জেলা প্রশাসনের গণবিজ্ঞপ্তি জারি

0
132

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়া জেলায় করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সকাল ১০ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত দোকানপাঠ-শপিংমলসহ সব কিছু খোলা রেখে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে জেলা প্রশাসন।

রবিবার রাত ১২টায় কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম এ সংক্রান্ত গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৬ জুন মধ্যরাত থেকে ১৬ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত জেলায় এ বিধিনিষেধ বহাল থাকবে। জারি করা গণবিজ্ঞপ্তি মোতাবেক জেলায় দোকানপাট ও শপিং মল সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রাখা যাবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাত আটটার পর খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ, কাঁচাবাজার, খুচরা ও পাইকারি বাজারসহ সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে। তবে খাবারের দোকান হোটেল রেস্তোরাঁ গুলো অনলাইনে অর্ডারের ভিত্তিতে খাবার সরবরাহ করতে পারবে। কোনো অবস্থাতেই হোটেল-রেস্তোরাঁয় বসে খাবার খাওয়া যাবে না।

সব ধরনের পর্যটনকে›ন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকে›ন্দ্র্র বন্ধ থাকবে। জনসমাবেশ হয় এ ধরণের সামাজিক অনুষ্ঠান, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে। রাস্তা ও পাড়া-মহল্লার চায়ের দোকান সন্ধ্যা সাতটার পর বন্ধ রাখতে হবে।

আন্তজেলাসহ সব ধরনের গণপরিবহন আসনসংখ্যার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারবে। তবে অবশ্যই যাত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। শিল্পকারখানা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু থাকবে। তবে শ্রমিকদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানকে নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাপনায় আনা-নেওয়া করতে হবে।

কুষ্টিয়া জেলার দোকানপাট-শপিংমল, রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজার থেকে শুরু করে কোথাও জনসাধারণের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করার তেমন একটা বালায় চোখে পড়ছে না। সাধারণ মানুষ তো বটেও অনেক শিক্ষিত মানুষ জনকেও মাস্ক ছাড়াই রাস্তা ঘাটে চলাচল করতে দেখা গেছে। জেলায় করোনা সংক্রমণের হার প্রতিনিয়ত উর্ধ্বমুখি হলেও বিশেষ করে জেলা প্রশাসনের এ নিয়ে তেমন একটা তৎপরতা চোখে পড়ছে না।

জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি সূত্র জানায়, রবিবার করোনা সংক্রমণের হার ছিল ২৪ দশমিক ১৩ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১৮১ জনের নমুনা পরীায় ৫৬ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। চলতি মাসের ছয় দিনে কুষ্টিয়ায় ৭৫১টি নমুনা পরীায় ২২৭ জনের পজিটিভ শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার প্রায় ৩০ শতাংশ।

জেলায় এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ২০৫ জন। এর মধ্যে সদর উপজেলাতেই ৩ হাজার ১৫৭ জন। জেলায় মারা গেছেন ১১৯ জন, এর মধ্যে সদরের ৬৯ জন।