ঝিনাইদহে স্বামী ও তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ইবি ছাত্রীর মামলা

0
103

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহে অন্তরঙ্গ মুহুত্যের ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে সাবেক স্বামীসহ তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন ইসলামী বিশ্ব বিদ্যালয়ের এক ছাত্রী।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স অব ডেভালপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ওই ছাত্রী বাদি হয়ে খুলনার বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলাটি করেন। আদালত বাদির অভিযোগটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছে।

মামলায় আসামী করা হচ্ছেন শৈলকুপার পাঁচপাখিয়া গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে ও ছাত্রীর সাবেক স্বামী মনিরুল ইসলাম। এ ছাড়া দৈনিক ভোরের কাগজের শৈলকুপা প্রতিনিধি মনিরুজ্জামান সুমন, দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি শামিমুল ইসলাম শামিম, দৈনিক আজকালের খবর পত্রিকার শৈলকুপা প্রতিনিধি এইচ এম ইমরান।

বাদি তার মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স অব ডেভালপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ছাত্রী ও একজন কৃষি উদ্যোক্তা। ২০১০ সালের ২০ ডিসেম্বর মামলার আসামী মনিরুল ইসলামের সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের একটি পুত্র সন্তান হয়। ২০১৩ সালের শেষ দিকে মনিরুল তাকে ফেলে রেখে বিদেশ চলে যায়। ২০১৮ সালে দেশে ফিরে বাদিকে নির্যাতন করতে থাকেন। এক পর্যায়ে ২০২০ সালের ৭ জুন স্বামীকে তিনি তালাক দেন। বাদি পিতার বাড়িতে থেকে হাঁস, মুরগী ও ছাগল পালনের পাশাপাশি বুকিটকের কাজ করেন। গত ৪ নভেম্বর সন্ধ্যার দিকে এক নং আসামী মনিরুজ্জামান সুমন তার ফেসবুক ওয়ালে বাদির কিছু অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ছবি পোষ্ট করেন। এরপর ২ নং আসামী শামিমুল ইসলাম শামিম ও ৩নং আসামী এইচএম ইমরানের ব্যক্তিগত আইডি থেকে দ্রæত ছড়িয়ে দেওয়া হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ছবি ও নিউজ ছড়িয়ে পড়ার পর বাদির প্রতি ঘৃনা ছড়াতে থাকে। এলাকায় এ নিয়ে মুখরোচক ও বিরুপ আলোচনা শুরু হয়।

বাদির আইনজীবী স্বপন কুমার ঘোষ জানান, গত ১৫ নভেম্বর বিজ্ঞ বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালত খুলনায় অভিযোগটি দায়ের করা হলে ঝিনাইদহ পিবিআইকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।

তিন সাংবাদিকের নামে অভিযোগ দায়ের হওয়ায় সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানিয়েছেন।