রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাঙালির চেতনা ও মননের প্রধান প্রতিনিধি ছিলেন – হানিফ

0
158

কুমারখারী প্রতিনিধি

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২তম জন্মবার্ষিকী উপলে কুমারখালীর শিলাইদহে কবির স্মৃতিবিজড়িত কুঠিবাড়িতে তিন দিনের রবীন্দ্রমেলা, রবীন্দ্র আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্ধোধন করা হয়েছে।

সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় অনুষ্ঠানের উদ্ধোধন করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ এমপি। কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক সাইদুল ইসলামের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রশাসনিক কর্মকর্তা, রবীন্দ্র গবেষক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক হানিফ বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবনাদর্শ ও তাঁর সৃষ্টিকর্ম শোষণ-বঞ্চনামুক্ত, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে চিরদিন বাঙালিকে অনুপ্রাণিত করবে। তিনি বাঙালির চেতনা ও মননের প্রধান প্রতিনিধি। বাংলা সাহিত্যের প্রায় সব শাখাতেই তিনি নির্দেশকের ভূমিকা রেখেছেন।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ী, কাচারিবাড়সিহ তাঁর সকল স্মৃতি সংরণের জন্য বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এর আগে জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীদের কন্ঠে সুচনা সঙ্গীত পরিবেশিত হয়।

এদিকে তিন দিনব্যাপী রবীন্দ্রমেলাকে ঘিরে শিলাইদহ কুঠিবাড়ি আঙিনা হাজারো দর্শনার্থীদের পদচারনায় মুখর হয়ে উঠেছে।

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন বিশ্বকবির ১৬২ তম জন্মবার্ষিকী উপলে তিন দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এবারের আয়োজনে কুঠিবাড়ির মূল মঞ্চে প্রতিদিনই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জেলার সংগঠনসহ জাতীয় পর্যায়ের শিল্পীরা কুঠিবাড়ির মূল মঞ্চে রবীন্দ্রসংগীত, কবিতা আবৃত্তি, দলীয় নৃত্য ও রবীন্দ্রনাথের লেখা নাটক পরিবেশন করবেন।

কুঠিবাড়ি চত্বরে বসেছে বিশাল গ্রামীণ মেলা। নানারকম পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। ঐতিহাসিক এই উৎসবকে নির্বিঘœ করতে প্রশাসনের প থেকে নেওয়া হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

জমিদারি দেখা-শোনার জন্য ১৮৯১ সালে প্রথম এই কুঠিবাড়িতে আসেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। নিরিবিলি পরিবেশ, জমিদারি আর ব্যবসার কারণে বার বার কুষ্টিয়ার এই কুঠিবাড়িতে ফিরে আসতেন তিনি। নিভৃত বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চল কুষ্টিয়ার শিলাইদহে কবির জীবনের বেশকিছু মূল্যবান সময় কেটেছে। এখানে বসে রচিত গীতাঞ্জলি কাব্যই রবীন্দ্রনাথকে এনে দিয়েছে নোবেল পুরস্কার আর বিশ্বকবির মর্যাদা। এছাড়াও তিনি এখানে বসেই বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতসহ অসংখ্য কালজয়ী সাহিত্য রচনা করেছেন। কুঠিবাড়িতে সংরণ আছে সেসব দিনের নানা স্মৃতি।