স্টাফ রিপোর্টার
কুষ্টিয়ার খোকসায় গভীর রাতে রাজনৈতিক বিরোধের জের ধরে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার বাড়িতে স্বসস্ত্র সন্ত্রাসীরা হামলা ও গুলি চালিয়ে ভাংচুর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে বিবাদমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম বাবলুর শোবার ঘরের কাঁচের জনানা দিয়ে সন্ত্রাসীরা গুলী চালায়। এতে সাংগঠনিক সম্পাদকের জানাল কাঁচ ভেঙ্গে গর্তের সৃষ্টি হয়। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবুল আখতারের সমর্থক।

রাত ১২ টার দিকে উপজেলা সদরের চুনিয়াপাড়া গ্রামে দ্বিতীয় হামলার ঘটনা ঘটে। সন্ত্রাসীরা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভপতি সায়েম হোসেন সুজন ও তার কর্মীদের হামলা করে। সন্ত্রাসীরা একটি হিরহন্ডা লাল রঙের মোটরসাইকেল ও একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। গভীর রাতে সন্ত্রাসীরা খোকসা পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তারিকুল ইসলামের পাতিলডাঙ্গীর পুরাতন বাড়ি (মেয়র এ বাড়িতে থাকেন না।) এবং তার ছোট ভাই আতিকুল ইসলামের মাঠপাড়ার বাড়িতে পৃথক হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। সন্ত্রাসীরা আগ্নেয় অস্ত্রদিয়ে গুলি চালিয়ে বাড়ি দুটির একাধিক কাঁচের জানালা ভেঙ্গে দেয়। এ সময় স্ত্রাসীরা অকথ্যভাষায় গালাগালি করে। রাতে সন্ত্রাসীরা চলে যাওয়ার পর থানা পুলিশের টহল দল ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে। এ সব ঘটনায় থানা একটি জিডি হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সংগঠনিক সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম বাবলু জানান, রাত সাড়ে ৮ টার দিকে তার শোবার ঘরের জানালার কাঁচ ভাঙ্গার বিষয়টি তাদের দৃষ্টি গোচর হয়। আগ্নেয় অস্ত্রের গুলিতে তার জানালার কাঁচটি ভাঙ্গা হয়েছে বলে তিনি অনুমান করছেন।

ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সায়েম হোসেন সুজন বলেন, রাতে সে তার লোক জন নিয়ে কথা বলছিলেন। সন্ত্রাসীরা একটি প্রাইভেট কার ও মােটরসাইকেল এসে তার উপর হামলা করে। হামলাকারীদের হাতে আগ্নেয় অস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র ছিল। এ সময় সে প্রানভয়ে আত্ম গোপন করলে সন্ত্রাসীরা মিথুন নামের তার এক কর্মীর মোটরসাইকেল ও মুঠোফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ হামলার সাথে তার নিজের দলীয় সন্ত্রাসীদেরা জড়িত বলে তিনি দাবি করেন।
পৌর সভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের ছোট ভাই একটি শিশু বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ আতিকুল ইসলাম জানান, রাত ২টার পরে বিকট শব্দে তার ঘুম ভাঙ্গে। এ সময় হামলা কারীরা তার বাড়ির বাইরে চিৎকার চেচা-মেচি ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছিল। সন্ত্রাসীদের দলনেতা উচ্চ স্বরে নিজের নাম পরিচয় উল্লেখ করে গুলি চালাচ্ছিল। প্রায় ১৫ মিনিট পর তারা চলে যায়। রাজনৈতিক বিরোধের জের ধরে এ হামলা হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক প্রভাষক তারিকুল ইসলাম বলেন, তিনি আইনের পথে আগাবেন। তারা তদন্ত করলে জড়িতদে পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যাবে। রাজনৈতিক বিরোধ না অন্য ঘটনায় তা তিনি নিজের পর্যবেক্ষন করছে।
থানার ওসি তদন্ত মামুনুর রশিদ মিটিং থাকায় কথা বলতে অপারোগতা জানান।
থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই দ্বিপন জানান, এসব ঘটনায় এ পর্যন্ত একটি জিডি রেকর্ড করা হয়েছে। তবে মামলা হয়নি। যেহেতু মামলা হয়নি, সে হেতু আটক নেই।