবশেষ গত ১০ ফেব্রæয়ারি দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪৯ হাজার ৮১২ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি। যা ছিল দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দাম।
এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৪৩ হাজার ১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ২২ হাজার ৫৭৭ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৯১৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছিল গত ১১ ফেব্রæয়ারি।
এ নিয়ে চলতি বছর ৭ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো স্বর্ণের দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে সাতবারই। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।
স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়।
আরও পড়ুন – যশোরসহ ৪ জেলার এসপিকে দায়িত্ব ছেড়ে ঢাকায় আসার নির্দেশ
এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।
যশোরসহ ৪ জেলার এসপিকে দায়িত্ব ছেড়ে ঢাকায় আসার নির্দেশ
দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক
যশোরসহ কক্সবাজার, নীলফামারী ও সুনামগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপারকে (এসপি) দায়িত্ব ছেড়ে ঢাকায় আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) পুলিশ সদরদপ্তরের ডিআইজি (প্রশাসন) কাজী মো. ফজলুল করিমের সই করা পৃথক চারটি আদেশে এ তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়েছে, যশোরের পুলিশ সুপার মো. জিয়াউদ্দিন আহম্মেদ যশোর জেলা পুলিশের পরবর্তী জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার কাছে দায়িত্বভার অর্পণ করে আপনি ১৮ ফেব্রুয়ারি পুলিশ সদরদপ্তরে রিপোর্ট করবেন।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ কক্সবাজার জেলা পুলিশের পরবর্তী জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার কাছে দায়িত্বভার অর্পণ করে আপনি ১৮ ফেব্রুয়ারি পুলিশ সদরদপ্তরে রিপোর্ট করবেন।
একই ভাবে নীলফামারীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম নীলফামারীর জেলা পুলিশের পরবর্তী জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার কাছে দায়িত্বভার অর্পণ করে আপনি ১৮ ফেব্রুয়ারি পুলিশ সদরদপ্তরে রিপোর্ট করবেন।
আরও পড়ুন – বৃদ্ধকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা
সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার আ ফ ম আনোয়ার হোসেন খান সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের পরবর্তী জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার কাছে দায়িত্বভার অর্পণ করে আপনি ১৮ ফেব্রুয়ারি পুলিশ সদরদপ্তরে রিপোর্ট করবেন।
বৃদ্ধকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার গ্রামে এক বৃদ্ধকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যার পর মরদেহ মাঠে ফেলে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত ওই বৃদ্ধের নাম আতিয়ার খাঁ (৬৫)। তিনি উজানগ্রাম ইউনিয়নের শ্যামপুর দুর্বাচার গ্রামের ঝড়ু খাঁর ছেলে।
সোমবার (১৭ ফেব্রæয়ারি) সকালে উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের জোতপাড়া গ্রামের একটি ফসলি মাঠে রক্তাক্ত মরদেহটি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। ওই গ্রামেই নানাবাড়িতে দীর্ঘদিন পরিবারসহ বসবাস করতেন আতিয়ার।
কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান ঝন্টু এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সকালে মাঠে আতিয়ারের রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। তার শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। ঘটনাস্থল আতিয়ারের বাড়ি থেকে আধা মাইল দূরে। তবে কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা জানা যায়নি।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে স্থানীয় কয়েকজন জানান, বিভিন্ন সময়ে আতিয়ার বিপ্লবী কমিউনিষ্ট, জাসদ গণবাহিনী ও শ্রমজীবী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির নেতা শুকুর হত্যার আসামীও ছিলেন তিনি। রাতে অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তিরা ডেকে নিয়ে তাকে হত্যা করে মাঠে লাশ ফেলে গেছে বলে জানতে পেরেছি।
আরও পড়ুন – অংক দৌড়
সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব শত্রুতার জেরে এ হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে।
আরও পড়ুন – আকট মাদকদ্রব্য ধ্বংস করল বিজিবি
অংক দৌড়
চেয়ারের উপর রাখা কাগজের টুকরোতে অংক লেখা আছে। এই অংকের নিভুল সমাধান করে ফিরতে হবে স্ট্যাটিং পয়েন্টে। তবেই বিজয়ী হওয়া যাবে। জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক পুরস্কার প্রতিযোগীতার উপজেলা পর্যায়ের প্রতিযোগীরা অংশ নিয়েছে অংক দৌড় প্রতিযোগীতা। খোকসা জানিপুর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ থেকে সোমবার ছবি গুলো তোলা।
আরও পড়ুন – আকট মাদকদ্রব্য ধ্বংস করল বিজিবি
আকট মাদকদ্রব্য ধ্বংস করল বিজিবি
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়া বিজিবির ৪৭ ব্যাটালিয়নের উদ্যোগে ৭৪ কোটি ৩১ লাখ ১৯ হাজার ৭শ ১০ টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়েছে।
গত এক বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের পহেলা ফেব্রæয়ারি থেকে চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে মালিকবিহীন এসব মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে বিজিবি।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিজিবি’র কুষ্টিয়া সদর দফতরের মিরপুরস্থ শহীদ কর্নেল শামসুল আরেফিন হলে আলোচনা সভা শেষে প্রশিক্ষণ মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে জব্দকৃত এসব মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়।
মাদকদ্রব্য ধ্বংসকরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিজিবি কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের সেক্টর সদর দফতরের কমান্ডার কর্নেল মো:মারুফুল আবেদীন।
এ সময় মারুফুল আবেদীন বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির অংশ হিসেবে আমরা এই কার্যক্রম করেছি। এই ধারা অব্যহত থাকবে। যেকোনো মূল্যে আমরা দেশকে মাদকমুক্ত রাখতে বদ্ধপরিকর। এ বিষয়ে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
২০২৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ের মধ্যে জব্দ মাদকসমূহের মধ্যে রয়েছে ১১ হাজার বোতল ফেনসিডিল, ৯ হাজার ৩শ ৬৮ বোতল বিদেশি মদ, ১২৭.৬৫০ কেজি ভারতীয় গাঁজা, ৮কেজি ৬শ৫৭ গ্রাম হেরোইন, ৭ হাজার ২শ ৪৭ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ১ হাজার ৩ শ ৫০ পিস ভায়াগ্রা,১ লক্ষ ৮৬ হাজার ৭ শ ৪৭ পিস সিলডিনাফিল ট্যাবলেট, ৯ শ ৩০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট, ১ লক্ষ ২৪ হাজার ৫ শ ৭৭ পিস পাতার বিড়ি, ৪ কেজি ক্রিস্টল মেথ আইস , ৫৬ বোতল এলএসডি, ৯ শ ৮০ গ্রাম আফিম ও ০৯ বোতল সাপের বিষ।
আরও পড়ুন – ফ্যাসিবাদকে আর কখনো বাংলার মাটিতে পুনর্বাসিত হতে দেয়া যাবে না – মাওলানা মামুনুল হক
অনুষ্ঠানে কুষ্টিয়া ব্যাটেলিয়ান (৪৭ বি জি বি) লে: কর্নেল মো: মাহবুব মোর্শেদ রহমান, প্রশাসনের আমন্ত্রিত কর্মকর্তাবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দসহ বিজিবি’র বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ফ্যাসিবাদকে আর কখনো বাংলার মাটিতে পুনর্বাসিত হতে দেয়া যাবে না – মাওলানা মামুনুল হক
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, বিগত ৫৩ বছর বাংলাদেশের আমল, ২৪ বছর পাকিস্থানের আমল, ৭৭ বছরের সমস্ত বঞ্চনার এবার কবর রচনা করতে হবে। ভারতীয় আধিপত্যবাদকে শিকড়সহ উপড়ে ফেলতে হবে। বাংলাদেশের সংবিধানে আর কখনো ধর্ম নিরপেক্ষতা মতবাদ নামক কুফরি মতবাদ ভারতীয় এজেন্ডা আর বাংলাদেশে দেখতে চাই না। আমরা বৈষম্যহীন ইনসাফপূর্ণ একটা রাষ্ট্র ও সমাজ গঠন করতে চাই। ইসলামী ঐক্যের মাধ্যমে বাংলাদেশ ইসলামী রাষ্ট্রের দিকে অগ্রসর হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। বাংলাদেশ এবং ইসলাম এক সূত্রে গাঁথা। বাংলাদেশের শত্রæ যারা ইসলামের শত্রæ তারা। বাংলাদেশে ইসলাম আক্রান্ত হলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিপন্ন হবে।
শাপলা চত্বর ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যার বিচার, জুলাই-আগষ্ট বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে আলেম সমাজের অবদানের স্বীকৃতি ও খেলাফত প্রতিষ্ঠার দাবীতে আয়োজিত গণ সমাবেশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কুষ্টিয়া জেলা শাখার আয়োজনে সোমবার (১৭ ফেব্রæয়ারি) বিকালে কুষ্টিয়া হাই স্কুল মাটি এ গণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করা হয় ৭২ সালের সংবিধানের মাধ্যমে। এভাবেই ৭১ এর চেতনার নামে বিগত ৫০ বছর পর্যন্ত আওয়ামী ফ্যাসিবাদী বাকশালি শক্তি ৭২ এর চেতনা গেলাবার চেষ্টা করেছে। ২০২৪ সালে যেই ঐতিহাসিক বিজয় আমরা অর্জন করেছি। সেই বিজয়কে কাঙ্খিত লক্ষ্য পর্যন্ত পৌঁছাতে হবে। বৈষম্যের করব রচনা করতে হবে। সমস্ত জুলুম ও শোষণকে শেকড়সহ উপড়ে ফেলতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ভারতে পালিয়ে যাওয়ার আগের দিনেও বললেন, শেখ হাসিনা পালায় না। এই কথা বলে সে তার নেতাকর্মীদের জনগণের মুখোমুখি আরও বেশি যুদ্ধের মুখে ঠেলে দিয়েছে। তারপর পালিয়ে গেছে। পালিয়ে গিয়ে নিজে এবং নিজের পরিবারের আখের গুছিয়েছে। এতো বিশাল ঐতিহ্যবাহী আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের নেতারা বেগম জিয়া ও ড. ইউনুসকে দায়ী করবেন না। ধ্বংসের জন্য সবচেয়ে বড় দায়ী হচ্ছে শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবার যারা রাজনীতি করতে চায়, তাদের মতো কুপোকান্ডক আর কেউ হতে পারে না। যেই ফ্যাসিবাদ বাংলার মাটি থেকে বিতাড়িত হয়েছে, সেই ফ্যাসিবাদকে আর কখনো বাংলার মাটিতে পুনর্বাসিত হতে দেয়া যাবে না।
মামুনুল হক বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী দুর্শাসনকারী শক্তির প্রত্যেকটা খুনির বিচার করতে হবে। এ সময় তিনি বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি চিরতরে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান। বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা সরকার বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের উপর জুলুম চালিয়েছে, অন্যায় চালিয়েছে। সে এই দেশটাকে স্বাধীন দেখতে চায়নি। ৭৫ সালের পর থেকে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে, মানুষের কাছে থেকে প্রতিশোধ গ্রহণের রাজনীতি করেছেন। শেখ হাসিনা গোটা বাংলাদেশটাকে ভারতের অঙ্গরাজ্য বানানোর পাঁয়তারা চালিয়েছে। হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে বাংলাদেশকে তলা বিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদন্ড ভেঙে দিয়েছে। অবশিষ্ট যা ছিল, ১৪টা লাগেজে ভর্তি করে নিয়ে ভারতে পালিয়েছে ৫ আগস্ট। হেলমেট বাহিনী হাতুড়ি বাহিনীর হাতে অস্ত্র দিয়ে বাংলার দামাল ছেলেদের বুক গুলোতে বুলেট দিয়ে ঝাজরা করেছে। বাংলাদেশে জনরোষের মুখে পড়ে অনেকেই ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।
আরও পড়ুন – সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন-অবস্থান ধর্মঘট
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আব্দুল লতিফ খানের সভাপতিত্বে গণ সমাবেশ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা শরীফ সাইদুর রহমান, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা জহিরুল ইসলাম, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা শরাফত হুসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী, বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ কামাল উদ্দীন। এসময় দলের স্থানীয় ও সহযোগী সংগঠনের হাজারো নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।