কুষ্টিয়ায় ট্রিপল মার্ডার মামলায় ১১ আসামীর কারাদন্ড

0
127
প্রতিকী ছবি

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার ট্রিপল মার্ডার মামলায় তিন আসামীর আমৃত্যু এবং ৮ আসামীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। প্রত্যেক আসামিকে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদন্ডাদেশ দেয় আদালত।

একযুগের বেশী সময় আগে পশ্চিম জনপদের ঠিকাদারীতে আধিপত্য বিস্তার ও ঠিকাদারদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টর জন্য এই ট্রিপল হত্যাকান্ড ঘটানো হয়।

মঙ্গলবার দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ তাজুল ইসলাম এই রায় ঘোষণা করেন। এছাড়াও অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় এই মামলা থেকে ১১ আসামীকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। দন্ডপ্রাপ্তরা সবাই নিষিদ্ধ ঘোষিত বিভিন্ন চরমপন্থী সংগঠনের সক্রিয় সদস্য ছিল বলে জানা গেছে।

মামলার আমৃত্যু কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পুতলাডাঙ্গা গ্রামের আসকর আলীর ছেলে ফারুক সদ্দার, সদর উপজেলার পশ্চিম আব্দালপুর গ্রামের ইছাহাক আলী মাস্টারের ছেলে কালু ওরফে কফিল উদ্দিন ও শহরের আড়ুয়াপাড়া এলাকার কালো মজনুর ছেলে রোহান।

যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুন্ডু উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের মৃত খোরশেদ মন্ডলের ছেলে ফারুক মন্ডল, ভায়না গ্রামের জবেদ আলীর ছেলে লিয়াকত আলী, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার করিমপুর গ্রামের জলিল শেখের ছেলে লিয়াকত শেখ, এছেম শেখের ছেলে মনোয়ার শেখ, আনছার শেখের ছেলে আকাম উদ্দিন, ওয়াহেদ আলী জোয়াদ্দারের ছেলে জমির উদ্দিন, ইবি থানার খোর্দ্দবাখইল গ্রামের আবু বক্করের ছেলে নুরাল ওরফে নুরুল, সদর উপজেলার মাঝপাড়া গ্রামের ওম্মাদ মন্ডলের ছেলে খাকচার মন্ডল।

আরো পড়ুন – কুষ্টিয়ায় এক গোডাউনেই মিললো ৪০ হাজার লিটার সোয়াবিন তেল

রাষ্ট্রপরে আইনজীবী অনুপ কুমার নন্দী জানান, ২০০৯ সালের ১০ আগস্ট সকালে কুষ্টিয়া শহরের ডিসি কোট সংলগ্ন গণপূর্ত অফিসের গ্রাচীরের সঙ্গে একটি চটের ব্যাগের মধ্য স্থানীয় শামসুজ্জোহা, কাইয়ুম ও আইয়ুবের বিচ্ছিন্ন মাথা পাওয়া যায়। পরদিন সদর উপজেলার সোনাডাঙ্গা গ্রামের মাঠের মধ্যে পাওয়া যায় তাদের দেহ। এ ঘটনায় নিহত কাইয়ুমের ভাই আব্দুল হাই বাদী হয়ে ১০ আগষ্ট কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় অজ্ঞাত ব্যাক্তিদের আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চুড়ান্ত প্রতিবেন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।

তিনি আরও জানান, এলজিইডির ১৮ কোটি টাকার কাজ বাগিয়ে নিতে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য তাদের হত্যা করা হয়। যাদেরকে খুন করা হয়েছে তারা এবং আসামিরা সবাই জাসদ গণবাহিনীর দু’টি দলের সদস্য।