ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামের গৃহবধু জামিলা খাতুন ওরফে ওজেলা (৪০) কে পরকীয়ার জেরে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত নিহতের স্বামী শরিফুল ইসলাম, ছেলে সাইদুল ইসলাম মান্নান ও প্রতিবেশি জাকির হোসেন এই হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।
মঙ্গলবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি (তদন্ত) আক্তারুজ্জামান লিটন এ সব তথ্য নিশ্চিত করেন।
নিহতের ছেলে মান্নান পুলিশকে জানায়, রাজাপুর গ্রামের রুস্তম বিশ^াসের ছেলে প্রতিবেশি চাচা আব্দুল করিমের সঙ্গে তার মায়ের অবৈধ সম্পর্ক ছিল। ঘটনার দিন শনিবার সকালে নিজেদের গোসলখানায় আব্দুল করিমের সঙ্গে তার মায়ের আপত্তিকর অবস্থায় পেয়ে সে নিজে মা ওজেলা খাতুনকে হত্যা করে। পরে আব্দুল করিমকেও কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। আব্দুল করিম গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত হয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরো জানান, নিহত ওজেলার স্বামী বাথান গ্রামের ইউসুফ মন্ডলের ছেলে জাকির হোসেনের জমি বর্গা চাষ করেন। এ সুযোগে জাকির হোসেন ওজেলার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার চেষ্টা করে। কিন্তু প্রতিবেশি আব্দুল করিমের কারণে পেরে ওঠে না। ফলে স্বামী শরিফুল ও তার ছেলে মান্নানের সঙ্গে পরামর্শ করে করিমকে শায়েস্তা করার ছক কষেন। ঘটনার দিন সকালে সে সুযোগ পেয়ে যায়। ওজেলার গোসলখানায় দুই জনকে আপত্তিকর অবস্থায় ধরে ফেলে।
নিহতের স্বামী শরিফুল ইসলাম গ্রেফতার হওয়ার আগে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেছিলেন করিম তার স্ত্রীকে উত্যক্ত করতো। তাকে কু-প্রস্তাব দিত। রাজি না হওয়ায় তার স্ত্রীকে হত্যা করেছে। পরে করিম নিজেই আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
প্রতিবেশি সুজনের স্ত্রী রুপা খাতুন জানান, এক সময় করিম ওজেলাকে বিয়ে করতে চেয়েছিল। সেখান থেকেই মুলত বিরোধের সুত্রপাত।
মামলার তদন্তু কর্মকর্তা ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি (তদন্ত) আক্তারুজ্জামান লিটন জানান, এঘটনায় নিহত’র বড় ভাই লেবুতলা গ্রামের কামাল আহম্মেদ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী করে মামলা করেছেন। পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।