স্টাফ রিপোর্টার
কুষ্টিয়ার খোকসায় কবর স্থানে এক নারীর দাফনের সময় মৌ মাছির আক্রমনে কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার সকালে উপজেলা সদরের কেন্দ্রেয় পৌর কবর স্থানে এক নারীর দাফনের সময় মৌ মাছির দল এ আক্রনের ঘটনাটি ঘটায়।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগীদের সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা সদরের মাঠ পাড়া গ্রামের মৃত আলী রেজার স্ত্রী আনোয়ারা খাতুন (৭৫) বাধ্যক্য জনিত রোগে রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা যান। বুধবার সকালে পরিবারের সদস্য ও আত্মীয় স্বজনরা তাকে দাফন করতে পৌর কবর স্থানে যান। জানাযার নামাজের পর মরহুমাকে কবরে নামানোর সময় অসংখ্য মৌমাছি দাফনে ব্যস্ত মুসল্লীদের ওপর আক্রমন করে। এ সময় অনেকেই মাটিতে লুটিয়ে পরে। কেউ কেউ দৌড়ে আত্ম রক্ষার চেষ্টা করেন। মৌমাছির দল প্রায় ২০ মিনিট ধরে মসজিদ কুষ্টিয়া রাজবাড়ী আঞ্চলিক সড়ক ও কবর স্থানের লোকদের উপর আক্রমন চালায়। আহতদের মধ্যে প্রায় ১৫ জনকে উপজেলা স্থাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। ৩৫ মিনিট পর পরিস্থিতি শান্ত হলে স্থানীয় মসজিদের ৪/৫ মুসল্লী মরহুমার দাফন সম্পন্ন করে।
আহতদের মধ্যে হেকমত আলী (৭০), কমল, ফজলুল হক, হারুন অর রশিদ, ইদ্রিস আলী, বিকু, তপু, টিপুর অবস্থা গুরুতর। তারা বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
প্রয়াত বৃদ্ধার ভাতিজা পলাশ জানান, সে এবং তার বাবা এক আত্মিয়র পুরাতন কবরের কাছে দাড়িয়ে ছিলেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মৌমাছিরা হামলা করে। তারা বাবা ও চাচাত ভাইগুলো সব থেকে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন।
মসজিদের খাদেম রাজা জানান, তিনি এতো মৌমাছি কখনো এক সাথে দেখেন নি। ২০ মিনিটমত মৌ মাছির দল ছিল। ৩৫ মিনিট পর মরহুমার দাফন করা হয়। এসময় আত্মীয় স্বজনরা ছিলন। তারা সবাই হাসপাতালে গিয়েছিলেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার মনিরুল ইসলাম জানান, এক সাথে অনেক লোক হওয়ায় তাদের চিকিৎসা দেওয়া নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পরায় রোগীর সংখ্যা রেজিষ্টারে লেখা হয়নি। তবে প্রত্যেককে প্রচন্ড আকারে কামড়েছে মৌ মাছি দল।