খোকসার হিরন হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

0
163
খোকসা বাস স্ট্যান্ডে সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার

কুষ্টিয়ার খোকসায় প্যাথলজি টেকনিশিয়ান ও কলেজ ছাত্র হিরন (২৩) হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ এবং সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

রবিবার সকালে খোকসা কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভটি শুরু হয়। বিক্ষোভ কারীরা খোকসা বাস স্ট্যান্ডে এসে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কে অবরোধ সৃষ্টি করে শ্লোগান দিতে থাকে। মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন নিহত হিরনের বাবা আকমল হোসেন, মামা নিজাম উদ্দিন, গ্রামবাসী মতিয়ার রহমান, কলেজ ছাত্র সেলিম রেজা, বাঁধন, সুজন প্রমুখ।

সকাল ১১ টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কটি অবরোধ করে কর্মসূচি পালন করায় সড়কে দুই পাশে প্রায় ২ কিলোমিটার লম্বা যানজটের সৃষ্টি হয়। সাধারন যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হন। পরে খোকসা থানা পুলিশের ওসি তদন্ত মামুনুর রশিদ এক ঘন্টার মধ্যে খোকসা হেল্থ কেয়ার প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়গনিষ্টিক সেন্টারটি বন্ধ করা ও দোষীদের বিরুদ্ধের অভিযোগের সঠিক তদন্তের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা সড়ক থেকে সরে পাশে অবস্থান গ্রহন করে। পরে তারা আগামী ২৪ ঘন্টার জন্য কর্মসূচি স্থগিত করে।

মানববন্ধনের আগে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ

মানববন্ধনে অংশ নিয়ে নিহত কলেজ ছাত্র হিরনের বাবা আকমল হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, তার ছেলে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ত। কিনিকের নানা অসামাজিক কাজের কারণে সে কয়েক দফায় চাকরি ছাড়তে চেষ্টা করেছে। কিন্তু গুমোর ফাঁসের ভয়ে মালিক সেলিম হোসেন তাকে ছাড়েনি।

তিনি আরো বলেন, কিনিকের মালিক সেলিম হোসেন ও বাড়ির মালিক আব্দুর ছাত্তারের ছেলে হাবিব পরিকল্পিত ভাবে হিরনকে হত্যা করেছে। বৃদ্ধ আকমল হোসেন ছেলে হত্যার বিচারের দাবিতে প্রচন্ড রোদ উপেক্ষা করে সড়ক অবরোধ করে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অংশ নেন।

আরো পড়ুন – খোকসায় আম পারার অভিযোগে কিশোরের উপর হামলা

উল্লেখ্য, বুধবার (১৮ মে) দিনগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে খোকসা হেল্থ কেয়ার প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়গনষ্টিক সেন্টারের ককসিপল গেটের ভিতর থেকে প্যাথলজি টেকনিশিয়ান ও কলেজ ছাত্র হিরন (২৩) কে সঙ্গাহীন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃতবলে ঘোষনা করেন। তবে ওই নিহত কলেজ ছাত্র ও প্যাথলজি টেকনিশিয়ানের ডান হাতে বিদ্যুতের সর্টে পোড়ার দুইটি ক্ষত চি‎হ্ন পাওয়া যায় ।

প্যাথলজি টেকনিশিয়ান হিরন উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের সিংঘরিয়া গ্রামের আকমল হোসেনের ছেলে। তিনি পাংশা সরকারী মহাবিদ্যালয়ের অনার্স ৩য় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। নাম মাত্র পারিশ্রমিকে তিনি ওই হাসপাতালে চাকরি করতেন।